শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৪৭

নেই দেশের নাগরিক

“কিন্তু.....।“ থতমত করতে লাগল আতিফ। সাদ্দাম ঝেড়ে বলল, “কোনো কিন্তু নয়, এখন যেটা করা উচিৎ আমি সেটাই করছি। তুই চুপ করে বসে থাক। চাচাদের বাঁচানোর ইচ্ছে আছে, না বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গুলিতে মরার ইচ্ছে আছে? যদি বাঁচতে চাস তো এখনই কোথাও গা ঢাকা দিতে হবে।“ রূঢ় সত্যটা বলল সাদ্দাম।

স্পিডবোটটাকে নিক্ষিপ্ত তীরের মতো ‘সাঁ’ করে নাফ নদীর পশ্চিম ঢাল বেয়ে ছুটাতে লাগল সাদ্দাম। নদীর এই দিকটা তার অনেকটাই চেনা। আর জে এফ এবং অন্যান্য কাজেও তাকে এসব দিকে মাঝেমধ্যেই টহল মারতে হয়। নয়াপাড়া ঘাটসংলগ্ন দিন ও রাতের জীবন তার কাছে জলভাত। সে কখনো রাতচোরা পাখির মতো ঘুরঘুর করে আবার বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হয়ে দালালির কাজও করে। আসলে বিজিবি ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে হাতে রাখতে তাকে অনেক অবৈধ কাজও করতে হয়। শরীরের কাজ, নেশার কাজ আর সঙ্গে সেনা অফিসারদের মন জোগানোর জন্যে অনেক কু-কাজ মন্দ-কাজও করতে হয়। আর এসবই আর জে এফ’এর লক্ষ্যপূরণের জন্যে সে করতে বাধ্য হয়। নদীর এই চত্বরটা বলতে গেলে তার বেটে খাওয়া। কোথায় কতটুকু পাড়ের মাটি লেজ বাড়িয়ে বসে আছে, কোথায় ধরেছে ধসের ফাটল সবই তার নখদর্পণে। নদীপাড়ের মানুষের জীবনের সাথে সাথে জীবজন্তু ও গাছপালার জীবনও তার চোখস্ত। দিন চট গুটোলে কীভাবে রাতের বর্ডার শরীর খুলে উঠে দাঁড়ায়, কীভাবে নদীর নীল-কালো জল পাচারের নীরব করিডর হয়ে ওঠে, সেসব তার গা ডুবিয়ে পরখ করা।

“নদীর রূপ বদল দেখেছিস?” আনমনা হয়ে ওঠে সাদ্দাম।
“কেন দেখব না? নদীর পাড়েই তো আমার জন্ম, নদীর রূপ রস আর খেয়াল সে তো আমার রক্তেই। এই যে সাড়ে তিন হাত দেহ, এটা তো একটা নদীই।“ একটা সুখ নিয়ে কথাটা বলতে চাইল আতিফ। কিন্তু পরিস্থিতি তাকে সে সুখ নিতে দিল না। সে ঘাড়টা নাটবোল্টের স্ক্রুর প্যাঁচের মতো পেছন দিকে ঘোরাল। সে পেছনে লঞ্চটার গতিবিধি পরখ করছে।
“এক জীবনের তলায় আর এক জীবন থাকে, ঠিক তেমনই রূপের তলায় থাকে আর একটা রূপ। সে রূপ কখনো ভয়ঙ্কর কখনো সৌন্দর্যে ভরা। সেই ভেতরের লুকোনো ভয়ঙ্কর রূপটা মনে হয় তোর জানা নেই। পৃথিবীর সব বর্ডার-নদীর সেরকম একটা রূপ থাকে, যে রূপ রাতকে জাগিয়ে তুলে সে রাতের গায়ে পরিয়ে দেয় এক অচেনা পোশাক। আর বাকি পৃথিবীর চোখে পরিয়ে দেয় চির ঘুমের ঘোমটা। আর সে ঘোমটার আড়ালে চলে অন্ধকারের বিকিকিনি। অবৈধ বিক্রিবাটা। লেনদেন। এই বর্ডারের ঘাটও রাতের অন্ধকারে সেই রূপ ধারণ করে। চলে লেনদেন।“ খেয়ালি মনে বকে গেল সাদ্দাম।

“নদী তো মানুষের জীবন থেকে আলাদা কিছু নয়। নদীর যেমন ভাঙা গড়া থাকে, মানুষের জীবনেও থাকে ভাঙা গড়া। নদী যেমন শুকিয়ে চটান পড়ে যায়, মজে যায় তার জলভরা দেহ, আবার বর্ষার প্রেমে টগবগ করতে করতে ভরাপেটের পোয়াতি হয়ে ওঠে, মানুষও তো তাই। নদীর জীবনে যেমন থাকে রাতের বিকিকিনি, তেমনই মানুষের জীবনেও থাকে একটা অন্ধকার হাট। অবৈধ কেনাবেচার বাজার। সেখানে মানুষই মহাজন আবার মানুষই পণ্য।“
“আচ্ছা নদী কি মানুষের কাঁটাতার মানে? বর্ডার দেখে থমকে দাঁড়ায়?”
“নাহ। সে ক্ষমতা নেই। কেউ যদি গায়ের জোরে সেসব করতেও চায়, তা করাই হয়, টেকে না। প্রকৃতিকে জয় করা এতই কি সোজা? নদীই মানুষকে জীবন পাততে শিখিয়েছে। শিখিয়েছে, কীভাবে জীবন গড়তে হয়। সভ্যতার প্রথম পাঠ তো মানুষের নদীর কাছ থেকেই শেখা। যারা নদীকে আপন করতে শিখেছে, শিখেছে ভালোবাসতে তারাই তো বানিয়েছে উন্নত সভ্যতা।“
“আমরা তবুও নদীর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি না। নদী থেকে দূরে সরে গিয়ে জীবনটাকে মরুভূমি বানিয়ে ফেলছি। বানিয়ে ফেলছি, একটা রসকষহীন ছালচামড়ার জীবন! রাতের নদীকে করে নিচ্ছি আপন আর দিনের রোদ্ররোজ্জ্বল ঝলমলে জীবনটাকে করে দিচ্ছি পর!”
“আর তার ফলেই কাঁটাতার, সীমান্ত, বর্ডার ইত্যাদি ইত্যাদি হয়ে উঠছে আমাদের জীবনের একমাত্র পরিচয়। এসবই যেন আমাদের বাপ-ঠাকুরদা, আমাদের ঈশ্বর! আমাদের পায়ের তলার মাটি আর মাথার ওপরের আকাশ। আমাদের পোশাক, আমাদের রুটিরুজি, আমাদের ঘুম-অঘুম, আমাদের হাঁটা-দৌড়া, আমাদের কথা অ-কথা, সবকিছুতেই শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো লেগে আছে এই কাঁটাতার, ভিলেন বর্ডার।“ আতিফ ফদফদ করে উঠল।
তার চোখের মণিগুলো তেঁতুল বিচির মতো বাদামি উঠছে। সাদ্দাম বোটটাকে আস্তে আস্তে একটা ডিহি হয়ে থাকা কাশের ঝাড় বাঁধা পাড়ে ভিড়াতে ভিড়াতে বলল, “মাটির দেহে কাঁটাতার তাও মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু মানুষের মনের কাঁটাতারকে তো আর মেনে নেওয়া যায় না? অথচ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের মন এখন কাঁটাতারে ছয়লাপ। ফলে সীমান্তের মতো মানুষগুলোও পর হয়ে যাচ্ছে। একটা মানুষের থেকে আরেকটা মানুষের শরীরের দূরত্ব কয়েক ইঞ্চি হলেও মনের দূরত্ব কয়েক হাজার মাইল! সে মন কি আর খোলা মাঠের মতো বড় হবে? সে মন তিসির দানার মতো নগণ্য। খুদকুঁড়োর মতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র। একটা মনে শত শত দেশ থাকবে, একটা মনেই থাকবে নানান জাতি, নানান ধর্ম, আর সেসব থাকবে রক্তের বাঁধনে বাঁধা। তবেই তো সে মন হবে মানুষের। মনুষত্বের। তাকেই বলে আল্লাহর বান্দা।“
“এই আল্লাহর বান্দা তুই আমাকে এ কোথায় নিয়ে এলি!” আশপাশ জরিপ করে চোখ কপালে তুলল আতিফ। হরিণের শিংয়ের মতো পাড়টা স্থলভাগ থেকে বেরিয়ে এসে নদীর পেটে ঢুকে গেছে। সেই ঢিবির মতো খাড়া পাড়ের মাথায় ঝোপ ঝোপ কাশের জঙ্গল। শুঁড় খাড়া করে দাঁড়িয়ে আছে কটা রঙের বেনেঘাসের ঝোড়। আতিফ চোখ ঢেলা করে দেখছে, বেনে আর কাশের শিকড়গুলো মাটি ফুঁড়ে জলের অনেকটা তলে নেমে, পিঠ চাপড়ে লেগে থাকা মাটিকে আঁকড়ে ধরে আছে। কারও বাপের ক্ষমতা নেই যে ঘাসগুলোকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলবে। না কোনো কাঁটাতার, না কোনো বন্দুকের গুলি, না কোনো রাষ্ট্রের ফতোয়া। এ মাটির পরতে পরতে শিকড়ের গন্ধ। রন্ধ্রে রন্ধ্রে শিকড়ের বাস। মাটি আর শিকড় যেন আলাদা কোন অস্তিত্ব নয়, একই অস্তিত্বের আলাদা দুটো নামমাত্র। এ মাটিই এই ঘাস-শিকড়দের দেশ। ধর্ম, জাত। এখন কেউ এসে যদি হুট করে এই ঘাসগুলোকে বলে, এ মাটি তোদের নয়, তোরা এখান থেকে ছেড়ে চলে যা। তাহলে, ঘাসগুলো কি মাগনা মাগনা ছেড়ে চলে যাবে? তারা হুট করে হয়ে যাবে ভিনদেশি? না, কক্ষনো না।

আতিফের মাথায় এসব কথা অর্বুদের মতো বেড় পাকে। ঢিবি মাটিগুলোকে আঁকড়ে ধরে থাকা শিকড়গুলোকে দেখে তার বাপ-ঠাকুরদাদের কথা, পূর্বপুরুষদের কথা, পরম্পরাগতভাবে চলে আসা তাদের বংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তারাও তো এই শিকড়ের মতো মাটি আঁকড়ে মংডুতে যুগযুগ ধরে বাস করছিল। রাখাইন তাদের জন্মজন্মান্তরের জন্মভূমি। মিয়ানমার হলো তাদের শরীর ও আত্মা দুইয়েরই দেশ। বোটটা ধীরে ধীরে ছায়া ছোট করতে করতে পাড়ের গা ঘেঁষে লাগতে শুরু করলে, ঢিবিটা হাতের নাগালের মধ্যে চলে এল। আতিফ তার ডান হাতটা বাড়িয়ে ঘাসের শিকড়ে আটকে থাকা মাটি ছুঁল। মাটি ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ল না, কিন্তু ফাটলের দরুণ একটা চাপমাটি শিকড়ের বাঁধন ছেড়ে ধসে পড়ল। ঢিবিটার বুকে অজস্র ফাটল। দিনরাত স্রোতের বাড়ি খেয়ে খেয়ে দেহ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফাটলের দাগ আর শিকড়ের শাখা-প্রশাখায় ঢিবিটার বুকে যেন খড়ির আঁকিবুঁকি। কোথাও কোথাও শিকড় হিলহিল করে শূন্যে ভাসছে।
আতিফ ভাবল, ঢিবিটার সঙ্গে তাদের ফারাক একটাই, এখানে শিকড় থেকে যাচ্ছে আর মাটি যাচ্ছে খসে। আর তাদের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টো, তাদের ভিটেমাটি রয়ে গেছে, উপড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বংশের শিকড়। আবার মিলটাও একজায়গায়, এই ঘাসগুলো যেমন একদিন নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে, ঠিক তেমনি তারাও বিলীন হয়ে যাবে এই নাফ নদীর গর্ভে। ‘খট’ করে তার আব্বা-মা-ভাইদের কথা আরও তাজা হয়ে উঠল আতিফের মাথায়। তারা কি এখনো নদীতে ভাসছে, নাকি নদীর গর্ভে......! নাহ, শেষ কথাটা তার মাথা আর নিতে পারল না। তার মগজ কুঁকড়ে উঠল।
“সিঁদকাটা পাড়। চোরা বর্ডারও বলতে পারিস। এখন দিনের বেলায় সুনসান, রাত নামলে বুঝতে পারতিস, এই সিঁদকাটা পাড়ের কত কদর! কতকিছু হাতবদল হয়ে লুকিয়ে ছাপিয়ে চলে যেত। রাত ঘন হলে, এই ঘাস, এই শিকড়, এই ঢিবি ফিসফিস করে কথা বলে। ঘুলঘুল করে দেখে, কোথা থেকে লোক এসে এই সুনসান নিরিবিলি ভাঙা পাড়ে গিজগিজ করছে! জমে ওঠে রাতের কারবার।“ বোটটাকে ধসে পড়া অর্ধনিমজ্জিত একটা মাটির ঢিবির উপরে খচমচ করে তুলতে তুলতে জায়গাটার বর্ণনা দিল সাদ্দাম। বোটটার সামনের সূচালো মুখের কানা ফুঁড়ে কিছু খিচখিচে কাদা বোটের উপরে উঠে পড়ল। ঢিবির গা থেকে ধনুকের মতো বেঁকে নুইয়ে থাকা একটা বেনেঘাসের ঝাড় সাদ্দামের ঘাড় ছুঁল। ঘাড় থেকে নেমে আসা ছায়া একটু একটু করে ছোট হয়ে পায়ের পাতার তলে মিশে যাচ্ছে। বেলা দুপুরসংলগ্ন। সূর্য তার মধ্যযৌবনের সবটুকু তেজ দিয়ে একেবারে মাথার খাড়াই। টিকি তেতে খট্টা। নির্মেঘ আকাশের খোলা বুক থেকে ঝেরে নেমে আসছে রোদ। নদীর জল এমনভাবে ঝিলমিল করছে যেন মনে হচ্ছে, রূপোলি রঙের স্রোতের কানে চিকনাই মারছে খাঁটি রূপোর দুল। যেন হাত পাতলেই নদী থেকে উঠে আসবে মুঠো মুঠো রূপো। আতিফ ছাপড়ে হাত দিয়ে জল তুলতে গেলে সাদ্দাম তেড়ে উঠল, “কী করছিস?”
“এই নদীর পানি একটুখানি হাত দিয়ে নেড়ে দেখছি, কতদিন ছুঁইনি তো.........।“
“তাই ছুঁয়ে পরখ করছিস, নদীর পানি তোকে চিনতে পারছে কি না, তাই তো?” ঠেস মেরে উঠল সাদ্দাম।
“হ্যাঁ, নাহ, ওই আর কি...।“ কাঁচুমাচু করল আতিফ।
“হ্যাঁ, পরখ কর, জান ভরে পরখ কর। গুলি যখন ধেয়ে এসে বুক ফুঁড়ে চলে যাবে, তখন বুঝবি, পরখ করা কাকে বলে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লঞ্চটা এখানে এল বলে! তিলমাত্র আন্দাজ পেলেই, দুম করে গুলি চালিয়ে দেবে। লঞ্চ থেকে কামানও দাগতে পারে। ওসব কবিত্বগিরি বাদ দিয়ে এখন বাপের নাম নিয়ে চটপট পাড়ে উঠে পড়।“ এদিক ওদিক চোখের ঘুলুঘুলি ঘুরিয়ে সাদ্দাম আরও বলল, “এখন পাড়ে কেউ নেই। টহলদারিও দেখতে পাচ্ছি না। স্থানীয় লোকজনও কেউ নেই। বাপের ভাগ্য ভালো, যেনতেন প্রকারে পাড়ে আসতে পেরেছি।“
“তো চল, তুই উঠবি তারপরে তো আমি উঠব?“ হাত থেকে থড়বড় করে নদীর জলটুকু ফেলে দিয়ে বলল আতিফ। সাদ্দাম দাঁত কেলিয়ে বলল, “আরে গাধা, আমি আগে উঠলে কী করে হবে? তুই কি বোট চালাতে পারবি?”
“আবার বোট চালানোর কী আছে? পাড়ে তো চলেই এসেছি।“
“শুধু পাড়ে চলে এলেই হলো? বোট’টাকে লুকোতে হবে না? নাহলে ওদের চোখে পড়ে গেলে, এমন ঠ্যালায় পড়বি যে বাপের নাম ভুলে যাবি। নেড়ি কুত্তার মতো তেড়ে গুলি করে মারবে। অতসব বকার এখন সময় নেই। তাড়াতাড়ি বোট থেকে পাড়ে উঠে পড় তো।“ একেবারে ‘হেই হেই’ করে তাড়া দিয়ে উঠল সাদ্দাম। পারলে ঠেলা দিয়ে পাড়ে উঠিয়ে দেয় আতিফকে। আতিফ বোটে দাঁড়িয়ে বারবার পেছনে তাকাতে লাগল। মোহনার দিকে লম্বা দৃষ্টি ফেলা তার চোখদুটো ছলছল করে করছে। মনের ভেতরে আউড়িবাউড়ি খাচ্ছে যন্ত্রণার হাহাকার। হৃদয় কুরে কুরে খাচ্ছে প্রিয়জনকে ছেড়ে আসার কষ্ট। কত কষ্ট করে বোটটা জোগাড় করা হল, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না! উল্টে সাদ্দাম এমন কাজ করে বসল, বাংলাদেশ সেনা তাদের দেখলেই গ্রেপ্তার করবে অথবা গুলি মেরে ঝাঁঝরা করে দেবে। তারা এই বোট জোগাড়ের ফেরে পড়ে বাংলাদেশ সেনার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি বনে গেল! আবার অন্যদিকে নয়াপাড়ার এত নৌকো ঘেঁটে তার আব্বা-মায়েদের হদিস পাওয়া তো দূরের কথা, তাদের নৌকোটার টিকিই খুঁজে পাওয়া গেল না! একেই বলে, কাঙালের গলায় দড়ি পড়া।

চলবে...
আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>


নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৫
নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৯

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৮

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৭

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২১

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২০

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১৯

Header Ad

রাফায় বড় অভিযান হলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ: বাইডেন

ছবি: সংগৃহীত

গাজার শহর রাফায় ইসরাইল বড় ধরনের স্থল অভিযান চালালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে বলে সতর্ক করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি ইসরাইলকে এমন হুঁশিয়ারি দেন।

গতকাল বুধবার প্রচারিত সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, ‘যদি তারা রাফায় হামলা চালায়, তাহলে সেখানে এখন পর্যন্ত যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, এমন অস্ত্র আর আমরা সরবরাহ করবো না। আমরা অস্ত্র ও আর্টিলারি শেল সরবরাহ করবো না।’ খবর বিবিসি’র।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত’ করা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সরব বিরোধিতা সত্ত্বেও ইসরাইল রাফাহতে একটি বড় আকারের আগ্রাসন চালাতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।

দক্ষিণ গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকা হামাসের শেষ প্রধান শক্ত ঘাঁটি। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন যে, গাজার অন্যান্য শহর থেকে আসা উদ্বাস্তুদের কারণে পূর্ণ এ শহরে এখন অভিযান চালালে ব্যাপক পরিমাণ বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটবে।

বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রাফাহর বর্তমান পরিস্থিতিকে স্থল অভিযান হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেনি। তারা জনবহুল এলাকাগুলোতে যায়নি। তারা যা করেছে, সেটা সীমান্তে।

বাইডেন জানান, তিনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভাকে পরিষ্কার করে জানিয়েছেন যে তারা যদি জনবহুল এলাকায় যায়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাবে না।

এ সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ইসরাইল গাজার বেসামরিক মানুষ হত্যায় ব্যবহার করেছে বলে স্বীকার করেছেন বাইডেন। তবে, ইসরাইল ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করেছে কি না- জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এখনও নয়’।

রাফাহতে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এসব মন্তব্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী সতর্কবার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এবং প্রথমবারের মতো তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলে অস্ত্রের চালান বন্ধ করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ইসরাইলে হাজার হাজার বোমার চালান আটকে রেখেছে এবং ভবিষ্যতে সরবরাহের বিষয়টি তারা পর্যালোচনায় রাখছে।

বুধবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সিনেটের সামনে সাক্ষ্য দেয়ার সময় পশ্চিমা সামরিক অস্ত্রাগারের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক কিছু অস্ত্র ও বোমার চালান সরবরাহ বিলম্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তবে, যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র সরবরাহ আটকে রেখেছে, তা ভবিষ্যতে সরবরাহের জন্য। ফলে এই পদক্ষেপের কারণে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু, ইসরাইল যে হারে এখন বোমা বর্ষণ করছে, তাতে নিকট ভবিষ্যতের হামলাগুলোতেই এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইসরাইল সরকার যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে হতাশা প্রকাশ করেছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দুই দেশ এসব মতবিরোধ ‘বন্ধ দরজার আড়ালে’ সমাধান করবে।

গাজায় অনবরত বেসামরিক লোকের মৃত্যু ও মানবিক পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হওয়ায় ইসরাইলি অভিযানে লাগাম টানতে ডেমোক্র্যাট ও যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের একাংশের অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

চলছে বিদ্যুৎ সংকট। রাজধানীর চেয়েও বেশি সংকট গ্রামে। এই সংকটের মধ্যেই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বহুমুখী করছে সরকার। হ্যাঁ, গেল কিছুদিন তীব্র গরমে কিছুটা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তা স্বীকার করি। আমি নির্দেশ দিয়েছি লোডশেডিং গ্রামে নয়, এখন থেকে বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায়ও লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ আইন নিয়ে সমালোচনা কেন? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুনি। ওই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেয়া হয়নি।

সামিটের বিলম্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা আদায় হয়েছে বলেও জানান এই সংসদ নেতা। তিনি বলেন, বিশেষ আইন নিয়ে যারা কথা বলছেন, সমালোচনা করছেন তারা অর্বাচীন।

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অথচ সেটাই সবচেয়ে ক্লিন বিদ্যুতের সোর্স। রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে উপজেলায় ষষ্ঠ পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জনসহ মোট ১৩ জন প্রার্থী অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী হলেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম (নাইন্টি), বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজামুল হাসান।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী হলেন- আফতাবুজ্জামান, গোলাম ফিরোজ করিব, মো. আইনুল হক চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, আজিজার রহমান ও ওয়ায়েস করুনী।

মহিলা ভাই চেয়ারম্যান পদে ৪ জন হলেন- বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান পারুল বেগম, শিউলি বেগম, শাবানা খাতুন ও শেফালী বেগম রেখা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার নির্বাচনে উপজেলার ৭৩টি ভোট কেন্দ্রে নবাবগঞ্জ উপজেলার সাধারণ ভোটাররা গোপন ব্যালোটের মাধ্যমে তারা তাদের মতামত প্রকাশ করবেন। এবার উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা এক লক্ষ ৯৪ হাজার ৭৫ জন। পুরুষ ভোটার ৯৭ হাজার ৮শত ৩৩ জন, মহিলা ভোটার ৯৬ হাজার ২৩৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ৪ জন ।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জানান, অবাধ সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে আমরা ইতিমধ্যে সব ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ করেছি। আমরা নবাবগঞ্জ উপজেলাবাসীকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।

সর্বশেষ সংবাদ

রাফায় বড় অভিযান হলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ: বাইডেন
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল
ভবিষ্যতে শতভাগ কানেক্টিভিটি তার ভূগর্ভে স্থাপন করা হবে: পলক
নয়া সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম বাজেট ঘোষণা ৬ জুন
প্রকল্প-স্থাপনায় ‘শেখ হাসিনা’ নাম না রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট পড়েছে ৩৬.১ শতাংশ
৪৬তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১০৬৩৮
ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ
নওগাঁয় বজ্রপাতে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু
ভারত-কানাডা দ্বন্দ্ব চরমে, পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি
জামিন পেলেন না মিল্টন সমাদ্দার
চীনের আগে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী : হাছান মাহমুদ
গাজায় আরো এক গণকবরের সন্ধান, ৪৯ মরদেহ উদ্ধার
মংডুতে তুমুল সংঘর্ষ, টেকনাফ সীমান্তে ফের আতঙ্ক
ভারতে বেড়েছে মুসলিম, কমছে হিন্দুদের সংখ্যা: রিপোর্ট
নির্বাচনে হেরে গেলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাকের খালাতো ও মামাতো ভাই
শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
'পুনর্জন্ম'র প্রযোজক রূহানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন