মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

তারুণ্য ধরে রাখতে যে কাজগুলো প্রতিদিনই করেন নীতা আম্বানি

ছবি সংগৃহিত

 

ভারত তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনীতম শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তির স্ত্রী হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তিনি রাজকীয়ভাবে জীবন যাপন করেন। সকাল থেকে রাত্রিতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি কোটি কোটি টাকার জিনিস ব্যবহার করেন।

কিছুদিন আগে অনন্ত প্রাক্‌-বিয়ে নিয়ে মেতে ছিল পুরো মিডিয়া। উপস্থিত হয়েছিল বলিউডের প্রথম শ্রেণির তারকারা। এত সব তারকার ভিড়েও আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন নীতা আম্বানি। ষাটের কোঠায় পা দিয়েও নিজের ফিটনেস ও সৌন্দর্য, দুই-ই ধরে রেখেছেন তিনি।

মুকেশ আম্বানি তার ব্যবসার পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মাঝেমধ্যেই খবরের আলোচনায় আসেন। তার স্ত্রী নীতাও কম যান না, অত্যন্ত বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত তিনি। পৃথিবীতে এমন কোন লাক্সারি বস্তু নেই যা তিনি ব্যবহার করেন না। এভাবে রোজকার মতো লাইমলাইটে থাকেন তিনি।

৬০ ছুঁই ছুঁই বয়সেও নীতার চেহারার গ্ল্যামার অটুট। কোনো উঠতি নায়িকা লজ্জা পাবে নীতা আম্বানির লাস্যের কাছে। নীতা আম্বানির জীবনযাপন অবশ্য সাধারণ মানুষের কাছে আলোচ্য বিষয়। পরনের দামি শাড়ি থেকে বহুমূল্য হ্যান্ডব্যাগ অথবা তার জুতো বা ঘড়ি প্রায়শই আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে। তিনি যা করেন সব মেপে মেপে।

নিজের রূপকে সুস্থ রাখতে তিনি ভরসা করেন স্ট্রিক্ট রুটিনের ওপর। অনেকে মনে করেন যে, নীতা আম্বানির এই গ্ল্যামার গ্লো শুধুই কোনো বড় ব্র্যান্ডের কসমেটিকস ব্যবহারের জন্য। কিন্ত আপনাদের জানিয়ে রাখি যে, শুধুই কোনো ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করেই এই গ্লো পাওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য একটি রুটিন মেনে চলেন তিনি। তার রুটিন দেখলে চমকে যাবেন সবাই।

নীতা প্রতিদিন রাত ১০-১১ টার মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন এবং ভোর ৫ টায় উঠে যান। তার দিন শুরু হয় শরীর চর্চার সাথে। তারপর ব্রেকফাস্ট করেন তিনি। এর মধ্যে তার খাবারের তালিকায় থাকে বিটরুটের জুস। সারা দিন এরকমই হেলদি খাবার খেতেই পছন্দ করেন তিনি। কোনরকম ফাস্টফুড ছুঁয়েও দেখেননা। ৬০ পেরিয়েও আজও তিনি লাস্যময়ী আর এভাবেই তিনি তার যৌবন ধরে রেখেছেন।

অন্তত দুই বেলা বিটের জুস পান করেন নীতা আম্বানি। বিটের জুস যেমন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, তেমনই স্টেমিনা ধরা রাখতে সহায়তা করে। আর ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে বিটের বিকল্প নেই।

নীতা আম্বানির মতে, তার সৌন্দর্যের রহস্য পানি। প্রতিদিন যখনই সময় পান, পানি পান করেন, পান করেন ডাবের পানি। যা শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে। ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।

দিনে যত কাজের চাপই থাকুক, শরীরচর্চায় বিন্দুমাত্র ভুল করেন না তিনি। নিয়ম করে যোগব্যায়াম করেন। যোগব্যায়ামের পর সাঁতার। সাঁতার খুবই ভালো ব্যায়াম। শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উপকৃত হয়। রক্ত চলাচলের ব্যবস্থা ভালো থাকে। কার্ডিও দিয়ে শরীরচর্চা শেষ করেন তিনি।

সবুজ শাকসবজির বেশ বড় ভক্ত নীতা। প্রতিদিনের খাবারে সবুজ শাকসবজি থাকা চাই-ই চাই। বিশেষ করে ভিটামিন কে, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন বি–জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করেন তিনি। এ ছাড়া রাতের খাবারে তাঁর জন্য থাকে বিশেষ শাকসবজির স্যুপ। টাটকা খাবার, শাকসবজি খান নীতা।

৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাইরের খাবার খান না তিনি। চিনি ছাড়া ঘরে বানানো খাবারই তার পছন্দ।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে দুই এমপির ভাই-ভাতিজা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৮মে ১ম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছেনা। আবার দল থেকেও দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা। নির্দেশনায় বলা হয় কোন সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন না। কিন্তু চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন দৃশ্য।

দলীয় সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে চুয়াডাঙ্গার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হয়েছেন দুই সংসদ সদস্যের ভাই-ভাতিজা।
এদের একজন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই এবং দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু। তিনি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

অপরজন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের আপন ভাইয়ের ছেলে জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। তিনি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়েও বৈধ হয়েছেন। এর আগে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।

আলী মুনছুর বাবু ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। সে সময় সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ না করে বিদ্রোহী প্রার্থী তার ভাইয়ের পক্ষে ভোটে  অংশ গ্রহণ করায় সে সময়কার দলীয় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টুকে পরাজিত হতে হয়েছিল। সংসদ সদস্য টগর নিজে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হলেও অন্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তিনি ভিন্ন আচরণ প্রদর্শন করেন। এর ফলে সেই সময় থেকে দল দ্বিধা দন্দে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান,সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর নৌকা প্রতীক নিয়ে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নির্দেশে চলেন তার ভাই ও আত্মীয়স্বজনরা।

অপর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সংসদ সদস্যের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

যা বলছেন প্রার্থীরা

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম। তিনি সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম বলেন,‘আমি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি।’

সংসদ সদস্য টগরের ছোট ভাই আলী মুনছুর বাবু জানান, রানিং চেয়ারম্যান আছি বলেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। গতবার দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলাম। যারা চেয়ারম্যান ছিল তারা সবাই ভোট করছে, তাই আমিও এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। শুধু নাটোরে একজন নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। সবাইতো ভোটের মাঠে আছে ।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘গতবার উপজেলা নির্বাচনে ভোট করেছিলাম, সেবার এমপি সাহেব আমার বিপক্ষে ছিল। এবারও আমার বিপক্ষে রয়েছেন। মাঠের পরিস্থিতি ও জনগনের চাপে ভোট করছি।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত মৌখিক গণমাধ্যমে এসেছে। কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহবান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওখানে সিদ্ধান্ত হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বিষয়টি বোঝা যাবে। কারা থাকবে আর কারা থাকবেনা ।’

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক ও  সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিন্দ্বীতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মামুন-অর-রশীদ আঙ্গুর, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিরাজুল ইসলাম কাবা, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী শামীম হোসেন মিজি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সাহাজাদী মিলি,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার কাকলী ও মাসুমা খাতুন।

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৯ টি ভোট কেন্দ্রের ৭৪০ টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এখানে ১ লাখ ৩১ হাজার  ৪৩৭ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৮ জন মহিলা ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এস.এ.এম.জাকারিয়া আলম ও দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক এ্যাডভোকেট আবু তালেব বিশ্বাস।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিউল কবির ইউসুফ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাহিদা খাতুন ও তানিয়া খাতুন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৬ টি কেন্দ্রের ৭০০টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে প্রথম ধাপে ৮ মে। এখানে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৯ জন পুরুষ ভোটার ও ১ লাখ ২২ হাজার ৯৪১ জন মহিলা ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা, কাউন্সিলরের ভাই আটক

বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জে বাকিতে চিপস-সিগারেট বিক্রি না করায় মোশারফ হোসেন (৫৫) নামে এক মুদি দোকানিকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পৌরসভার কাগজীপাড়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক মো. রুবেলকে (৩৫)আটক করেছে পুলিশ। রুবেল মিরকাদিম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেলের ছোট ভাই।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বাড়ির পাশে দোকান থাকায় মোশারফ প্রতিদিন রাতে দোকানেই ঘুমাতেন। সোমবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো: সোহেলের ছোট ভাই রুবেল তাকে ডেকে চিপস আর সিগারেট বাকি চায়।

কিন্তু বাকি দিতে অস্বীকৃতি জানান মোশারফ। এ নিয়ে রুবেলের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মুদি দোকানদার মোশারফকে দোকান থেকে টেনে বের করে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন ঘাতক রুবেল। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে মোশারফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খায়রুল হাসান জানান, বাকি দেওয়াকে কেন্দ্র করে মোশারফকে কুপিয়ে হত্যা করেন কাউন্সিলরের ভাই রুবেল। এই ঘটনায় রুবেলকে আটক করা হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।

তারেক রহমানের নির্দেশে ফিরানো হলো খোকনকে

ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন । ফাইল ছবি

অবশেষে বহিষ্কারের ১০ দিন পর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পদ থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। মূলত তারেক রহমানের নির্দেশে দুঃখ প্রকাশ করে চিঠি দেয়ার পর এই বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক জিয়াউর রহমান এ তথ্য জানান।


দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদ নেয়ায় ব্যারিস্টার খোকনকে বহিষ্কার করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি। ২১ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দফতর সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়

বিগত ৬ ও ৭ মার্চ ছিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। সভাপতি পদে নির্বাচিত হতে মরিয়া ছিলেন সাতবারের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক এবং দুবারের সভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দলের বেশিরভাগ নেতাকর্মীর যখন এ নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনও মাথাব্যথা ছিলো না, তখন ভোট গণনার সময় উপস্থিতি স্পষ্ট করে তার আগ্রহ।

নানা জটিলতা শেষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ফলাফল আসে তিনদিন পর ১০ মার্চ। মাহবুব উদ্দিন খোকনের ঝুলিতে ওঠে সভাপতির পদ। কিন্তু এবার শুরু হয় দলীয় নাটক।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত আসে নির্বাচিত হলেও দায়িত্ব নিতে পারবেন না সভাপতি। তবে ফোরামের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শাস্তি হিসেবে তাকে ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এতে ফোরামে দেখা দেয় বিভক্তি।

 

সর্বশেষ সংবাদ

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে দুই এমপির ভাই-ভাতিজা
বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা, কাউন্সিলরের ভাই আটক
তারেক রহমানের নির্দেশে ফিরানো হলো খোকনকে
এএসপি পদে পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক
দুদকের মহাপরিচালক হলেন শিরীন পারভীন
শাকিবের বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
চুনাপাথর নিয়ে দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিক
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু, ৮ জনই পুরুষ
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
সম্পত্তি ভাগাভাগির জেরে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যু
নারী ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ইসির নির্দেশ
‘দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায়না’
মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি
নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা
কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫
বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং
টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের খোঁজ মিলল ভারতে!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে