বুধবার, ১ মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

সাভারে বোট ক্লাবে গিয়ে মদপানের পর ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় ক্লাবের পরিচালক ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।

এদিন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। আদালত শুনানি শেষে এ বিষয়ে পরে আদেশের জন্য সময় রেখেছেন। মামলার অন্য আসামি হলেন পরীমনির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি।

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

 তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়-

মামলার সাক্ষী তুহিন সিদ্দিকি অমির সঙ্গে জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে মাঝে মধ্যে ম্যাসেঞ্জারে যোগাযোগ হতো এবং একে অপরের বাসায় আসা যাতায়াত ছিল। ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জিম অমিকে ম্যাসেঞ্জারে কল করে বনানীর বাসায় যেতে অনুরোধ করেন। বাসায় যাওয়ার পর অমির সঙ্গে পরীমণি এবং ফাতেমা তুজ জান্নাত বনিদের সাক্ষাৎ হয়।

এরপর তারা অমির কাছে জানতে চান এত রাতে উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? উত্তরে অমি জানান, রাত বেশি হচ্ছে তাই এখন উত্তরা ক্লাবে যাওয়া যাবে না। তখন জিমি জানতে চান যে, তাহলে বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে কি না? জবাবে ঢাকা বোট ক্লাবে যাওয়া যাবে মর্মে জানান অমি। তখন পরীমণির অনুরোধে অমিসহ তারা চারজন অমির কালো রঙের জিপ গাড়িতে করে রাত ১২টা ২২ মিনিটে ঢাকা বোট ক্লাবে আসেন। গাড়ির পেছনে পরীমণির সাদা রঙের খালি জিপ গাড়ি বোট ক্লাবে প্রবেশ করে।

ক্লাবের দোতলায় উঠে প্রথমে পরীমণি ও ফাতেমা তুজ জান্নাত বনি বারের সামনে থাকা টয়লেট ব্যবহার শেষে বারের ভেতরে প্রবেশ করেন এবং টিভির সামনের টেবিলে বসেন। টেবিলে সাক্ষী অমিও বসেন। সৌজন্যতার খাতিরে অমি তাদেরকে স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার নিজ খরচে পরিবেশন করে আপ্যায়ন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরীমণি একটি এক লিটারের ব্লু-লেবেল মদের বোতল অর্ডার করেন। পরীমণি ও তার সঙ্গে থাকা জিম ও বনি নিমিষেই সেই বোতলের এ্যালকোহল পান করে বোতল খালি করে ফেলেন এবং অনুরূপ আরেকটি বোতলের অর্ডার করেন। তারা ঐ বোতলের আংশিক মদ পান করেন।

একপর্যায়ে পরীমণিকে নিয়ে নাছির মাহমুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পুনরায় তাদের টেবিলে এসে বসে মদ্যপানসহ গল্পগুজব করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর নাছির মাহমুদ ও তার সঙ্গে থাকা আরও দুজন যখন বার থেকে চলে যাচ্ছিলেন, তখন পরীমণি নাছির মাহমুদকে ডেকে বললেন, ‘ভাই আমি আসলাম, আর আপনি এক্ষুনি চলে যাচ্ছেন? আমাদের সঙ্গে আরেকটু বসেন। আসেন কিছুক্ষণ গল্প করি।’

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

 তখন পরীমণির অনুরোধে নাছির মাহমুদ ফিরে এসে পুনরায় তার টেবিলে বসেন। কিছুক্ষণ পর ড্রিংকস শেষে পরীমণি ওয়েটারকে আরও এক লিটারের তিনটি ব্লু লেবেল মদের বোতলসহ দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দেওয়ার জন্য অর্ডার করেন। ওয়েটার তখন পরীমণিকে দুই বোতল ওয়াইন পার্সেল দিলেও ব্লু লেবেল মদের বোতল স্টকে না থাকায় পার্সেল দিতে পারেননি।

তখন পরীমণি ডিসপ্লেতে থাকা একটি ব্লু লেবেল বোতল পার্সেল করে দিতে বললে ওয়েটার জানান বোতলটি বিক্রির জন্য নয় এবং ক্লাবের মেম্বার ছাড়া পার্সেল দেওয়া যাবে না। কিন্তু পরীমণি জোর করে ঐ বোতল নিতে চান এবং টেবিলে হট্টগোল করতে থাকেন। পরীমণি উত্তেজিত হয়ে কার্ডহোল্ডার বের করে দুই-তিনটি ব্যাংক কার্ড দেখিয়ে বলেন, ‘আমি কি ফকিরনি? আমার বিল আমি পরিশোধ করব। আমি এটা নেবই।’

এ সময় পরীমণির সঙ্গে থাকা জিম তাকে শান্ত করতে গেলে তাকেও পরীমণি থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পরীমণি খুবই উত্তেজিত হয়ে টেবিলের উপর থাকা গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ফ্লোরে এদিক ওদিক ছুঁড়তে থাকেন। তখন নাছির মাহমুদ ক্লাবের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরীমণিকে বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এতে পরীমণি আরও ক্ষেপে গিয়ে একটি অ্যাশট্রে নিয়ে তার দিকে ছুড়ে মারেন। যা তার ডান কানের উপরে মাথায় লাগে। তখন নাছির মাহমুদ ক্লাবে পরীমণিকে সঙ্গে করে আনায় অমির উপর রেগে যান এবং বলেন, ‘এরকম বেয়াদব মহিলা নিয়ে কেন ক্লাবে আসেন, কাল আপনার নামে নোটিশ হবে। এক্ষুনি এদেরকে নিয়ে বেরিয়ে যান।’

তখন জিম তেড়ে এসে নাছির মাহমুদকে গালমন্দ করে ২/৩ টা কিলঘুসি মারেন। এরপর আবারও পরীমণি বারের ভেতরে যত্রতত্র গ্লাস ছুড়ে ভাঙচুর করতে থাকেন। একটি গ্লাস নাছির মাহমুদের বুকে লাগলে তিনি আঘাতপ্রাপ্ত হন। তখন নাছির মাহমুদ বোট ক্লাব ত্যাগ করে চলে যান। ক্লাব ত্যাগ করার মুহূর্তে পরীমণিকে ক্লাব ছেড়ে চলে যেতে বলার জন্য ক্লাবের নিচে কর্মরত সিকিউরিটি গার্ডকে নির্দেশ দিয়ে যান। নাছির মাহমুদ আহত অবস্থায় ঐ রাতে আড়াইটার দিকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এরপর দুই বোতল ব্লু লেবেলের দাম ও পার্সেলে নেওয়া দুই বোতল ওয়াইনের দাম পরিশোধ না করেই ক্লাব থেকে চলে যায় পরীমণিরা। এই চারটি বোতলের দাম ৮৭ হাজার ৬৫০ টাকা। এছাড়া ক্লাবের বারের ভেতরে গ্লাস, অ্যাশট্রে, বোতল ভাঙচুর করায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়।

Header Ad

ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার টেকনাফ হ্নীলা এলাকায় ফেসবুকে ছবি পোস্টে কমেন্ট করা নিয়ে তর্কের জেরে নাছির উদ্দীন নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এমন ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে টেকনাফ হ্নীলা পশ্চিম সিকদারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ নেতা নাছির উদ্দীন হ্নীলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক। হ্নীলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ফুলের ডেইল এলাকার বাসিন্দা তিনি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নাছির উদ্দীন বলেন, কিছুদিন আগে ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আজিম আওয়ামী লীগকে কটাক্ষ করে পোস্ট করেন। সেটি আমার চোখে পড়লে তার পোস্টে কমেন্ট করে আমি এর প্রতিবাদ জানাই। এরপর তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকেন। আমি সেটি খুব সাধারণ ভাবেই নিয়েছিলাম। সেদিন আমার ছোট বোনের বিয়ে উপলক্ষ্যে দাওয়াতের কার্ড নিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে ফিরছিলাম। আমি হ্নীলা পশ্চিম সিকদার পাড়া পল্লী চিকিৎসক সোহেলের চেম্বারের সামনে পৌঁছানো মাত্র ছাত্রদলের ১০-২০ জন নেতাকর্মী আমার গতিরোধ করে মারধর শুরু করেন। আমাকে বাঁচানোর জন্য স্থানীয় একজনও এগিয়ে আসেনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাশেদ মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, একজন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে একটি স্টেশনের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার চেয়ে জঘন্য কাজ আর হতে পারে না। ঘটনা শোনার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এ সময় অপরাধীরা পালিয়ে যায়। আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনী বলেন, আমি শুনেছি ফেসবুকে পোস্ট করা নিয়ে তর্কের জেরে এই ঘটনা ঘটে। আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল আমি নিজেই সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করব।

শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (১ মে) সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র পক্ষ থেকে খাবার পানি, স্যালাইন বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ২০১৮ সালে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে গিয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ আগের রাতেই ভোট কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় গিয়েছিল। বিএনপির মতো এত বড় রাজনৈতিক দলকে ৫টি আসন ধরিয়ে দিয়েছিল। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম করে, নির্যাতন করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে ভোট ডাকাতি করেছিল তারা।

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, জনগণ সরকারের পতন চায়। ভোটের অধিকার চায়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা চায়। এভাবে জুলুম করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বর্তমানে যে ভয়াবহ দুর্যোগ চলছে তা শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়, এটি ক্ষমতাসীনদের অপরিকল্পিত উন্নয়নের সৃষ্ট দুর্যোগ। তথাকথিত উন্নয়নের নামে পদ্মা সেতু, মে্ট্রোরেল নির্মাণ, ফ্লাইওভার নির্মাণের নামে শুধু লুটপাট করা হয়েছে। আর সে টাকা বিদেশে পাচার করে অট্রেলিয়া, দুবাই, কানাডায় সেকেন্ডহোম তৈরি করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, সাবেক মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, মাহমুদুর রহমান সুমন, তারিকুল আলম, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি, তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরো উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

বুধবার (১ মে) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যে সব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানা মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা থেকে কেউ বঞ্চিত করলে, সে যত বড় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হোক না কেন তাকে আমরা ছাড়বো না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। মালিকদের বলবো, শিল্প কলকারখানা শিল্প মালিকরা বিলাসিতা কমিয়ে শ্রমিকদের দিকে নজর দিবেন, সেচাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আমরা শিল্প কারখানা যেন বন্ধ না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশের নারীরা সমমজুরি পায়। আমাদের সময় নারী শ্রমিকদের সংখ্যা ৪৩ দশমিক ১ ভাগে বৃদ্ধি পেয়েছে। মেয়েরা সব জায়গায় কাজ করতে পারে। আমরা সেই সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা সরকার গঠন করে আমাদের প্রধান কাজ হলো মানুষের কল্যাণ করা। সেই প্রচেষ্টাই আমরা হাতে নিয়েছিলাম। আমরা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ২০০৮ নির্বাচনের ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ এম ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের (বিইএফ) সভাপতি আরদাশীর কবির, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান।

সর্বশেষ সংবাদ

ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী
যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব!
সৌদি আরবে ভারী বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, মদিনায় রেড এলার্ট!
সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা
বৃষ্টি নিয়ে সুসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় নিহত বেড়ে ১৬৯, নিখোঁজ শতাধিক
টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নারীসহ নিহত ২
শ্রমিকের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে সরকার: রাষ্ট্রপতি
‘আমার জীবনটা এখানেই থেমে গেলো’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: ভিনিসিয়ুসের জোড়া গোলে বায়ার্নকে রুখে দিলো রিয়াল
মহান মে দিবস: শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দিন আজ
মহাদেবপুরে খাদ্যগুদামের ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফিলিপাইনে গরমে জেগে উঠল ৩০০ বছর আগে ডুবে যাওয়া শহর
দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের
সুন্দরবনের খালে ভাসছে মরা বাঘ
তিন ইসলামি ব্যাংকের ‘ঋণ কেলেঙ্কারি’ তদন্তের নির্দেশ বাতিল