মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন আরও ৫০ বিচারক

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ভূপালে অবস্থিত ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি ও একটি স্টেট একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এ অনুমতি দেয় আইন মন্ত্রণালয়।

প্রশিক্ষণের জন্য সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগীয় এ কর্মকর্তারা আগামী ৬ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করবেন।

সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের প্রেক্ষিতে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমি, ভূপাল ও একটি স্টেট জুডিসিয়াল একাডেমিতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ৫০ জন বিচারককে অনুমতি দেওয়া হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয় ভারত সরকার বহন করবে। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই। ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয় বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং ভারতের ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমির মধ্যে। ওই চুক্তির পর একই বছরের ২৯ জুলাই এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ভারতের প্রত্যেকটা রাজ্যে একটি জুডিসিয়ারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট আছে উচ্চ আদালতের বিচারকদের ট্রেনিংয়ের জন্য। ভূপালে তাদের জাতীয় জুডিসিয়ারি একাডেমি আছে। সেখানে আমাদের ১৫শ থেকে ১৬শ বিচারকের ট্রেনিংয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’

এরপর প্রথমবারের মতো ওই বছরের ১০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে ভারতে যান বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা। পর্যায়ক্রমে এরইমধ্যে অনেক বিচারক এই প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া।

এর আগে, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে দায়ের করা মামলা স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।

২০২১ সালে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র খামার ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নুর জাহান বেগম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শামসুদ দোহা, বোর্ড সদস্য ইমামুস সুলতান, রতন কুমার নাগ ও শাহ জাহান।

মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, মামলার বাদী অবসর গ্র্যাচুইটি ও অর্জিত ছুটি বাবদ নয় লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে ড. ইউনূসসহ আরও ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বাদী গোলাম মোস্তফা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন ইউনিট কার্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে বাদীর অবসর গ্র্যাচুইটি এবং অর্জিত ছুটি নগদায়ন বাবদ পরিশোধ না করে তাকে অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়। এছাড়া, পাওনা পরিশোধ করতে প্রতিষ্ঠানটি টালবাহানা করে আসছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

বিরামপুরে বন্ধুর পড়ে যাওয়া ব্যাগ তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাদ্রাসাছাত্র নিহত

নিহত মাদ্রাসাছাত্র বকুল হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে ট্রেনে ওঠার সময় বন্ধুর পড়ে যাওয়া ব্যাগ তুলতে গিয়ে অন্য আরেক ট্রেনের ধাক্কায় বকুল হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসার ছাত্র নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বিরামপুর রেলস্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্ম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বকুল হোসেন উপজেলার হাবিবপুর এলাকার মেহেদুল ইসলামের ছেলে। সে হাবিবপুর দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিরামপুর স্টেশন মাস্টার আনন্দ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত কিশোরের মামা হামিদুর রহমান জানান, সকালে বকুলের বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে ঢাকায় যাচ্ছিল। বন্ধুদের ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বকুল প্লাটফর্মে আসে। এ সময় বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশনে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল। বন্ধুদের ট্রেনে ওঠার পরই এক বন্ধুর ব্যাগ রেললাইনে পড়ে যায়। বকুল ব্যাগটি তোলার সময় দুই নম্বর লাইন দিয়ে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে। এসময় স্থানীয়রা দ্রুত বকুলকে উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জান্নাতুন ফেরদৌস জানান, নিহত কিশোর বুকে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিল। হাসপাতালে আসার আগেই সে মারা যায়।

বিরামপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনন্দ কুমার চক্রবর্তী জানান, সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরামপুর ১ নম্বর প্লাটফর্মে এসে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটির সঙ্গে ক্রসিংয়ের জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। সকাল ৯ টা ২১ মিনিটের দিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে ঢোকার সময় বগির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে যায় বকুল নামের এক কিশোর। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে দুই এমপির ভাই-ভাতিজা

বামে আলী মুনসুর বাবু এবং ডানে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার । ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৮মে ১ম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছেনা। আবার দল থেকেও দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশনা। নির্দেশনায় বলা হয় কোন সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারবেন না। কিন্তু চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন দৃশ্য।

দলীয় সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে চুয়াডাঙ্গার উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হয়েছেন দুই সংসদ সদস্যের ভাই-ভাতিজা।
এদের একজন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের আপন ভাই এবং দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু। তিনি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

অপরজন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের আপন ভাইয়ের ছেলে জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। তিনি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র বাছাইয়েও বৈধ হয়েছেন। এর আগে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।

আলী মুনছুর বাবু ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন। সে সময় সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ না করে বিদ্রোহী প্রার্থী তার ভাইয়ের পক্ষে ভোটে  অংশ গ্রহণ করায় সে সময়কার দলীয় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টুকে পরাজিত হতে হয়েছিল। সংসদ সদস্য টগর নিজে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হলেও অন্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে তিনি ভিন্ন আচরণ প্রদর্শন করেন। এর ফলে সেই সময় থেকে দল দ্বিধা দন্দে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান,সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর নৌকা প্রতীক নিয়ে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার নির্দেশে চলেন তার ভাই ও আত্মীয়স্বজনরা।

অপর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সংসদ সদস্যের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

যা বলছেন প্রার্থীরা

এদিকে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম। তিনি সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম বলেন,‘আমি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। তাই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছি।’

সংসদ সদস্য টগরের ছোট ভাই আলী মুনছুর বাবু জানান, রানিং চেয়ারম্যান আছি বলেই নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। গতবার দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলাম। যারা চেয়ারম্যান ছিল তারা সবাই ভোট করছে, তাই আমিও এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। শুধু নাটোরে একজন নির্বাচন থেকে সরে গেছেন। সবাইতো ভোটের মাঠে আছে ।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘গতবার উপজেলা নির্বাচনে ভোট করেছিলাম, সেবার এমপি সাহেব আমার বিপক্ষে ছিল। এবারও আমার বিপক্ষে রয়েছেন। মাঠের পরিস্থিতি ও জনগনের চাপে ভোট করছি।’

চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত মৌখিক গণমাধ্যমে এসেছে। কার্যনির্বাহী কমিটির সভা আহবান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওখানে সিদ্ধান্ত হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বিষয়টি বোঝা যাবে। কারা থাকবে আর কারা থাকবেনা ।’

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক ও  সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিন্দ্বীতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মামুন-অর-রশীদ আঙ্গুর, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মিরাজুল ইসলাম কাবা, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী শামীম হোসেন মিজি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সাহাজাদী মিলি,সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার কাকলী ও মাসুমা খাতুন।

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৯ টি ভোট কেন্দ্রের ৭৪০ টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এখানে ১ লাখ ৩১ হাজার  ৪৩৭ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৮ জন মহিলা ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এস.এ.এম.জাকারিয়া আলম ও দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক এ্যাডভোকেট আবু তালেব বিশ্বাস।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিউল কবির ইউসুফ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাহিদা খাতুন ও তানিয়া খাতুন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৯৬ টি কেন্দ্রের ৭০০টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে প্রথম ধাপে ৮ মে। এখানে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৯ জন পুরুষ ভোটার ও ১ লাখ ২২ হাজার ৯৪১ জন মহিলা ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
বিরামপুরে বন্ধুর পড়ে যাওয়া ব্যাগ তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাদ্রাসাছাত্র নিহত
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে দুই এমপির ভাই-ভাতিজা
বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে কুপিয়ে হত্যা, কাউন্সিলরের ভাই আটক
তারেক রহমানের নির্দেশে ফিরানো হলো খোকনকে
এএসপি পদে পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক
দুদকের মহাপরিচালক হলেন শিরীন পারভীন
শাকিবের বিয়ে নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
চুনাপাথর নিয়ে দেশের পথে এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিক
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু, ৮ জনই পুরুষ
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন
সম্পত্তি ভাগাভাগির জেরে ছেলের মারধরে বাবার মৃত্যু
নারী ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে ইসির নির্দেশ
‘দেশের ৭৩ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার পায়না’
মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি
নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা
কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫
বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং
টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি