বুধবার, ৮ মে ২০২৪ | ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

তরমুজ গাছে রোগ, অর্ধশত কোটি টাকার বেশি ক্ষতি

যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই সবুজের সমারোহ। এ যেন তরমুজ গাছের লতায় জড়ানো উপকূল। তরমুজ গাছের ভালো ফলনে লাভের আশায় বুক বেঁধেছিলেন চাষিরা। কিন্তু এখন হাসি আর আশার পরিবর্তে তাদের কপালে ফুটে উঠেছে চিন্তার রেখা। বুকভরা স্বপ্ন এখন হাহাকারে পরিণত হয়েছে।

হঠাৎ করেই তরমুজ গাছের পাতা কুঁকড়ে ফুল ঝরে গিয়ে গাছও মরে যাচ্ছে। এমনকি ফল ধরলেও তা ফেটে নষ্ট হচ্ছে।

পটুয়াখলীর উপকূলীয় উপজেলা রাঙ্গাবালী তরমুজ উৎপাদনে অন্যতম প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত। বিগত কয়েক বছর চাষিরা লাভের মুখ দেখলেও এবার উপজেলার অনেক তরমুজ ক্ষেতই আক্তান্ত হয়েছে রোগে। ফলে চাষিরা এখন দিশেহারা। এনজিও বা মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন অনেকে। আশা ছিল, ভালো দামে তরমুজ বিক্রি করে শোধ করবেন ঋণ। সেই সঙ্গে স্বচ্ছলতা আসবে সংসারে। কিন্তু এখন ঋণ পরিশোধ করাই দায় হয়ে পড়েছে।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর শতকরা ১০ শতাংশ তরমুজ ক্ষেত রোগের আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলার কাউখালী, হরিদ্রখালী, গহিনখালী, আমলিবাড়িয়া, কাজির হাওলা ও চর ইমারশনসহ অন্তত ১০টি চরে দেখা গেছে রোগের সংক্রমণ। তবে এখনও রোগটির নাম বলতে পারেনি কৃষি বিভাগ।

রোগটিতে কোনো কোনো ক্ষেতের গাছ মরে গেছে, কোনো ক্ষেতে ফল বড় হচ্ছে না, আবার কোনো কোনো ক্ষেতে ফলের ওপর ফোটা ফোটা হলুদ দাগ পড়েছে। স্বপ্নের তরমুজ গাছ মরে যাওয়ায় কেউ কেউ ক্ষেত ফেলে চলে গেছেন।

পরিত্যক্ত এসব ক্ষেতের মরা গাছগুলো গবাদিপশুর খাবার হয়েছে। ক্ষেতগুলো এখন গবাদিপশুর চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

তরমুজ চাষি আনোয়ার হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে জানান, আমি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়কাছিয়া এলাকা থেকে এসে এখানে ছয় একর জমিতে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে তরমুজ আবাদ করছি। চার বছর ধরে আমি এ এলাকায় তরমুজ আবাদ করি। প্রত্যেকবার লাভের মুখ দেখলেও এবার মূলধনই শেষ। তাই বাধ্য হয়ে ক্ষেতের আশা ছেড়ে দিয়েছি। দুঃখ, হতাশা, ঋণের দায় নিয়ে ছলছল চোখে ক্ষেত ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, 'ধার-দেনা করে লাভের আশায় তরমুজ চাষ করছি। কিন্তু ভাইরাসে (অজানা রোগ) এবার সব শ্যাষ। মাসের পরে মাস কাঠপোড়া রোদে দিন-রাত শ্রম দিলাম, এখন এর সবই বৃথা।'

তরমুজ চাষি বেল্লাল প্যাদা ঢাকাপ্রকাশকে জানান, 'প্রায় ১৫ বছর ধরে আমি তরমুজের চাষ করি। এবারও ১০ একর জমিতে ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে তরমুজ আবাদ করছি। কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, আসলই উঠছে না। মাত্র ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারছি।'

স্থানীয় তরমুজ চাষি আক্তার হোসেন, মেজবাহউদ্দিন, রফিক প্যাদা, মিথেল হাওলাদার, মফিদুল হাওলাদার, রায়হান মৃধাসহ বেশ কয়েকজন চাষি ঢাকাপ্রকাশকে জানান, যারা তরমুজ চাষ করেন, তাদের অনেকেই অন্যের জমি একসনা (এক বছরের জন্য ভাড়া নেন) বন্দোবস্ত নিয়ে আবাদ করেন। জমিসহ প্রতি একরে ক্ষেত প্রস্তুত থেকে ফল কাটা পর্যন্ত ৭০-৮৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বেশিরভাগ চাষি এনজিও বা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করেছেন। কেউ কেউ আবার আড়তদারের কাছ থেকে দাদন এনে তরমুজ আবাদ করেছেন। কিন্তু চলতি মৌসুমে অজানা রোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা এবার সর্বস্বান্ত। কীভাবে পাওনা টাকা পরিশোধ করবেন, তা নিয়ে এখন তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, তরমুজ লাভজনক ফল হওয়ায় প্রতিবছরই এর আবাদ বাড়ছে এ অঞ্চলে। চলতি মৌসুমে এ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ৪৪৯ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার ৮১৯ হেক্টর বেশি জমি।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি হেক্টরে ৩৫ থেকে ৪০ মেট্রিকটন হারে তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। যা থেকে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আবাদের ১০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক হাজার হেক্টর ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে ৫০ কোটি টাকার লোকসান হবে চাষিদের, এমনটাই ভাষ্য কৃষি বিভাগের।

কিন্তু কৃষকরা বলছেন, ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি।

সম্প্রতি জেলার আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের একটি দল রোগাক্রান্ত তরমুজ ক্ষেতগুলো পরিদর্শন করেছে। তারা এটিকে পাতা কোঁকড়ানো রোগ বলছেন। আর চাষিরা বলছেন, এটি একটি ‘ভাইরাস’।

জলবায়ু নিয়ে কাজ করা সংস্থা ভার্কের উপজেলা সমন্বয়কারী মোহসীন তালুকদার ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, তিনটি কারণে তরমুজ ক্ষেতে এ রোগ দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করছি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৈশ্বিক উঞ্চতা বৃদ্ধি ও লবণাক্ততা এবং পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়ে ধীরে ধীরে এর প্রভাব দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। উপকূলীয় এলাকায় দিন ও রাতে তাপমাত্রার ব্যাপক তারতম্য দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয়ত সঠিক পরামর্শ না পেয়ে কৃষক জমিতে অধিকমাত্রায় কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। তৃতীয়ত একই জমিতে বারবার তরমুজ আবাদ করায় এমনটা হতে পারে।

তিনি আরও জানান, এ ক্ষতি থেকে আগামীতে পরিত্রাণ পেতে কৃষকদের জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল উৎপাদন ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, তরমুজ আবাদের শুরুতে দিনে ও রাতে তাপমাত্রার ব্যাপক পার্থক্যের কারণে গাছে পোকা মাকড়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ কারণে কোনো পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত বালাইনাশক (কীটনাশক) প্রয়োগের কারণে পাতা কোঁকড়ানো রোগ হতে পারে বলে ধারণা করছি। আক্রান্ত এলাকার কৃষকদের কীটনাশক ও মাকড়নাশক স্প্রে করার ব্যবহার সম্পর্কে পরামর্শ সম্বলিত প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইফতেকার মাহমুদ ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, রাঙ্গাবালীর তরমুজ থেকে প্রথম যে বিষয়গুলো দেখেছি, তা হলো গাছের কাণ্ড ফেটে রস বের হচ্ছে, কাণ্ড কালো হয়ে গেছে, গাছ ঢলে পড়েছে, পাতা কুঁকড়ে গেছে। আসলে এক জমিতে এক ফসল বারবার ফলালে রোগবালাই বেশি হয়। পোকা-মাকড়ের উপদ্রপও দেখা দেয়।

টিটি/

Header Ad

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগের ভেতর থেকেও ২০০৭ সালের ৭ মে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে এলে বিমানবন্দরেই মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার (৭ মে) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালের ৭ মে সব বাধা উপেক্ষা করে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে অনির্ধারিত এই আলোচনার সূত্রপাত করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। বহুল আলোচিত ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে উত্থাপিত এ আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকের দিনটা (৭ মে) আমার জীবনের অনন্য দিন, কারণ আমি সেদিন দেশে ফিরে এসেছিলাম শত বাধা অতিক্রম করে। আমাকে সেই সময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেক উপদেষ্টাও ফোনে বলেছিল আপনি আসবেন না, আপনি বাইরে থাকেন, যা যা লাগে করব। আবার কেউ কেউ ধমকও দিয়েছিল। এ কথা বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে ফিরলে ওই এয়ারপোর্টেই মেরে ফেলে দেবে। আমি বলেছিলাম আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজের দেশের মাটিতেই তো কিন্তু আমি আসব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল এয়ারলাইন্সকে নিষেধ করা হয়েছিল, আমাকে বোর্ডিং পাস যেন না দেওয়া হয়। আমেরিকায় তিন ঘণ্টা এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে তাদের সঙ্গে ঝগড়া করে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে লন্ডন পর্যন্ত আসি। লন্ডনে যেদিন আমি বিমানে উঠতে যাব উঠতে দেওয়া হয়নি। সে দিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেভাবেই হোক আমি দেশে ফিরব। এমনকি আমি যখন এয়ারপোর্টে রওনা হই, তখন অনেকে আমাকে ফোনে বলেছে আপনি আসবেন না, আসলে আপনাকে মেরে ফেলে দেবে। আমি পরোয়া করিনি। তবে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মী ভাইদের প্রতি।

শেখ হাসিনা বলেন, তখন বলা হয়েছিল যে কেউ যেন এয়ারপোর্ট না যায়। এমনকি আমার দলের ভেতর থেকেও। তখন দলের যিনি সেক্রেটারি ছিলেন তিনি সবাইকে বলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্টে গেলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। আর আমাদের নেতা-কর্মী কেউ রাস্তায় থাকতে পারবে না। আমি শুধু একটাই মেসেজ দিয়েছিলাম সবাই থাকবে। আমরা গেরিলা যুদ্ধ করেছি, সবাই থাকবা, তবে ঘাসের সঙ্গে থাকবা, আমি বলেছিলাম আমার প্লেনটা না নামা পর্যন্ত, আমি দরজা খুলে না বের হওয়া পর্যন্ত তোমরা বের হবে না।

তিনি বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল, আমি গাড়িতে উঠলে আমাকে একটা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি ড্রাইভারকে বলেছিলাম যেদিকে মানুষ যাচ্ছে সেদিকে যাবা, ফ্লাইওভারের উপরে উঠবা না। হাজার হাজার মানুষ তখন রাস্তায়। আমার দলের কিছু লোকের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শুধু সংবর্ধনা নয় আমাকে নিরাপত্তাও দিয়েছে নেতা-কর্মীরা।

তিনি আরও বলেন, সেই সময় কালে ভদ্রে দুই এক জন আমার কাছে আসতে পারত। সাবিনা ইয়াসমিন অসুস্থ, আমি গেরিলা কায়দায় বেরিয়ে গিয়েছিলাম। পুলিশের চোখ এড়িয়ে আমি হাসপাতালে যাই। সেদিন সেখানে আমি খুব কড়া কথা বলি, আমি বলেছিলাম সে সময় দেশ চালাচ্ছে কে? পরের দিন সকালে পুলিশ এসে হাজির। আমাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে সংসদ ভবনের এক পরিত্যক্ত নোংরা ভবনে। সেখানেই আমাকে বন্দি করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এই দিন নয়, ৮৩ সালেও এরশাদ সাহেব আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছিল ৩০ হেয়ার রোডে লাল দালানে। সেখান থেকে ডিজিএফআই অফিসে নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে। এরশাদ সাহেব আমাকে আরও কয়েকবার গ্রেপ্তার করে। আমি মতিয়া আপা, সাহারা আপা (এখন নেই) আমাদের তিনজনকে এক সঙ্গে নিয়ে কন্ট্রোল রুমে সারা রাত বসিয়ে রাখে। শুধু তাই নয়, বার বার গ্রেপ্তার সরাসরি গুলি বোমা গ্রেনেড সব কিছু অতিক্রম করে আজকে এখানে এসে জনগণের সেবা করতে পারছি। এখন আমি শুধু দাঁড়িয়েছি, বাংলাদেশের জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানাতে, দলের নেতা-কর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানাতে।

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর

স্বামীকে নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! শুধু তাই নয়। স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করেন স্ত্রী।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিজনোরে। যদিও অভিযুক্ত মহিলার অভিযোগ, স্বামী তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করেন। তিনি প্রতিবাদ করলে স্বামী তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। যার জেরে নিজের প্রাণ বাঁচাতেই তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিসের কাছে দাবি করেছেন অভিযুক্ত স্ত্রী। খবর: জি ২৪ ঘণ্টা

তবে পুলিশ এই ঘটনায় নির্যাতনের অভিযোগে ২৮ বছরের ওই স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। নির্যাতিত স্বামী বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তার অভিযোগ, অভিযুক্ত মেহের জাহান ২৯ এপ্রিল দুধে নেশার সামগ্রী মিশিয়ে স্বামীকে সেই দুধ পান করতে বাধ্য করেন। এরপর স্বামী বেহুঁশ হয়ে পড়লে স্বামীর হাত-পা বেঁধে তার সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। শুধু তাই নয় সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে তার সারা শরীর পুড়িয়ে দেয়। এমনকি গোপনাঙ্গেও ছ্যাঁকা দেয়। গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ।

জানা গেছে, গত নভেম্বরের ১৭ তারিখ সেওহারা থানা এলাকার সাফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা মেহের জাহানকে বিয়ে করেন মান্নান। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি। স্বামীর অভিযোগ, বিয়ের কয়েকদিন পর তিনি দেখতে পান যে তার স্ত্রী মদ্যপ এবং ধূমপান করেন। তিনি বাধা দিলে স্ত্রী তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।

পাল্টা মেহের জাহানেরও অভিযোগ, স্বামী মান্নান তার উপরে নির্যাতন চালান বিবাদের সময়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর করছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছবি: সংগৃহীত

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার (৭ মে) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে এ পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে সংস্থাটি।

এদিন দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত জাতীয় পরিচয়পত্রটি হস্তান্তর করেন।

এসময় সচিব কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। পর্যায়ক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এটি মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের অনন্য স্বীকৃতি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের কল্যাণে সম্মানী ভাতা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে এবং যেকোনো প্রয়োজনে সরকার সবসময় তাদের পাশে থাকবে।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

বিমানবন্দরেই মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী
হাত-পা বেঁধে স্বামীর গোপনাঙ্গে সিগারেটের ছ্যাঁকা! সিসিটিভি ফুটেজে পর্দাফাঁস স্ত্রীর
বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ির মানে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’: দেবপ্রিয়
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন
বন্ধুদের আড্ডায় রাসেল ভাইপারের ছোবল, প্রাণ গেল রাবি শিক্ষার্থীর
সিক্স-জি নেটওয়ার্ক নিয়ে হাজির জাপান, গতি ফাইভ-জি’র চেয়ে ২০ গুণ
হ্যাটট্রিক জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তৃতীয় বিয়ের আলোচনার মধ্যে ‘তুফান’ নিয়ে হাজির শাকিব খান
ডেঙ্গুতে আমার মা মারা গেছেন, আর কেউ যেন মারা না যায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিনেমায় আসছেন সোহেল চৌধুরী–দিতির কন্যা লামিয়া
৬ মাসের মধ্যে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালু : মন্ত্রী
টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
ডামি ও প্রতারণার উপজেলা নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই : রিজভী
কারওয়ান বাজারে হঠাৎ প্রাইভেটকারে আগুন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে লাগবে ডোপ টেস্ট
ম্যাডোনার কনসার্টে হাজির ১৬ লাখ দর্শক
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
এ বছর পুলিৎজার পুরস্কার পেল যেসব সংবাদমাধ্যম