শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

গ্রন্থহীন লেখক কবি গোপেন্দ্রনাথ সরকার

গোপেন্দ্রনাথ সরকার গল্প-প্রবন্ধ লিখলেও মূলত তিনি কবি। ‘প্রবাসী’, ‘ভারতবর্ষ’, ‘মানসী’, ‘ভারতী’, ‘বসুমতী’, ‘পূর্বাশা’ থেকে শুরু করে শিশু কিশোরদের বার্তা ‘মৌচাক’, ‘সন্দেশ’ অর্থাৎ সেকালের প্রায় সব প্রধান পত্রপত্রিকাতেই তাঁর লেখা নিয়মিত প্রকাশ পেত। অপ্রকাশিত লেখার সংখ্যাও ছিল প্রচুর। কিন্তু বিস্ময়কর বিয়ষ হলো, শেষপর্যন্ত তিনি ছিলেন গ্রন্থহীন লেখক। ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষের অখণ্ড বাংলায় অর্থাৎ বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির নদীয়া জেলার কুষ্টিয়া মহকুমার নওপাড়া থানার খয়েরপুর গ্রামে ৩০ ডিসেম্বর ১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দে গোপেন্দ্রনাথ সরকার জন্মগ্রহণ করেন। এখন অবশ্য নওপাড়া থানা হিসেবে পরিচিত নয়, শিমুলিয়া বা খয়েরপুরের মতোই মিরপুর উপজেলারই একটি গ্রাম মাত্র। পিতা কালিদাস ও মাতা মানদাসুন্দরী। গোপেন্দ্রনাথ ছিলেন পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান। খুব অল্প বয়সে তিনি পিতৃহারা হন।

গোপেন্দ্রনাথের প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শুরু হয় গ্রামে যদু পণ্ডিতের পাঠশালায়। মিরপুরের আমলা সদরপুর হাইস্কুল থেকে ১৯০৯ সালে দ্বিতীয় বিভাগে এন্ট্রান্স পাস করেন। উল্লেখ্য, ঐ বছরই ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় সর্বশেষ প্রবেশিকা পরীক্ষা। অর্থাভাবে গোপেন্দ্রনাথের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এরপর বলতে গেলে আর তেমন এগোয়নি। প্রায় তিন দশক পরে গোপেন্দ্রনাথ সংস্কৃত ভাষাসাহিত্যে আবার পড়াশোনা শুরু করেন। ১৯১৫ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত বঙ্গীয় সংস্কৃত পরিষদ-‘সংস্কৃত ও পালিতে’ আদ্য, মধ্য ও উপাধি পরীক্ষা পরিচালনা করত। গোপেন্দ্রনাথ তারই অধিভুক্ত ভেড়ামারার চণ্ডীপুরের পণ্ডিত রাধারমণ বেদান্তভূষণের সংস্কৃত টোলে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে ১৯৩৭ ও ১৯৩৮ সালে বঙ্গীয় সংস্কৃত শিক্ষা পরিষদের সংস্কৃত সাহিত্য বিষয়ে যথাক্রমে আদ্য ও মধ্যতীর্থ পর্যায়ে উত্তীর্ণ হন, কিন্তু শেষ পরীক্ষা কাব্যতীর্থে অবতীর্ণ হননি। তাঁর নামে ছাপানো এক প্যাডে পরিচয় লেখা রয়েছে ‘(অনুত্তীর্ণ) কাব্যতীর্থ’।

গোপেন্দ্রনাথের বর্ণময় কর্মজীবনে বিচিত্র পেশা ও বহুল কর্মস্থল ছিল বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে। কর্মজীবন শুরু হয় আমলার চ্যারিটেবল ডিসপেনসারিতে ডা. নৃসিংহ মুখোপাধ্যায় এর কম্পাউণ্ডার হিসেবে। এরপর কলকাতার খিদিরপুর ডকইয়ার্ডের হেডক্লার্ক মি. লয়ার্ডের অধীনে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কেরানি গিরি। পরবর্তিতে প্রেসিডেন্সি ও বর্ধমান বিভাগের অধীনে ডাক বিভাগের কুষ্টিয়া বাজার পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন কিছুদিন। এরপর কয়েক বছর রেলওয়ে বিভাগে চাকুরি করেন। পাকশীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের সময় রয়্যাল ইঞ্জিনিয়ার কর্নেল হারভিঙের অধীনে করণিকের কাজ করেছেন। দিনাজপুরে বেঙ্গল-নাগপুর রেল সেকশনে যোগ দিয়ে বিহার ও উড়িষ্যার বিভিন্ন স্টেশনে রেল স্থাপনের কাজে চিফ ইঞ্জিনিয়ার সি এস নেপিয়ারের অধীনে চাকুরি করেন। গোপেন্দ্রনাথ সহজাতভাবে ছিলেন অস্থিরচিত্ত। সবমিলিয়ে তার এসব চাকুরি যেমন স্থায়ী ছিল না, তেমনি তিনিও একস্থানে স্থির থাকতে পারতেন না। অফিসের চাকুরি থেকে শুরু করে জীবিকা অর্জনের জন্যে গৃহশিক্ষকতার পথও বেছে নিয়েছিলেন কোন এক সময়। বর্তমান রাজবাড়ি জেলার পাংশার দুর্গাপুরের জমিদার বাড়িতে, কলকাতায় কয়লাঘাটের রেল ইঞ্জিনিয়ার কে বি রায়ের বাসায় ছাত্র পড়িয়েছেন কিছুকাল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি শিক্ষকই হয়েছিলেন। শিক্ষকতা পেশায় তিনি আমলা সদরপুর হাইস্কুল, কলকাতার ওরিয়েন্টাল সেমিনারি, রংপুরের সাদুল্লাপুর মাইনর স্কুল, দিনাজপুরের (বর্তমান ভারতভুক্ত, পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর) কালিয়াগঞ্জ মিলনময়ী বালিকা মাইনর স্কুল, নাটোরের বাসুদেবপুর শ্রীশচন্দ্র বিদ্যানিকেতন, কুষ্টিয়ার চারুলতা বালিকা মাইনর স্কুল, কুষ্টিয়া হাইস্কুল এবং শেষে চাঁদ সুলতানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। গোপেন্দ্রনাথের পেশা ও নেশা উভয়টিতেই ওরিয়েন্টাল সেমিনারিতে শিক্ষককাল ছিল এক সুবর্ণ সময়। এটি ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে পাঠ করে শিশু রবীন্দ্রনাথের মনে শিক্ষক হওয়ার সাধ জেগেছিল। সহকর্মীদের মধ্যে বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেশ হৃদ্যতা জন্মেছিল। তাঁর সাথেই বিভিন্ন সাহিত্যিকের সান্নিধ্যে কিংবা বিখ্যাত সব সাহিত্যসভায় যেতেন। তাদের মধ্যে পরিচয় ঘটে প্রাবন্ধিক গুরুদাস বন্দোপাধ্যায়, পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ, কবি শেখর কালিদাস রায়, কবি চণ্ডীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, কবি গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ এমদাদ আলী প্রমুখের সাথে।

গোপেন্দ্রনাথ সরকারের শ্রদ্ধানিবেদন করতে গিয়ে বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক, গবেষক ড. আবুল আহসান চৌধুরী বলেছিলেন: “শ্রীযুক্ত গোপেন্দ্রনাথ সরকার আজীবন শিক্ষাব্রতী। দীর্ঘ ৬০ বছর শিক্ষকতা করেছেন। এর পাশাপাশি নীরবে সাহিত্যচর্চাও করেছেন। তাঁর কবিখ্যাতিও জুটেছিল একসময়। শ্রাবণ ১৩২৯ মাসিক প্রবাসী পত্রিকায় তাঁরই লেখা ‘রণরঙ্গ’ কবিতার কিছু অংশ:

আজি গগনে গগনে ঘন-গরজনে রণঝঞ্ঝা বাজে,তড়িৎ মেঘে অসির ফলক ঝলকে জলদ মাঝে।ভূমিতলে আজি জীমুতমন্দ্রে বাজিল তুমুল রণ,কাঁপিল বিশ্ব, কি ঘোর দৃশ্য, ভয়াতুর জীবগণ।মহা ব্যোম ঘিরি’ নিকষকৃষ্ণ নীরধর নিনাদিল,বাত্যাতাড়িত ধুলায় অন্ধ-ধরা আঁখি নিমীলিল।বিহগ কুলায়ে আশ্রয় নিল, নরনারী নিল ঘরে,জননীর ক্রোড়ে লুকাইল শিশু বিপুল শঙ্কা ভরে।...

কার্তিক ১৩২৭ ত্রৈমাসিক বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায় গোপেন্দ্রনাথ সরকারের ‘সার্থক’ কবিতার কিছু অংশ:


আমি অধিক যতনে নূতন করিয়া বাঁধিনু বীণাটি সাহানায়,রচিনু কোমল কুসুম শয়ন সাজিনু কুসুম গহনায়।জ্যোৎস্না প্লাবন আকাশে মরতে করিয়া দিয়াছে একাকার,বহিছে মধুর মলয় বাতাস বহিয়া সুরভি অনিবার।মোহিনী রজনী সাজায়ে রেখেছে কাননে কত যে শত ফুল,নিখিল রাজার চরণ পুড়িবে তাই হাসি এত প্রেমাকুল।...

শিক্ষক ও কবি এই পরিচয়েই তিনি শ্রদ্ধেয় ও স্মরণার্হ। রুচির দুর্ভিক্ষ, মূল্যবোধের সমস্যা আর চরিত্রের সংকট আজ আমাদের জাতীয় চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। এই ক্রান্তিলগ্নে মৃদু কণ্ঠে হলেও, জ্ঞানতাপস শ্রীযুক্ত সরকারকে আজ তাঁর ৮৭তম জন্মজয়ন্তীতে আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করি।” আবদুর রশীদ চৌধুরী ঢাকার দৈনিক সংবাদে ‘কুষ্টিয়ার একজন অবহেলিত কবি ও শিক্ষকের কাহিনি’ (১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬) শীর্ষক প্রবন্ধে গোপেন্দ্রনাথের জীবন ও কবিতা নিয়ে যে আলোচনা করেছিলেন, সেটিই এককভাবে এই সাহিত্যিকের ওপর রচিত দীর্ঘতম এবং জাতীয় পর্যায়ের প্রকাশনায় মুদ্রিত একমাত্র লেখা। গোপেন্দ্রনাথ সরকারের পুত্র মিলন সরকারের মন্তব্য: জীবনযুদ্ধে বিপর্যস্ত, অকালে পিতৃবিয়োগ, আত্মীয়-পরিজনের ক্রমাগত মৃত্যু, জ্ঞাতি ষড়যন্ত্র, দুর্দিনে স্বজন বিচ্ছিন্নতা, আর্থিক দীনতা সম্ভবত তাঁকে ব্যথিত, উদাসীন করে তুলেছিল। স্থান থেকে স্থানান্তরে, কর্ম থেকে কর্মান্তরে তাঁকে বিতাড়ন করেছে তাঁর অমোঘ বাস্তবতা। সার্বিকভাবে নির্জিত এই কবি তাই যেন সবকিছু থেকে হয়ে পড়েছিলেন বিভক্ত। সমগ্র জীবনে বৈপরীত্যের সাথে না বুঝে নিজেকে সংকুচিত করে নিয়ে অপমানাহত স্বেচ্ছানির্বাসিত হয়ে প্রাতিস্বিক বলয়ে আত্মসমর্পণ ছিল তাঁর স্বভাবজ, কবিতা তাঁর সেই প্রাতিস্বিকতার এক একটি নির্মোক। খণ্ডিত এবং গতানুগ, তবু তিনি কবি এবং আমাদের বাংলাকাব্যধারায় এক নি:সঙ্গ পদচারক। গোপেন্দ্রনাথ সরকার কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় ১৪ ফেব্রæয়ারি ১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।


লেখক: ইতিহাস গবেষক ও প্রাবন্ধিক 

Header Ad

সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। এটিই এবারের হজে প্রথম কোন বাংলাদেশির মৃত্যু। বুধবার (১৫ মে) কিং সালমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

সবশেষ হিসাবে যত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার একজন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সে হিসাবে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।

যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

হাতুড়িপেটায় আহত দুই বোন। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার চাটমোহরে যমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আহতদের চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে চাটমোহর উপজেলার পৌর সদরে উথুলি খামারপাড়া মহল্লায় ওই ঘটনা ঘটে।

আহত দুই বোন মিম (২০) ও লাম (২০) চাটমোহর পৌরসভার আরাজি উথুলী খামারপাড়া মহল্লার রেজাউল করিম রিজুর যমজ মেয়ে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলিফ ইয়ামান পায়েল (২২)। তিনি চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।

এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দুই বোনের বাবা রেজাউল করিম রিজু। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা পায়েল। এ সময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে লাম তাকে গিয়ে বলেন গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার যমজ বোন মিম এগিয়ে এলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পায়েল ও তার বাবা-মা মিলি যমজ দুই বোনকে বেধড়ক মারধর করে।

পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দুই বোনের পরিবারের লোকজন গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ বিষয়ে চাটমোহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত দুই বোনের বাবা।

অভিযুক্ত চাটমোর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামান পায়েল বলেন, আমার মায়ের সঙ্গে ওরা দুই বোন মারামারি করছিল। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম, তাদেরকে মারিনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে।

চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের জায়গা ছাত্রলীগে নেই। যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, আমি তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। যেহেতু ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। সে কারণে জেলা ছাত্রলীগ এই বিষয়টি দেখবে।

চাটনোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, বিষয়টি এখনো আমি জানি না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি

বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ৩০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানও তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন। অফশোর ব্যাংকিং হিসাবের আওতায় প্রবাসীরা যাতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার জমা রাখতে উদ্বুদ্ধ হন, সে জন্য আয়োজিত নানা প্রচারণায় অংশ নেবেন তারা। পাশাপাশি অর্থ পাচার প্রতিরোধসংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানেও তাদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ মে নিউইয়র্কে একটি হোটেলে অফশোর ব্যাংকিং বিষয়ে প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের খরচ বহন করবে ব্যাংকগুলো। যেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা। বক্তব্য দেবেন- অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মুরশেদুল কবীর, ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন।

পাশাপাশি একই সময়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ব্যাংক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন আরও ২৫ জন এমডি। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে এসব ব্যাংক এমডির বিদেশ যাওয়া–সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে।

এদিকে দেশের ডলার–সংকটের এ সময়ে ব্যাংক খাতে ডলারের জোগান বাড়াতে বিভিন্ন ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিংকে বিশেষ জোর দিয়েছে। এ জন্য নানা ধরনের প্রচার–প্রচারণাও চালাচ্ছে ব্যাংকগুলো। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অফশোর ব্যাংকিংয়ের আওতায় ডলার জমায় উদ্বুব্ধ করতে দেশটিতে প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
কেএনএফের নারী শাখার সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার
সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের
দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো মুক্ত নাবিক সাব্বিরকে, পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার
ট্যুরিস্ট ভিসায় ৩ দিন ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন না বাংলাদেশীরা
গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালকসহ দুইজনের মৃত্যু
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে আসছে আইন : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
টেনিসের জন্য এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে ভালো অনুভূতি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
গাজায় ইসরায়েলের হামলা হামাসের জন্যই: মাহমুদ আব্বাস
নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান
২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল
স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুটে’ পরিণত হচ্ছে খুলনা
বিএনপির সময় ঋণখেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল : আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশিরা মাত্র ১ দিনেই পাবেন ভারতের ভিসা!
গুগল অ্যাস্ট্রা : হারানো জিনিস খুঁজে পাবেন নিমিষেই
লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, দিশেহারা ক্রেতারা