১২০তম দেশ মোজাম্বিকে বিশ্ব পর্যটক কাজী আসমা আজমেরী
হাজারো বাধা বিপত্তি পিছনে ফেলে সামনের দিকে চলেছেন কাজী আসমা আজমেরী। গত ৪ফেব্রুয়ারি বিকাল সাড়ে চারটায় জোহানেসবার্গ-এ দুষ্কৃতিকারীদের কবলে পড়ায় টাকা-পয়সা সব হারিয়ে কিছুটা অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। মনে হয়েছিল এই বুঝি পৃথিবীতে চলতে পারবেন না। কিন্তু সাহসী সবকিছুকেই অবজ্ঞা করে টাকা পয়সার ব্যবস্থা করেন। বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ১২০তম দেশ মোজাম্বিকে পা দেন গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুর একটায়। লেবোম্বো বোর্ডার পেরিয়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ১২০তম দেশের রেকর্ড করলেন তিনি।
ভিসা বিড়ম্বনা অর্থনৈতিক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্টে বিশ্বজয়ের' এ যেন এক মাইলফলক। বাংলাদেশি পাসপোর্ট এর জয় হোক এই স্লোগান নিয়ে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশি সবুজ পতাকা উড়িয়ে, আর সবুজ পাসপোর্টে একখানা সিল মেরে বাংলাদেশি পাসপোর্টে বিশ্ব জয় করলেন। মানুষকে বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভ্রমণে উৎসাহ করার জন্য তারেই পদচারণা।
মাপুতো, মোজাম্বিকে ১ দিন
মাপুতো শহর থেকে ১২১তম দেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বতসোয়ানার পথে রওনা দেয়। টানা ৯০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে মাপোতো শহর অনেক ডেঞ্জারাস পথ পরিক্রম করে বতসোয়ানাতে পৌঁছেছেন। বতসোয়ানা থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি এগারোটায় রাজধানী গাবোরোনে-তে পৌঁছান। রাস্তা কিছুটা ভুল করে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। প্লিজ সাহায্য করলেও কয়েকটা জায়গায় ইন্টারনেট না থাকায় ভুল পথ দেখিয়েছে। কষ্ট হয়েছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা ড্রাইভিং করা লেগেছে। এর ভিতর মধ্যে রাস্তায় গাড়ির মধ্যে ঘুমিয়েছেন এটা তিন চার-ঘণ্টা। বতসোয়ানিস বন্ধুর আমন্ত্রণে আসেন।
বাংলাদেশি পাসপোর্টে ১২১ তম দেশ ছাড়লেন যা সত্যিই বিশ্বভ্রমণে রেকর্ড করলো। মোজাম্বিকে ভাষা জটিলতায় বেশিদিন থাকতে পারেন নাই। এখানকার প্রিয় খাবার হচ্ছে বিফ স্টেক ও পাপ, এখানকার লোকজন কালো হলেও অনেক ভালো এবং চমৎকার অতিথিপরায়ন।
বাংলাদেশের সম্মান বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে চান কাজী আসমা আজমেরী।