বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মাছ, ফসলের দেশে

একদিন সকাল থেকে রাতে বেড়ালেন তারা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে গল্প লিখেছেন ও ছবি দিয়েছেন ঢাকা প্রকাশের গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইহসানুল কবির আনিন

অনেকেই জানেন না, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব ভালো একটি সাংবাদিক সমিতি আছে। তাদের জন্য আলাদা একটি রুমের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সেখানে আছে কম্পিউটার, ফ্যান, লাইট-সবই। এই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আসিফ আল আজাদ ভাই। অনেকেই তাকে চেনেন, যারা ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা করেন। সমিতিটিকে ভাইয়ের মতো লালন করে চলেছেন আইন বিভাগের অনেক আগে সাবেক হয়ে যাওয়া ছাত্রটি। এই সমিতির যেকোনো কাজে তিনি সবার আগে। যখন পড়তেন, তখন থেকে ভাবতেন একদিন আমরা সবাই মিলে বেড়াতে যাব বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যারা জানেন না, তাদের বলি-আজকের বাংলাদেশের যে কৃষি ও মৎস্যখাতে বিপ্লব সেটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েরই দান। একজন সাংবাদিক, যিনি পরম মমতায় খবরগুলো তুলে আনেন পত্রিকার পাতায় বছরের পর বছর, আরেকজন সাংবাদিক, যিনি ভিন্নধারার, কম গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের নায়ক; তাদের বাদে এই দেশের অথনীতি ও মানুষের জীবন দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদন্ডে ভর দিয়ে।

কী নেই-সব আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন ১১শর বেশি গ্রাজুয়েট ছাত্র, ছাত্রী; আছে মৎস্য ও পরিবেশের বাকিসব গবেষণাগারও। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত শক্তিশালী।

টাকা-পয়সার অভাবে যাওয়া হচ্ছিল না অনেক দিন ধরে। তবে আমাদের গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)’র নবম কমিটি গড়ে তোলার পর তো নিয়মমাফিক বেড়াতে যেতে হয়। ফলে আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। অনেক ভেবে, ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে আলোচনার পর ঠিক হলো-এবার যাওয়া হবে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মস্থানে। বেড়াতে যাব আমরা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মনি সিংহের দেশে।

১২ ফেব্রুয়ারি সকালে সাভারের নবীনগর থেকে আমরা মোট ছয় জনে বাসে চড়ে বসলাম। কারা আছি পুরো দলে? গবিসাসের সভাপতি অনিক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, নির্বাহি সদস্য নাজমল হাসান, সাধারণ সদস্য আখলাক রাসেল, ইউনিলিভারের আঞ্চলিক বৈজ্ঞানিক নিবাহি খালিদ হাসান, তার স্ত্রী ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিমালয়া অদ্রি ও রকিবুল ইসলাম।


বাসে এর, তার খবর নিয়ে, সিনিয়র-জুনিয়রের আলাপে চলে এলাম গাজীপুরে। সেখানে অপেক্ষা করছিলেন আসিফ ভাই। আমরা নেমে এলাম। তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানালেন। চায়ের দোকানের খানিক আড্ডা শেষে আমাদের ব্রক্ষ্মপুত্রের শহর ময়মনসিংহের জন্য বাসে চড়তে হলো। বাসে গল্প, আড্ডা আর সাংবাদিকতার হাল-হাকিকত ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার নানা টিপস, বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় এলো। আমাদের ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার মান অনেক বেড়েছে। অনেকে লেখে বিভিন্ন কাগজে। তারা, ক্যাম্পাসের বন্ধু, নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক আলাপের ভীড়ে মতপ্রকাশ হলো। আমাদের ভাবনাগুলোতে অন্যরা খুব খুশি। গল্পও চলেছে দেদার। প্রকৃতি দর্শনও। তবে সামনে আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে প্রকৃতির অন্যতম স্রষ্টা নিজেই। সে তো আর জানি না।

পৌঁছালাম যখন তার কোলে, তখন দুপুর গড়িয়ে চলেছে। মনমনসিংহ শহরের পাশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ময়মনসিংহের প্রাণ। ক্যাম্পাসটিতে যখন গেলাম, চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। বিভিন্ন জায়গাতে, ভবনগুলোর পাশে, মাঠের, পুকুরের, গবেষণাগারের ভীড়ে জ্বল, জ্বল করে ফুটে থাকার ফুলের রাশি আমাদের বরণ করে নিলো আপন মমতায়। তাই মনে হলো-আরে, মাছের, গাছের, ফসলের এই বিশ্ববিদ্যালয় তো ফুলেরও ক্যাম্পাস। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ই তো ফুলের রাজ্য একটি।

আড্ডাবাজের দল সবার আগে ঢুকে পড়লাম টিএসসিতে। সেখান থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি হিসেবে খ্যাতি পাওয়া রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ফেললাম। তারপর লো-ডাউন ব্রিজ। বেড়াতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাদের এই ব্রিজ নিয়ে বললাম না। ফিরে আপনারা গল্প করবেন বলে আমাদের ফটোসেশনের সঙ্গী হোন। দেখলাম একটি প্রচণ্ড গতির রেলগাড়ি আমাদের অনেক দূর দিয়ে চলে গেল। এরপর বিখ্যাত জব্বারের মোড়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিরচেনা দোকানগুলো থেকে আমাদের দুপুরের খাবার সারা হলো।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কালের কন্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, অনেকগুলো লেখা যার ছাপানো হয়েছে এখানে, সেখানে-সেই আবুল বাশার মিরাজ চলে এলেন। তাদের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা সাংবাদিক সমিতি। যাদের আলাদা রুম আছে, ভেতরটি খুব সুন্দর; তার ক্যাম্পাসের মতোই। তিনি আমাদের সঙ্গী হলেন, আমরাও দেখে নিলাম-কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, সেন্টাল লাইব্রেরি, বঙ্গবন্ধু স্মৃতিচত্বর, ব্রক্ষ্মপুত্র নদের বাঁধানো পাড়।

বোটানিক্যাল গার্ডেন দেখে মনটি ভরে গেল-আছে গবেষণা ও শিক্ষকতার কাজের নানা জাতের অসংখ্য বিলুপ্ত প্রায় গাছগাছালির সারি। অনেক যত্নে অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম ও অন্যরা এটি গড়ে তুলেছেন ভবিষ্যতের কৃষি ও মৎস্যবিদদের জন্য। গ্রামের ছেলেমেয়ে হয়েও আমাদের চোখে পড়েনি, চিনি না-এমন গাছেরও কমতি নেই। ফলে ছবি তুলতে দেরি হলো না।


বিকেলে চলে গেলাম সমিতির অফিসে। আমাদের খবর ছাপানো ও কষ্টের গল্পগুলো শেয়ার হলো। নানা বিষয়ে ঐক্যমতে পেঁছালাম দুটি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। তারপর অধ্যাপকের বাড়িতে গেলাম। নামটি আমি ভুলে গিয়েছি। শেষে সন্ধ্যা নেমে গেল। চলে এলাম শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্ক’-এ। সেখানে আমাদের সঙ্গী হলেন আমাদের গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে যাওয়া ময়মনসিংহে বাস করা একজন বড় ভাই ও আপু। তারা এখানে সংসার পেতেছেন। তারা খাওয়ালেন।

চলে গেলাম ব্রক্ষ্মপুত্রের তীরে। ভারতবর্ষের অন্যতম প্রধান এই নদীর তীরে ঘন্টাখানেক কীভাবে কেটে গেল ক্লান্তি আর চায়ের কাপে জানতেই পারলাম না। আড্ড চলেছে তো।
আটটার বাস ধরতে হবে। ফলে আবার শহরের মোড়ে। বাসে রাত ১২টায় ফেরার আগ পর্যন্ত চা দোকান আর গল্পের ভীড়ে কাটলো গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র-জুনিয়র সাংবাদিকদের। খুব ভালো কেটেছে দিনটি। নতুন কজন মানুষের হৃদয়ের ভালোবাসা নিয়ে ফিরে এলাম আমরা চমকে দেওয়া ক্যাম্পাস থেকে। এভাবে প্রতিটি দিন আনন্দে বাঁচতে পারলে খারাপ হতো না।

ওএস।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া