শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মাছ, ফসলের দেশে

একদিন সকাল থেকে রাতে বেড়ালেন তারা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে গল্প লিখেছেন ও ছবি দিয়েছেন ঢাকা প্রকাশের গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইহসানুল কবির আনিন

অনেকেই জানেন না, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের খুব ভালো একটি সাংবাদিক সমিতি আছে। তাদের জন্য আলাদা একটি রুমের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্যতম ট্রাষ্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সেখানে আছে কম্পিউটার, ফ্যান, লাইট-সবই। এই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা আসিফ আল আজাদ ভাই। অনেকেই তাকে চেনেন, যারা ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা করেন। সমিতিটিকে ভাইয়ের মতো লালন করে চলেছেন আইন বিভাগের অনেক আগে সাবেক হয়ে যাওয়া ছাত্রটি। এই সমিতির যেকোনো কাজে তিনি সবার আগে। যখন পড়তেন, তখন থেকে ভাবতেন একদিন আমরা সবাই মিলে বেড়াতে যাব বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যারা জানেন না, তাদের বলি-আজকের বাংলাদেশের যে কৃষি ও মৎস্যখাতে বিপ্লব সেটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েরই দান। একজন সাংবাদিক, যিনি পরম মমতায় খবরগুলো তুলে আনেন পত্রিকার পাতায় বছরের পর বছর, আরেকজন সাংবাদিক, যিনি ভিন্নধারার, কম গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের নায়ক; তাদের বাদে এই দেশের অথনীতি ও মানুষের জীবন দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদন্ডে ভর দিয়ে।

কী নেই-সব আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন ১১শর বেশি গ্রাজুয়েট ছাত্র, ছাত্রী; আছে মৎস্য ও পরিবেশের বাকিসব গবেষণাগারও। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত শক্তিশালী।

টাকা-পয়সার অভাবে যাওয়া হচ্ছিল না অনেক দিন ধরে। তবে আমাদের গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)’র নবম কমিটি গড়ে তোলার পর তো নিয়মমাফিক বেড়াতে যেতে হয়। ফলে আর পেছনে ফেরার সুযোগ নেই। অনেক ভেবে, ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে আলোচনার পর ঠিক হলো-এবার যাওয়া হবে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মস্থানে। বেড়াতে যাব আমরা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মনি সিংহের দেশে।

১২ ফেব্রুয়ারি সকালে সাভারের নবীনগর থেকে আমরা মোট ছয় জনে বাসে চড়ে বসলাম। কারা আছি পুরো দলে? গবিসাসের সভাপতি অনিক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, নির্বাহি সদস্য নাজমল হাসান, সাধারণ সদস্য আখলাক রাসেল, ইউনিলিভারের আঞ্চলিক বৈজ্ঞানিক নিবাহি খালিদ হাসান, তার স্ত্রী ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিমালয়া অদ্রি ও রকিবুল ইসলাম।


বাসে এর, তার খবর নিয়ে, সিনিয়র-জুনিয়রের আলাপে চলে এলাম গাজীপুরে। সেখানে অপেক্ষা করছিলেন আসিফ ভাই। আমরা নেমে এলাম। তিনি সবাইকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানালেন। চায়ের দোকানের খানিক আড্ডা শেষে আমাদের ব্রক্ষ্মপুত্রের শহর ময়মনসিংহের জন্য বাসে চড়তে হলো। বাসে গল্প, আড্ডা আর সাংবাদিকতার হাল-হাকিকত ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতার নানা টিপস, বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় এলো। আমাদের ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতার মান অনেক বেড়েছে। অনেকে লেখে বিভিন্ন কাগজে। তারা, ক্যাম্পাসের বন্ধু, নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক আলাপের ভীড়ে মতপ্রকাশ হলো। আমাদের ভাবনাগুলোতে অন্যরা খুব খুশি। গল্পও চলেছে দেদার। প্রকৃতি দর্শনও। তবে সামনে আমাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে প্রকৃতির অন্যতম স্রষ্টা নিজেই। সে তো আর জানি না।

পৌঁছালাম যখন তার কোলে, তখন দুপুর গড়িয়ে চলেছে। মনমনসিংহ শহরের পাশে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ময়মনসিংহের প্রাণ। ক্যাম্পাসটিতে যখন গেলাম, চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। বিভিন্ন জায়গাতে, ভবনগুলোর পাশে, মাঠের, পুকুরের, গবেষণাগারের ভীড়ে জ্বল, জ্বল করে ফুটে থাকার ফুলের রাশি আমাদের বরণ করে নিলো আপন মমতায়। তাই মনে হলো-আরে, মাছের, গাছের, ফসলের এই বিশ্ববিদ্যালয় তো ফুলেরও ক্যাম্পাস। পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ই তো ফুলের রাজ্য একটি।

আড্ডাবাজের দল সবার আগে ঢুকে পড়লাম টিএসসিতে। সেখান থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি হিসেবে খ্যাতি পাওয়া রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ফেললাম। তারপর লো-ডাউন ব্রিজ। বেড়াতে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাদের এই ব্রিজ নিয়ে বললাম না। ফিরে আপনারা গল্প করবেন বলে আমাদের ফটোসেশনের সঙ্গী হোন। দেখলাম একটি প্রচণ্ড গতির রেলগাড়ি আমাদের অনেক দূর দিয়ে চলে গেল। এরপর বিখ্যাত জব্বারের মোড়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিরচেনা দোকানগুলো থেকে আমাদের দুপুরের খাবার সারা হলো।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কালের কন্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, অনেকগুলো লেখা যার ছাপানো হয়েছে এখানে, সেখানে-সেই আবুল বাশার মিরাজ চলে এলেন। তাদের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা সাংবাদিক সমিতি। যাদের আলাদা রুম আছে, ভেতরটি খুব সুন্দর; তার ক্যাম্পাসের মতোই। তিনি আমাদের সঙ্গী হলেন, আমরাও দেখে নিলাম-কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন, সেন্টাল লাইব্রেরি, বঙ্গবন্ধু স্মৃতিচত্বর, ব্রক্ষ্মপুত্র নদের বাঁধানো পাড়।

বোটানিক্যাল গার্ডেন দেখে মনটি ভরে গেল-আছে গবেষণা ও শিক্ষকতার কাজের নানা জাতের অসংখ্য বিলুপ্ত প্রায় গাছগাছালির সারি। অনেক যত্নে অধ্যাপক ড. আবদুর রহিম ও অন্যরা এটি গড়ে তুলেছেন ভবিষ্যতের কৃষি ও মৎস্যবিদদের জন্য। গ্রামের ছেলেমেয়ে হয়েও আমাদের চোখে পড়েনি, চিনি না-এমন গাছেরও কমতি নেই। ফলে ছবি তুলতে দেরি হলো না।


বিকেলে চলে গেলাম সমিতির অফিসে। আমাদের খবর ছাপানো ও কষ্টের গল্পগুলো শেয়ার হলো। নানা বিষয়ে ঐক্যমতে পেঁছালাম দুটি সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। তারপর অধ্যাপকের বাড়িতে গেলাম। নামটি আমি ভুলে গিয়েছি। শেষে সন্ধ্যা নেমে গেল। চলে এলাম শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্ক’-এ। সেখানে আমাদের সঙ্গী হলেন আমাদের গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে যাওয়া ময়মনসিংহে বাস করা একজন বড় ভাই ও আপু। তারা এখানে সংসার পেতেছেন। তারা খাওয়ালেন।

চলে গেলাম ব্রক্ষ্মপুত্রের তীরে। ভারতবর্ষের অন্যতম প্রধান এই নদীর তীরে ঘন্টাখানেক কীভাবে কেটে গেল ক্লান্তি আর চায়ের কাপে জানতেই পারলাম না। আড্ড চলেছে তো।
আটটার বাস ধরতে হবে। ফলে আবার শহরের মোড়ে। বাসে রাত ১২টায় ফেরার আগ পর্যন্ত চা দোকান আর গল্পের ভীড়ে কাটলো গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র-জুনিয়র সাংবাদিকদের। খুব ভালো কেটেছে দিনটি। নতুন কজন মানুষের হৃদয়ের ভালোবাসা নিয়ে ফিরে এলাম আমরা চমকে দেওয়া ক্যাম্পাস থেকে। এভাবে প্রতিটি দিন আনন্দে বাঁচতে পারলে খারাপ হতো না।

ওএস।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ

অভিনেতা শামীম হাসান সরকার এবং অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে অভিনেতা শামীম হাসান সরকার এবং অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি বর-কনে হিসেবে দৃষ্টিগোচর হচ্ছেন। ছবির ক্যাপশন ছিল না, যা দেখে অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে বিয়ের শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন।

এসময় গুঞ্জন উঠে, শামীম ও তানিয়ার মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এবং তারা বিয়ে করেছেন। তবে বিভ্রান্তি কাটাতে শামীম নিজেই বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এটি আমাদের নতুন নাটকের শুটিংয়ের ছবি।”

এর আগে শামীম হাসান সরকার এবং অভিনেত্রী অহনারও বর-কনে বেশে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল, যা নেটিজেনদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল। তানিয়া ও শামীমের সম্পর্ক নিয়েও বেশ কিছু গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, তানিয়ার সাথে শামীমের বিশেষ সম্পর্কের কথা, যার পেছনে তাদের একসাথে কাজের ব্যাপারটি ছিল। দুজনের একাধিক কাজের সঙ্গেও তাদের একত্রে ঘুরে বেড়ানোর খবর উঠে আসে।

অভিনেতা শামীম হাসান সরকার এবং অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত

তবে শামীম ও তানিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিভ্রান্তি কাটিয়ে দিতেই শামীম মন্তব্য করেন, "চেয়ারস, এটি আমাদের নতুন নাটকের শুটিংয়ের ছবি!" এতে অনেক নেটিজেন এই বিষয়টি আগেই আন্দাজ করেছিলেন, তাদের মধ্যে সম্পর্কের কোনো বিষয় নেই।

এদিকে, শামীম এবং তানিয়ার এই ভাইরাল পোস্টটি তাদের ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। অধিকাংশ ভক্ত তাদের নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, কিন্তু কিছু ভক্ত ভুল বুঝে অভিনন্দন জানিয়ে বিভ্রান্ত হয়েছেন।

অভিনেতা শামীম হাসান সরকার ও তানিয়া বৃষ্টির মাঝে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক না থাকলেও, তাদের কাজের ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার কারণে তাদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। এখনো তাদের সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছেন তারা, তবে শামীম নিজেই এ বিষয়ে স্পষ্ট করেছেন যে, এটি ছিল শুধুমাত্র একটি নাটকের শুটিংয়ের ছবি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস