দ. আফ্রিকায় ডাকাতির শিকার ১১৯ দেশ ভ্রমণকারী কাজী আজমেরী
ভ্রমণকন্যা কাজী আজমেরী
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ডাকাতির শিকার হয়েছেন বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে ১১৯ দেশ ভ্রমণ করা খুলনার মেয়ে কাজী আসমা আজমেরী।
গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ১২০তম দেশ বতসোয়ানা ভ্রমণের উদ্দেশে বের হয়ে জোহানেসবার্গে ট্রাফিক সিগনালে এ ডাকাতির শিকার হন তিনি।
জানা যায়, ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ১১৬তম দেশ ভ্রমণের উদ্দেশে লেবাননে যান ভ্রমণ কন্যা কাজী আসমা আজমেরী। এরপর সেখান থেকে আরও কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করে অবস্থান করেন আফ্রিকায়। সেখান থেকে তিনি ট্যাক্সি ভাড়া করে বতসোয়ানার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তবে আফ্রিকার জোহনসবার্গে গান্ধী স্কয়ার ঘুরতে বের হন। সেখানে যেতে চার বন্দুকধারী তাকে বহনকারী ট্যাক্সি থামিয়ে সবকিছু লুট করে নেন।
ভ্রমণ করতে গিয়েও এর আগে বিভিন্ন বাধা বিপত্তির শিকার হয়েছেন তিনি। তবে তার সঙ্গে ঘটা ডাকাতির ঘটনাটি একটি লোমহর্ষক অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনা দেন তিনি।
আজমেরি বলেন, ১২০তম দেশ বতসোয়ানা ভ্রমণের উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। জোহানেসবার্গে ট্রাফিক সিগন্যালে হঠাৎ করে চারজন বন্দকধারী এসে ট্যাক্সি থামিয়ে ড্রাইভারকে নির্দেশ দেন গাড়ির দরজা খোলার। গাড়ির দরজা খুলে দিলে তারা আমার সব টাকা, ফোন, পেছনের সিটে ব্যাকপ্যাক, ক্যামেরা, জ্যাকেট জামা এবং আরও অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও আমার গ্রিন টি-শার্ট, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাও নিয়ে যায়। পরে অনেক আকুতি-মিনতি করার পর আমার পাসপোর্ট তারা ফেরত দেয়।
১ ফেব্রুয়ারির ১১৯তম দেশ লেসোথো আফ্রিকার পিটুরিয়াতে আসেন নামিবিয়ার ভিসা নেওয়ার জন্য। ৩ ফেব্রুয়ারি বসোনিয়ায় চলে যাওয়ার কথা থাকলেও এক বাঙালির বাসায় দাওয়াত থাকায় একদিন থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি রওনা দেন। দেশ ভ্রমণের যাত্রা পথেই এই ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। আর বিষয়টি নিয়ে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে এমনটিই জানিয়েছেন তিনি। তার সব টাকা-পয়সা, ব্যাগ সবকিছু নিয়েছে ডাকাতরা। যার মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা।
সবকিছু হারিয়ে ভ্রমণকন্যা আজমেরী একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। সেখানে কয়েকটি পরিবার তাকে সাহায্য করেন। তাকে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করে দেন তারা এবং প্লেনের টিকেট কেটে জোহানেসবার্গ থেকে কেপটাউনে আসতে সহায়তা করেন। বর্তমানে সেখানে তিনি বেশ অর্থকষ্টে আছেন।
কাজী আসমা আজমেরী বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বভ্রমণে বের হয়ে এর আগে জেলও খাটেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ১১৫তম দেশ গ্রিসে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
আরএ