শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

কেবল মজা

 

স্টামফোর্ড ইউনির্ভাসিটি বাংলাদশের ব্যাচ ৫৫; সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ছাত্র, ছাত্রীরা, অন্যদের সাড়া না পেয়ে মোট ১২ জন চলে গিয়েছেন কক্সবাজারে। দূরদর্শন গ্রুপের সেই একটি মোটে দিনের অতি চমৎকার ভ্রমণের গল্পটি ছবি তুলে লিখেছেন হাবিবুর রহমান

মিউজিক ভিডিওটি দারুণ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাগর সৈকত বানানো অভিনব ও আধুনিক এই গানের চিত্ররূপ। সুর খুব অসাধারণ। শুরু হয়েছে কক্সবাজার। তীর ধরে সাগরের সঙ্গে মিলতে ছুটে চলছেনে দারুণ খুশিতে পাঁচটি ছেলেমেয়ে। তাদের পরণে টি-শার্ট, জিন্স। সাগর, তীর, আশপাশের গ্রামীণ পাহাড়ি পথ, চাঁদের গাড়ি-সবই ধীরে, ধীরে দেখাতে শুরু করলোন তারা। ডেকে আনছেন অন্য সবাইকে গানে-‘আহ্বানে/একসাথে/জেগে উঠি/বন্ধুত্বের শ্লোগানে/চলো মেলে দেই পাখা/ অভিমান ভুলে বন্ধুত্বের ছবি আঁকি/নেচে যাই গানে/ভেসে যাই সুরে/সব ভুলে একসাথে/বন্ধু, আমরা সবাই বন্ধু।’ আস্তে, আস্তে তাদের সংখ্যা বাড়ছে। জে এস শাহেদ ও নাসির হাসানের এই গানটি খুব ভালো লাগলো আফসানা রুবির। ও আমাদের বন্ধু। বাংলাদেশের গর্ব কক্সবাজারে বানানো মিউজিক ভিডিও দেখে দারুণ অবাক। খুব ইচ্ছে, আমাদের ব্যাচের সব বন্ধুকে নিয়ে বেড়াবে কক্সবাজারে। আমরা মানে স্টামফোর্ড ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ’র সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের; ৫৫ ব্যাচের ছাত্র, ছাত্রী।
ওর আলাপের শুরু হলো তখন-সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হতে আরো দুটো বিষয় বাকী! তর সইলো না ঘরবন্দীনির। সামান্য একটি দিনের জন্যও কী কোথাও বেড়ানো মানে কক্সবাজারে ঘুরে আসতে মানা আছে? প্রথম আলাপ করলো সাকিবের সঙ্গে। দেশের অন্যতম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়টির মধ্যে ‘দূরদর্শন ৫৫’ নামে আমাদের ব্যাচ পরিচিত। তবে নানা কাজে-প্রধানত বিভিন্ন পত্রিকাতে প্রদায়ক সাংবাদিকতার সূত্রে অন্য কোনোতে তেমন সময় নেই কারো। ফলে ব্যাচ ঘোরাঘুরিতে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে। ‘সেমিস্টারের ছুটির এই সময়টি কাজে লাগানো যেতে পারে’-আলাপের পর বললো দীপ্ত। আলাপ পথ ধরে আরো এগুলো। আগে পুরোনো ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লা ছাড়া ব্যাচ বন্ধুদের কোথাও ঘুরতেও যাওয়া হয়নি। কয়েক দফা চায়ের দোকানে গল্পের পর অবশেষে এই ঐক্যমত হলো যে-শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘৫৫ ব্যাচ’ বেরিয়ে পড়বে। দূরদর্শনের সবাই যাবে কক্সবাজারে।


আমাদের ফেইসবুক গ্রুপে পোষ্ট দিয়ে আরো কনফার্ম করা হলো। তবে রুবির ভেতরে হতাশা জন্ম নিলো। কেননা, সময় গড়িয়ে গেল, মোটে দুটি দিন বাকি; তারপরও অন্যদের গরজ নেই। রেগে শেষমেষ তার পোষ্ট, চমকে দিলো অন্যদের-‘কক্সবাজার ট্যুর হবে না।’ আশেক, দীপ্ত ও সোহান লেগে গেল ম্যানেজে। তিনের সম্মিলিত অনুরোধ-ব্যাচ ট্যুর হবেই, যেতেই হবে। ছড়ালো অন্যদের মাঝেও। মন ভালো হলো রুবির। কাজের কাজীদের আলাপ কাজে এলো। ব্যাচ চূড়ান্ত করলো ফের-ট্যুর বন্ধ করা যাবে না। দুজন হলেও বেড়াতে যাবে।
আমি হাবিবের যাবার ইচ্ছা খুব। অন্যকে সহযোগিতা করার সুনামও অনেক আছে। তবে পরিবার ও নিজের নানা ঝামেলায় বরাবরের মতো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। জানের দোস্ত সাগরেরও ঠিক-ঠিকানা নেই। যার মাথা থেকে এসেছে সবার ইচ্ছেটি-সেই রুবি আমাদের আরো বিপদে ফেলে দিল ফাইনাল মোমেন্টে। ফ্যামিলি থেকে যেতে দেবে না। কয়েকবার বোঝানো হলো- তোকে যেতেই হবে, তোর মাথা থেকেই তো এসেছে। তোকে ফেলে কীভাবে যাবো আমরা? নড়ে বসলো বন্ধুটি। দুলাভাই পলাশ ভাইকে বুঝিয়ে শেষ মুহূর্তে অনুমতি আদায় করে নিলো। একেই বলে নারী জাগরণ!

আমার পেছনে লাগলো সুমনা। ট্যুর কী, কেন জরুরী, সবার সঙ্গে কেন যেতে হবে-এ বিষয়ে অনেক জ্ঞান, বাণী ও আলাপ হলো দুই বন্ধুর। শেষে বললো, ‘দোস্ত, পরিবারে কোনো না কোনো সমস্যা সব সময় থাকে। আমাদের মেয়েদের তো এসব ঝামেলা ঘাড়ে নিয়েই বাঁচতে হয়। এমনভাবে সবাই মিলে বেড়াতে যাওয়া কিন্তু সবসময় হবে না। আবার কবে যেতে পারবো কে জানে? মনে হয় না পারবো। চল যাই। খুব ভালো লাগবে।’ তাই শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলাম মনের গভীরে-বাসায় যাই হোক, আমি যাবো।

সেদিন সন্ধ্যায়ই বাসের কাউন্টারে সময় মতো হাজির। ছবি তুলি বলে এই বিষয়ে আমার খুব সুনাম আছে। অন্যদের কখনো ফটোগ্রাফাররা বিপদে ফেলে না। তাদের ধাতে নেই। নিয়ন আলোয় বাস কাঊন্টারে আছি। রুবি, সাগর, আশেক, সাকিব, দীপ্ত, সুমনা, সোহান, রাব্বি, সজীব, সুমন, ঐশী-সবাই চলে এসেছে। মানস রায় আছে কক্সবাজারে। ফলে আমাদের কলিজার জোর অনেক বেশি। বলে রেখেছে, ‘কোনো ভবনা নেই, কেবল চলে আয়। পা রাখার পর থেকে দেখবি আমি তোদের জন্য কী করি।’

বাসে চড়ে বসার আগে আড্ডাটি জমে গেল। বাস ছাড়লো রাত ৯টায়। আগে জম্পেশ আড্ডা ও খাওয়া হয়েছে সবার। রাতের খাবার এত মজা করে ঢাকার বিভিন্ন বাসা, বাড়িতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে মেস বানিয়ে থাকা এই অভাগার দলের অনেক দিন হয়নি। বান্ধবীরা খোঁজ খবর নিয়েছে, ভালোভাবে খাইয়েছে। তাই আমার মতো পেটুকদের মন খুব ভালো। অন্যদেরও।

আকাশে চাঁদ, বাতাসে ভেসে বেড়ানো কুয়াশার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে দূরপাল্লার বাস। দূর গন্তব্যের দিকে টানা ছুটে চলা গাড়িতে প্রায় সব বন্ধু একসঙ্গে আছে। আমার মনটিতে অদ্ভুত ভালো লাগা। এই পথে সবসময় গ্রামের বাড়িতে যাই কিন্তু আজ তো যাচ্ছি বেড়াতে। আমার ভার্সিটির সবার সাথে। যাদের নিয়ে প্রায় দিন পড়ালেখা করি, আড্ডা ও ক্লাস করি। কুমিল্লার দাউদকান্দি ও মেঘনা সেতুর ওপর থেকে নিভু, নিভু জ্বালানো বাতিগুলো অনেক দূর থেকে দেখছি। এই জেলে নৌকাগুলো আসা-যাওয়ার পথে অনেকবার আগ্রহ নিয়ে দেখেছি। প্রতিবারই মনের গহীনে ছবি আঁকা হয়ে গিয়েছে। তবে আজ কেন মন আরো উদাসী হয়ে গেল।

মাথায় একটি আইডিয়া খেলে গেল, আমাদের ট্যুরের জন্য ফেইসবুকে একটি পেইজ খুললে কেমন হয়? গ্রুপের নাম দিলাম, ‘হারিয়ে যাওয়ার পথে।’ গলা খুলে, চিৎকার করে সংবাদটি দিতে দেরি করলাম না। তবে এখানে, সেখানে; সিটে, সিটে; চলার পথেও আড্ডায় ব্যস্ত বলে ফেইসবুকের মতো অভিনব ও দারুণ আগ্রহের বিষয়ে প্রথমবারের মতো কারো কোনো আগ্রহ দেখলাম না। আমার মতো চমকহীন মানুষকে ওরা চমকে দিলো! একেই বলে গন্ডারের গায়ে লাঠির খোঁচা। ফলে কাজ ফেলে যোগ দিলাম বন্ধুদের দলে। আড্ডা কখন যে সকালকে ডেকে নিয়ে এলো বুঝতেই পারলাম না।

সকাল ৮টায় দূরদর্শনের পা পড়লো বিখ্যাত, সুপ্রাচীন কক্সবাজারে। মানস আগেই চলে এসেছে। রিসিভ করার তর সইছে না তার। ওকে নিয়ে সুগন্ধা ব্রিজের পাশের হোটেলে উঠলাম। বিশ্রাম বলতে বাক্স-পোটরা মানে কাঁধের ভার্সিটির ব্যাগগুলো এখানে, সেখানে ভালোভাবে রাখা। কানে আসছে সাগরের ডাক। ফলে দৌড়ে বেরুলাম। নীল আকাশের নিচ দিয়ে উড়তে, উড়তে চলে গেলাম অপরূপ, অসীম ঢেউয়ের রাজ্যে। তার কোলে গ্রাম থেকে আসা প্রায় সবার দলের ১২ জন হারিয়ে গেল সাঁতারে। যারা সাঁতরাতে পারে না, ওরা লাইফ জ্যাকেট পরে আছে। মুগ্ধতা, জলের প্রতি ভালোবাসা, বাংলাদেশের জন্য গর্ব ও বিশাল বিশ্বের অপার টানে হারিয়ে গেলাম প্রতিটি তরুণ প্রাণ। একে, অন্যের খেয়ালও রাখছি। এসব কাজে আমার মতো দুয়েকজন আছে খুব আগ্রহী। তাতে মেয়েদের কোনো ক্ষতি হলো না। কোনো অসুবিধা নেই, বরং কেবল মজা; বঙ্গোপসাগরের সাদা ঢেউয়ে শরীর ভিজে আছে। পানিতে নাচানাি তে কী যে শান্তি-বলে বোঝাতে পারবো না। লিখে তো নয়ই।

পেলাম বঙ্গোপসাগরের আলোকচিত্রীদের। অভাবী মানুষগুলো সাগরের মায়ায় পড়ে আছেন। সাগর জলের কত না আনন্দ, বেদনার স্বাক্ষী এই নির্বাকরা। সাগর যাদের রক্ষাকর্তার সামান্য কিন্তু অসামান্য দায়িত্বভার দিয়ে রেখেছে। আমি তাদের দিকে এগিয়ে গেলাম। কথা বললো অন্যরাও।  সাংবাদিকতার ছাত্র, ছাত্রী-আমি নিজে ছবি তুলি; এটাই পেশা করতে চাই; আমরা নিয়ে আসা ক্যামেরায় তাদের ছবি তুললাম। সাগরের দুঁদে ফটোগ্রাফাররা আমাদের আশপাশে ঘুরে, ঘুরে দেখছেন। আমাদের ছবি তোলা ভালো লাগছে তাদেরও। তাদেরই একজন আমাদের ছবিটি তুলে দিয়েছেন।

টিপ, টিপ বৃষ্টি নামতে লাগলো। আমার ক্যামেরা তো বাঁচাতে হবে। তাই তাড়া শুরু করে দিলাম। আরেকজনও তাই করলো। ফলে হোটেলে ফিরে এলো ভিজতে, ভিজতে; নাচার তরুণের দল। দুপুরটি খুব জমলো। আড্ডা টানা; খাওয়াও জম্পেশ। আমরা ছবি তুলছি; সেলফিতে ব্যস্ত অন্য সব নবীনতম সাংবাদিকের দল। কেউ কারো চেয়ে কম যাই না। খারাপ ছবি তুলেছে, কেউ বলতে পারবে না; আবার জ্ঞানেরও কোনো বিরাম নেই। গল্পের নেই কোনো শেষ। সেগুলো পরে রুবি, সুমন, সাকিব, আশেক আর অন্যদের অবসরে চলে এলো ফেইসবুকে। তাতে নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যদের বুকে জ্বালা ধরেছে।

প্রেম, আড্ডা, এখানে, সেখানে বেড়ানো; এর-তার গল্প; সামান্য বিরতিতেই বঙ্গোপসাগরের ডাকে সাড়া দেবার জন্য চলে যাচ্ছে সবাই; একা ও কয়েকজন-মিলে; চা, কফি, ফাস্টফুডের নানা বাহার বাড়ছে ক্ষণে, ক্ষণে; পেট পুরে খাওয়া হলো। এসব খেতে এবার আমাদের অরুচি ধরলো! সময়ের আর কোনো হিসেব নেই। পত্রিকা, অনলাইনের সময় ধরে ছুটে যাওয়া তরুণ প্রাণের বাজি এখন থেমেছে। ফলে খেয়ে-দেয়ে; হোটেলের মজার খাবার; আমরা প্রায় ১১টায় চলে গেলাম ভয়ংকর দানবের ডাকে সাড়া দিতে দুরু, দুরু বুকে।

কালো অসীম, বিপুল গজনে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের আমাজন নদীর বুকে বেঁচে থাকা অ্যানাকোন্ডা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে গিলে খাবে বলে। আমাদের তো পরোয়া কোনোকালে ছিল না, তার কাছে চলে গেলাম আড্ডা দিতে! বঙ্গোপসাগরের ওপরের তারার মেলা দেখেছেন কখনো? সেই তারাদের কাছে যাওয়া যায় না জানেন কী? সাগরের গর্জনের ভেতরেই গান আর আড্ডা চলছে। প্রবল বাতাসে, দিনে যেহেতু বৃষ্টি হয়েছে; তাই বেগ আছে বেশি; সাগরের ডাক শুনতে কী যে ভালো লাগছে।


সাগরের পাড়ে, পাড়ে প্রতিরক্ষা বাতিগুলো আলো বিলিয়ে চলেছে; চারপাশকে চিনিয়ে দিচ্ছে; আলোকিত বাতিতে সাগরের ঢেউগুলো দেখতে খুব সুন্দর হয়ে আছে। ফলে ছোট, ছোট দলে বেড়ানোর মানা নেই-দলটি এখন বাঁধনহারা হয়ে গেল। ভোর চারটে যে বেজে গিয়েছে কারোর কী কোনো খেয়াল আছে? এত রাতে সাগর পাড়ে আমরা! নিজেরই অবিশ্বাস লাগছে। ডেকে, ডেকে ফেরাতে গিয়ে গলা ভেঙে গেল। হোটেলে পৌঁছে টেবিলগুলোর ওপর রাখা খাবার খেয়ে ঘুম দিলাম।

পরদিন সকালের সিডিউল ধরতে কোনো অসুবিধা হলো না আমাদের কারো; লেখালেখির সূত্রে, অনলাইন গণমাধ্যমগুলোতে ভিডিওগ্রাফির কল্যাণে। তাই খেয়েই ছুটলাম চাঁদের গাড়ির দিকে। এখানে চলাফেরার প্রধান বাহন পুরোনো আমলের ব্রিটিশদের জিপগুলো। ছাল-বাকড় নেই, নেই কোনো দরজা জানালা। বিখ্যাত ইনানী বিচ ধরে এগিয়ে চলেছি একটি পুরোনো ধুঁকে, ধুঁকে নয়; অভিজ্ঞ ও বহুকালের ড্রাইভারের বহুকালের স্বাক্ষী গাড়িতে বসে। পথের দুই ধারে পাহাড়, মাঝে পিচঢালা পথে ছুটছে বাহন। দেখছি আর গাইছি। গানই যে ভুলে যাচ্ছি।

নেমে ছবি তোলা হলো। কক্সবাজার নারকেল গাছের জন্য বিখ্যাত। ফলে ডাব খেতে নেমে গেলাম সস্তায়। আমরা তো সস্তার দলের মানুষ। খরচ কম তো আছি, খরচ বেশি তো আমাদের দেখা মেলে না। তারপর আবার হোটেলে ফিরলাম। গোছল সেরে ভালোভাবে খেয়ে পেটপূজা হলো। বিশ্রাম।

মন খারাপ করে দিলো সন্ধ্যা নেমে। সাগর ডাকছে, তবুও বাসে চড়তে হলো। টানা ঘুম, কখনো জেগে, জেগে আশপাশের অপরূপ কুয়াশায় ঢাকা বন-বনানী, ছোট, বড় গাছের সারির দ্রুততম গতিতে পেছনে পড়ে যাওয়া; গরীবের কুঁড়ে ঘর, নিম্মবিত্তের মাটির, ছনের ঘর, মধ্যবিত্তের টিনের ছাদের দালান, বড়লোকের আলিশান বাড়ি; একজন, দুজন পথচলতি গরীব, গরু, ছাগল; বাড়ির কুকুর, বেওয়ারিশ মানুষ আমাদের পেছনে পড়তে লাগলেন।

মাঝ রাতে খেতে এক ভালো হাটেলে। মন ভরে পেট ভরালাম, একে অন্যের সহযোগিতায়। তারপর সব জীবনের ডায়েরিতে লিখে রেখে আমরা ফিরলাম বাসায়।

ওএস/৩১-১-২০২২।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা