কেবল মজা
স্টামফোর্ড ইউনির্ভাসিটি বাংলাদশের ব্যাচ ৫৫; সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের ছাত্র, ছাত্রীরা, অন্যদের সাড়া না পেয়ে মোট ১২ জন চলে গিয়েছেন কক্সবাজারে। দূরদর্শন গ্রুপের সেই একটি মোটে দিনের অতি চমৎকার ভ্রমণের গল্পটি ছবি তুলে লিখেছেন হাবিবুর রহমান
মিউজিক ভিডিওটি দারুণ। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাগর সৈকত বানানো অভিনব ও আধুনিক এই গানের চিত্ররূপ। সুর খুব অসাধারণ। শুরু হয়েছে কক্সবাজার। তীর ধরে সাগরের সঙ্গে মিলতে ছুটে চলছেনে দারুণ খুশিতে পাঁচটি ছেলেমেয়ে। তাদের পরণে টি-শার্ট, জিন্স। সাগর, তীর, আশপাশের গ্রামীণ পাহাড়ি পথ, চাঁদের গাড়ি-সবই ধীরে, ধীরে দেখাতে শুরু করলোন তারা। ডেকে আনছেন অন্য সবাইকে গানে-‘আহ্বানে/একসাথে/জেগে উঠি/বন্ধুত্বের শ্লোগানে/চলো মেলে দেই পাখা/ অভিমান ভুলে বন্ধুত্বের ছবি আঁকি/নেচে যাই গানে/ভেসে যাই সুরে/সব ভুলে একসাথে/বন্ধু, আমরা সবাই বন্ধু।’ আস্তে, আস্তে তাদের সংখ্যা বাড়ছে। জে এস শাহেদ ও নাসির হাসানের এই গানটি খুব ভালো লাগলো আফসানা রুবির। ও আমাদের বন্ধু। বাংলাদেশের গর্ব কক্সবাজারে বানানো মিউজিক ভিডিও দেখে দারুণ অবাক। খুব ইচ্ছে, আমাদের ব্যাচের সব বন্ধুকে নিয়ে বেড়াবে কক্সবাজারে। আমরা মানে স্টামফোর্ড ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ’র সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের; ৫৫ ব্যাচের ছাত্র, ছাত্রী।
ওর আলাপের শুরু হলো তখন-সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষ হতে আরো দুটো বিষয় বাকী! তর সইলো না ঘরবন্দীনির। সামান্য একটি দিনের জন্যও কী কোথাও বেড়ানো মানে কক্সবাজারে ঘুরে আসতে মানা আছে? প্রথম আলাপ করলো সাকিবের সঙ্গে। দেশের অন্যতম বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়টির মধ্যে ‘দূরদর্শন ৫৫’ নামে আমাদের ব্যাচ পরিচিত। তবে নানা কাজে-প্রধানত বিভিন্ন পত্রিকাতে প্রদায়ক সাংবাদিকতার সূত্রে অন্য কোনোতে তেমন সময় নেই কারো। ফলে ব্যাচ ঘোরাঘুরিতে অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে। ‘সেমিস্টারের ছুটির এই সময়টি কাজে লাগানো যেতে পারে’-আলাপের পর বললো দীপ্ত। আলাপ পথ ধরে আরো এগুলো। আগে পুরোনো ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লা ছাড়া ব্যাচ বন্ধুদের কোথাও ঘুরতেও যাওয়া হয়নি। কয়েক দফা চায়ের দোকানে গল্পের পর অবশেষে এই ঐক্যমত হলো যে-শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘৫৫ ব্যাচ’ বেরিয়ে পড়বে। দূরদর্শনের সবাই যাবে কক্সবাজারে।
আমাদের ফেইসবুক গ্রুপে পোষ্ট দিয়ে আরো কনফার্ম করা হলো। তবে রুবির ভেতরে হতাশা জন্ম নিলো। কেননা, সময় গড়িয়ে গেল, মোটে দুটি দিন বাকি; তারপরও অন্যদের গরজ নেই। রেগে শেষমেষ তার পোষ্ট, চমকে দিলো অন্যদের-‘কক্সবাজার ট্যুর হবে না।’ আশেক, দীপ্ত ও সোহান লেগে গেল ম্যানেজে। তিনের সম্মিলিত অনুরোধ-ব্যাচ ট্যুর হবেই, যেতেই হবে। ছড়ালো অন্যদের মাঝেও। মন ভালো হলো রুবির। কাজের কাজীদের আলাপ কাজে এলো। ব্যাচ চূড়ান্ত করলো ফের-ট্যুর বন্ধ করা যাবে না। দুজন হলেও বেড়াতে যাবে।
আমি হাবিবের যাবার ইচ্ছা খুব। অন্যকে সহযোগিতা করার সুনামও অনেক আছে। তবে পরিবার ও নিজের নানা ঝামেলায় বরাবরের মতো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি। জানের দোস্ত সাগরেরও ঠিক-ঠিকানা নেই। যার মাথা থেকে এসেছে সবার ইচ্ছেটি-সেই রুবি আমাদের আরো বিপদে ফেলে দিল ফাইনাল মোমেন্টে। ফ্যামিলি থেকে যেতে দেবে না। কয়েকবার বোঝানো হলো- তোকে যেতেই হবে, তোর মাথা থেকেই তো এসেছে। তোকে ফেলে কীভাবে যাবো আমরা? নড়ে বসলো বন্ধুটি। দুলাভাই পলাশ ভাইকে বুঝিয়ে শেষ মুহূর্তে অনুমতি আদায় করে নিলো। একেই বলে নারী জাগরণ!
আমার পেছনে লাগলো সুমনা। ট্যুর কী, কেন জরুরী, সবার সঙ্গে কেন যেতে হবে-এ বিষয়ে অনেক জ্ঞান, বাণী ও আলাপ হলো দুই বন্ধুর। শেষে বললো, ‘দোস্ত, পরিবারে কোনো না কোনো সমস্যা সব সময় থাকে। আমাদের মেয়েদের তো এসব ঝামেলা ঘাড়ে নিয়েই বাঁচতে হয়। এমনভাবে সবাই মিলে বেড়াতে যাওয়া কিন্তু সবসময় হবে না। আবার কবে যেতে পারবো কে জানে? মনে হয় না পারবো। চল যাই। খুব ভালো লাগবে।’ তাই শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলাম মনের গভীরে-বাসায় যাই হোক, আমি যাবো।
সেদিন সন্ধ্যায়ই বাসের কাউন্টারে সময় মতো হাজির। ছবি তুলি বলে এই বিষয়ে আমার খুব সুনাম আছে। অন্যদের কখনো ফটোগ্রাফাররা বিপদে ফেলে না। তাদের ধাতে নেই। নিয়ন আলোয় বাস কাঊন্টারে আছি। রুবি, সাগর, আশেক, সাকিব, দীপ্ত, সুমনা, সোহান, রাব্বি, সজীব, সুমন, ঐশী-সবাই চলে এসেছে। মানস রায় আছে কক্সবাজারে। ফলে আমাদের কলিজার জোর অনেক বেশি। বলে রেখেছে, ‘কোনো ভবনা নেই, কেবল চলে আয়। পা রাখার পর থেকে দেখবি আমি তোদের জন্য কী করি।’
বাসে চড়ে বসার আগে আড্ডাটি জমে গেল। বাস ছাড়লো রাত ৯টায়। আগে জম্পেশ আড্ডা ও খাওয়া হয়েছে সবার। রাতের খাবার এত মজা করে ঢাকার বিভিন্ন বাসা, বাড়িতে ফ্ল্যাট ভাড়া করে মেস বানিয়ে থাকা এই অভাগার দলের অনেক দিন হয়নি। বান্ধবীরা খোঁজ খবর নিয়েছে, ভালোভাবে খাইয়েছে। তাই আমার মতো পেটুকদের মন খুব ভালো। অন্যদেরও।
আকাশে চাঁদ, বাতাসে ভেসে বেড়ানো কুয়াশার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে দূরপাল্লার বাস। দূর গন্তব্যের দিকে টানা ছুটে চলা গাড়িতে প্রায় সব বন্ধু একসঙ্গে আছে। আমার মনটিতে অদ্ভুত ভালো লাগা। এই পথে সবসময় গ্রামের বাড়িতে যাই কিন্তু আজ তো যাচ্ছি বেড়াতে। আমার ভার্সিটির সবার সাথে। যাদের নিয়ে প্রায় দিন পড়ালেখা করি, আড্ডা ও ক্লাস করি। কুমিল্লার দাউদকান্দি ও মেঘনা সেতুর ওপর থেকে নিভু, নিভু জ্বালানো বাতিগুলো অনেক দূর থেকে দেখছি। এই জেলে নৌকাগুলো আসা-যাওয়ার পথে অনেকবার আগ্রহ নিয়ে দেখেছি। প্রতিবারই মনের গহীনে ছবি আঁকা হয়ে গিয়েছে। তবে আজ কেন মন আরো উদাসী হয়ে গেল।
মাথায় একটি আইডিয়া খেলে গেল, আমাদের ট্যুরের জন্য ফেইসবুকে একটি পেইজ খুললে কেমন হয়? গ্রুপের নাম দিলাম, ‘হারিয়ে যাওয়ার পথে।’ গলা খুলে, চিৎকার করে সংবাদটি দিতে দেরি করলাম না। তবে এখানে, সেখানে; সিটে, সিটে; চলার পথেও আড্ডায় ব্যস্ত বলে ফেইসবুকের মতো অভিনব ও দারুণ আগ্রহের বিষয়ে প্রথমবারের মতো কারো কোনো আগ্রহ দেখলাম না। আমার মতো চমকহীন মানুষকে ওরা চমকে দিলো! একেই বলে গন্ডারের গায়ে লাঠির খোঁচা। ফলে কাজ ফেলে যোগ দিলাম বন্ধুদের দলে। আড্ডা কখন যে সকালকে ডেকে নিয়ে এলো বুঝতেই পারলাম না।
সকাল ৮টায় দূরদর্শনের পা পড়লো বিখ্যাত, সুপ্রাচীন কক্সবাজারে। মানস আগেই চলে এসেছে। রিসিভ করার তর সইছে না তার। ওকে নিয়ে সুগন্ধা ব্রিজের পাশের হোটেলে উঠলাম। বিশ্রাম বলতে বাক্স-পোটরা মানে কাঁধের ভার্সিটির ব্যাগগুলো এখানে, সেখানে ভালোভাবে রাখা। কানে আসছে সাগরের ডাক। ফলে দৌড়ে বেরুলাম। নীল আকাশের নিচ দিয়ে উড়তে, উড়তে চলে গেলাম অপরূপ, অসীম ঢেউয়ের রাজ্যে। তার কোলে গ্রাম থেকে আসা প্রায় সবার দলের ১২ জন হারিয়ে গেল সাঁতারে। যারা সাঁতরাতে পারে না, ওরা লাইফ জ্যাকেট পরে আছে। মুগ্ধতা, জলের প্রতি ভালোবাসা, বাংলাদেশের জন্য গর্ব ও বিশাল বিশ্বের অপার টানে হারিয়ে গেলাম প্রতিটি তরুণ প্রাণ। একে, অন্যের খেয়ালও রাখছি। এসব কাজে আমার মতো দুয়েকজন আছে খুব আগ্রহী। তাতে মেয়েদের কোনো ক্ষতি হলো না। কোনো অসুবিধা নেই, বরং কেবল মজা; বঙ্গোপসাগরের সাদা ঢেউয়ে শরীর ভিজে আছে। পানিতে নাচানাি তে কী যে শান্তি-বলে বোঝাতে পারবো না। লিখে তো নয়ই।
পেলাম বঙ্গোপসাগরের আলোকচিত্রীদের। অভাবী মানুষগুলো সাগরের মায়ায় পড়ে আছেন। সাগর জলের কত না আনন্দ, বেদনার স্বাক্ষী এই নির্বাকরা। সাগর যাদের রক্ষাকর্তার সামান্য কিন্তু অসামান্য দায়িত্বভার দিয়ে রেখেছে। আমি তাদের দিকে এগিয়ে গেলাম। কথা বললো অন্যরাও। সাংবাদিকতার ছাত্র, ছাত্রী-আমি নিজে ছবি তুলি; এটাই পেশা করতে চাই; আমরা নিয়ে আসা ক্যামেরায় তাদের ছবি তুললাম। সাগরের দুঁদে ফটোগ্রাফাররা আমাদের আশপাশে ঘুরে, ঘুরে দেখছেন। আমাদের ছবি তোলা ভালো লাগছে তাদেরও। তাদেরই একজন আমাদের ছবিটি তুলে দিয়েছেন।
টিপ, টিপ বৃষ্টি নামতে লাগলো। আমার ক্যামেরা তো বাঁচাতে হবে। তাই তাড়া শুরু করে দিলাম। আরেকজনও তাই করলো। ফলে হোটেলে ফিরে এলো ভিজতে, ভিজতে; নাচার তরুণের দল। দুপুরটি খুব জমলো। আড্ডা টানা; খাওয়াও জম্পেশ। আমরা ছবি তুলছি; সেলফিতে ব্যস্ত অন্য সব নবীনতম সাংবাদিকের দল। কেউ কারো চেয়ে কম যাই না। খারাপ ছবি তুলেছে, কেউ বলতে পারবে না; আবার জ্ঞানেরও কোনো বিরাম নেই। গল্পের নেই কোনো শেষ। সেগুলো পরে রুবি, সুমন, সাকিব, আশেক আর অন্যদের অবসরে চলে এলো ফেইসবুকে। তাতে নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যদের বুকে জ্বালা ধরেছে।
প্রেম, আড্ডা, এখানে, সেখানে বেড়ানো; এর-তার গল্প; সামান্য বিরতিতেই বঙ্গোপসাগরের ডাকে সাড়া দেবার জন্য চলে যাচ্ছে সবাই; একা ও কয়েকজন-মিলে; চা, কফি, ফাস্টফুডের নানা বাহার বাড়ছে ক্ষণে, ক্ষণে; পেট পুরে খাওয়া হলো। এসব খেতে এবার আমাদের অরুচি ধরলো! সময়ের আর কোনো হিসেব নেই। পত্রিকা, অনলাইনের সময় ধরে ছুটে যাওয়া তরুণ প্রাণের বাজি এখন থেমেছে। ফলে খেয়ে-দেয়ে; হোটেলের মজার খাবার; আমরা প্রায় ১১টায় চলে গেলাম ভয়ংকর দানবের ডাকে সাড়া দিতে দুরু, দুরু বুকে।
কালো অসীম, বিপুল গজনে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলের আমাজন নদীর বুকে বেঁচে থাকা অ্যানাকোন্ডা আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে গিলে খাবে বলে। আমাদের তো পরোয়া কোনোকালে ছিল না, তার কাছে চলে গেলাম আড্ডা দিতে! বঙ্গোপসাগরের ওপরের তারার মেলা দেখেছেন কখনো? সেই তারাদের কাছে যাওয়া যায় না জানেন কী? সাগরের গর্জনের ভেতরেই গান আর আড্ডা চলছে। প্রবল বাতাসে, দিনে যেহেতু বৃষ্টি হয়েছে; তাই বেগ আছে বেশি; সাগরের ডাক শুনতে কী যে ভালো লাগছে।
সাগরের পাড়ে, পাড়ে প্রতিরক্ষা বাতিগুলো আলো বিলিয়ে চলেছে; চারপাশকে চিনিয়ে দিচ্ছে; আলোকিত বাতিতে সাগরের ঢেউগুলো দেখতে খুব সুন্দর হয়ে আছে। ফলে ছোট, ছোট দলে বেড়ানোর মানা নেই-দলটি এখন বাঁধনহারা হয়ে গেল। ভোর চারটে যে বেজে গিয়েছে কারোর কী কোনো খেয়াল আছে? এত রাতে সাগর পাড়ে আমরা! নিজেরই অবিশ্বাস লাগছে। ডেকে, ডেকে ফেরাতে গিয়ে গলা ভেঙে গেল। হোটেলে পৌঁছে টেবিলগুলোর ওপর রাখা খাবার খেয়ে ঘুম দিলাম।
পরদিন সকালের সিডিউল ধরতে কোনো অসুবিধা হলো না আমাদের কারো; লেখালেখির সূত্রে, অনলাইন গণমাধ্যমগুলোতে ভিডিওগ্রাফির কল্যাণে। তাই খেয়েই ছুটলাম চাঁদের গাড়ির দিকে। এখানে চলাফেরার প্রধান বাহন পুরোনো আমলের ব্রিটিশদের জিপগুলো। ছাল-বাকড় নেই, নেই কোনো দরজা জানালা। বিখ্যাত ইনানী বিচ ধরে এগিয়ে চলেছি একটি পুরোনো ধুঁকে, ধুঁকে নয়; অভিজ্ঞ ও বহুকালের ড্রাইভারের বহুকালের স্বাক্ষী গাড়িতে বসে। পথের দুই ধারে পাহাড়, মাঝে পিচঢালা পথে ছুটছে বাহন। দেখছি আর গাইছি। গানই যে ভুলে যাচ্ছি।
নেমে ছবি তোলা হলো। কক্সবাজার নারকেল গাছের জন্য বিখ্যাত। ফলে ডাব খেতে নেমে গেলাম সস্তায়। আমরা তো সস্তার দলের মানুষ। খরচ কম তো আছি, খরচ বেশি তো আমাদের দেখা মেলে না। তারপর আবার হোটেলে ফিরলাম। গোছল সেরে ভালোভাবে খেয়ে পেটপূজা হলো। বিশ্রাম।
মন খারাপ করে দিলো সন্ধ্যা নেমে। সাগর ডাকছে, তবুও বাসে চড়তে হলো। টানা ঘুম, কখনো জেগে, জেগে আশপাশের অপরূপ কুয়াশায় ঢাকা বন-বনানী, ছোট, বড় গাছের সারির দ্রুততম গতিতে পেছনে পড়ে যাওয়া; গরীবের কুঁড়ে ঘর, নিম্মবিত্তের মাটির, ছনের ঘর, মধ্যবিত্তের টিনের ছাদের দালান, বড়লোকের আলিশান বাড়ি; একজন, দুজন পথচলতি গরীব, গরু, ছাগল; বাড়ির কুকুর, বেওয়ারিশ মানুষ আমাদের পেছনে পড়তে লাগলেন।
মাঝ রাতে খেতে এক ভালো হাটেলে। মন ভরে পেট ভরালাম, একে অন্যের সহযোগিতায়। তারপর সব জীবনের ডায়েরিতে লিখে রেখে আমরা ফিরলাম বাসায়।
ওএস/৩১-১-২০২২।