বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে কাজ করছেন ছবি মেলার শহিদুল আলম

আজ ২৬ জানুয়ারি, ২০২২।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি নিয়োগ করেছে মার্কিন শিল্পী-ডিজাইনার ও স্থপতি মায়া লিন ও বাংলাদেশের বিশ্বখ্যাত ফটোগ্রাফিক ইনিস্টিটিউট পাঠশালার প্রধান শহিদুল আলমকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এক্সপ্লোরার অ্যাট লার্জ (তারা বিস্তৃতভাবে অভিযাত্রীর নিয়োগটি লাভ করলেন)। খেতাবটি সেই সুযোগগুলো নিয়ে এসেছে তাদের জন্য, যেগুলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির দূতের সুবিধাদিতে আছে। পাশাপাশি তাদের সমাজ ও বিশ্বের জন্য প্রভাবশালী কাজে সাহায্য করার সুযোগ লাভ করলো সোসাইটি। সম্মানটি তাদের ওপর অর্পিত হয়েছে আরো কজন বৈশ্বিক পরিবর্তনকারী ও ভাবনাকে বদলে দেওয়া ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিংবদন্তী নেতা যেমন বব ব্যালাড, রডরিগো মেডেলিন, সিলভিয়া আরলে ও মৃত টমাস লাভজয়ের মতো।
‘১৩৪ বছর ধরে দি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি তাদের নানা ধরণের (বিজ্ঞান ও অভিযানের; মানুষের) গল্প বলার ক্ষমতাগুলোর জন্য স্বীকৃত হয়েছে। আমরা (ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক) এই নতুন সুপারহিরোদের বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তারে লাফিয়ে পড়তে ব্যবহার করতে চাই’-এরপর বলেছেন কেইটলিন ইয়ানো, প্রতিষ্ঠানটির চিফ স্টোরি টেলিং অফিসার। আরো জানিয়েছেন, ‘তাদের কর্মজীবনের পুরোটা ধরে মায়া ও শহিদুল পরিস্কারভাবে প্রদর্শন করেছেন নিজেদের উদ্যম, সক্ষমতা ও উদ্ভাবনকে গল্প বলিয়ে হিসেবে এবং আমরা তাদের সঙ্গে এগুলো উদযাপনের জন্য সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।’
এই ভূমিকাতে প্রতিটি এক্সপ্লোরার অ্যাট লাজ বছরে একটি করে বৃত্তি লাভ করবেন। সোসাইটির সারিবদ্ধভাবে করতে হয় এমন কাজগুলোর লক্ষ্য পূরণেও তাদের সাহায্য করা হবে। আমাদের বিশ্বের বিস্ময়গুলোকে রক্ষা করার বিনিময়ে অতিরিক্ত অনুদান সুবিধা তারা লাভ করবেন।

হোয়াইট ইজ মিসিং
তিনি একজন শিল্পী, একজন নকশাবিদ ও একজন স্থাপত্যশিল্পী। আকিটেচারে সবচেয়ে স্বীকৃত নামগুলোর একজন হতে পারেন। তার প্রথম বিরাট সাফল্য আসে লেখাপড়ার সিনিয়র ইয়ারে, যখন মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটের ইয়েল ইউনিভাসিটিতে পড়ার সময় জমা দিয়েছিলেন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ভিয়েতনাম যুদ্ধের ঝানু বীরদের স্মরণে দি ভিয়েতনাম ভেটারান্স মেমোরিয়াল তৈরির জন্য একটি জাতীয় প্রতিযোগিতাতে সেরা ডিজাইনটি। তারপর থেকে কয়েক ধরণের ক্যারিয়ারে মুড়ে গিয়েছেন মায়া লিন। লাভ করেছেন এরই মধ্যে অসাধারণ কটি স্বীকৃতি। তার মধ্যে আছে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বেসামরিক সম্মাননাগুলোর একটি দি প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম, জায়গা করে নিয়েছেন দি ন্যাশনাল উইমেন’স হল অব ফেম-এ। তার বাদেও মায়া লিনের প্রদর্শনী হয়েছে স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিউট জাদুঘরের মতো মর্যাদাপূণ জাদুঘরগুলোতে।
২০১৯ সালে তাকে সোসাইটি ফান্ড বা অনুদান প্রদান করেছিল। সেটি হোয়াইট ইজ মিসিং নামের একটি অনেক দিনের প্রকল্প। একটি কাব্যিক, আকষণীয় স্মৃতিস্মারক, যেটি আলোকিত করে জায়গা ও প্রজাতিগুলোকে; যাদের আমরা হারিয়েছি এবং বিশেষভাবে তুলে ধরে যে আমরা নিরাপদ হতে পারি যদি যথেষ্ট সাহসের সঙ্গে ঠিক পরিবর্তনগুলো করতে পারি।
লিন তার বই বাউন্ডারিজে লিখেছেন, ‘আমি নিজেকে সীমানাগুলোর মধ্যে থাকতে দেখি, একটি জায়গা যেখানে বিপরীতরা মিলতে পারে-বিজ্ঞান ও শিল্পকলা; শিল্পকলা ও স্থাপত্যবিদ্যা; পূর্ব ও পশ্চিম। আমার কাজ জন্মলাভ করে একটি সাধারণ ইচ্ছে থেকে। সেটি হলো মানুষকে তাদের চারপাশ সম্পকে সচেতন করে তোলা।’

ছবিমেলার শহিদুল আলম
টানা ৪০ বছরের বেশি শহিদুল আলম কার্যকরের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার গল্প বুনে চলেছেন। এখনো তিনি প্রথম হওয়া একজন আলোকচিত্রী হচ্ছেন, সেটি তার ও অন্য সবার জন্য একটি সুখের দু:সংবাদ। ১৯৮০’র দশকে তিনি উত্তর আমেরিকা জুড়ে ভ্রমণ করেছেন। একজন বন্ধু তখন তাকে একটি ক্যামেরা কিনতে বললেন, কিন্তু সেটির টাকা ফেরত দিয়ে নিতে পারেননি। ফলে বাধ্য হয়ে শহিদুল আলম সেই ক্যামেরাটি ব্যবহার করতে শুরু করলেন। তিনি একজন রসায়ন বিদ্যার একজন গবেষক হতে লেখাপড়া করেছিলেন। তবে ওই ক্যামেরা হাতে হয়ে গেলেন পথে, পথে ঘুরে বেড়ানো শিশুদের মুখচ্ছবি তুলতে শুরু করা একজন আলোকচিত্রী। পরিণামে বুঝতে পেরেছিলেন, সক্রিয় পরিবর্তনের কাজে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে কার্যকর ছবি।
২০২০ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের স্টোরিটেলারস সমিট বা গল্পবলিয়েদের সম্মেলনে গিয়েছিলেন। তখন বলেছেন, ‘ছবির মাধ্যমে আমি পরিসংখ্যানগুলোকে একটি ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করতে পেরেছি।’
১৯৮৪ সালে পাকাপাকিভাবে দেশে চলে এলেন। বাংলাদেশে তিনি পরিবতিত পরিস্থিতিতে হলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ আলোচিত্র সাংবাদিক। স্বৈরাচার শাসককে মুছে ফেলার জন্য আপন দেশের গণতন্ত্রের সংগ্রামগুলোকে বন্দী ও নথিবদ্ধ করতে লাগলেন। অনেক বছর ধরে তার কাজগুলো বাংলাদেশের জীবন, যেটির মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিগুলো আছে, রয়েছে পরিবেশের দলিলাদি; নিজ দেশ ও সারা বিশ্বজুড়ে পরিচিত এবং স্বীকৃত হয়ে চলেছে।
তার কাজ বেশিরভাগ পশ্চিমা গণমাধ্যমে ফিচার আকারে প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে আছে নিউ ইয়ক টাইমস, মযাদাপূণ জাদুঘর যেমন লন্ডনের টেইট মডান; ২০১৮ সালে শহিদুল আলম সম্মানিত হয়েছেন টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দি ইয়ার’।
নিজের ছবির জগতের মাধ্যমে তিনি যে অর্জনগুলো করেছেন, সেগুলোতে উদ্দীপ্ত হয়ে বাংলাদেশের এই প্রখ্যাত আলোকচিত্রী অন্যদেরও সেভাবে ক্ষমতায়িত করতে কাজ করেছেন। এভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন দি দৃক পিকচার লাইব্রেরি, আয়োজন করেন প্রতি বছর ছবিমেলা নামের বণাঢ্য আয়োজন, সেটি ছবির আন্তজাতিক মেলা, আরো আছে তার পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট। শেষটি ছবির বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র পূণাঙ্গ অনার্স কোস। একে বিশ্বের সবচেয়ে ভালোমানের ছবির বিদ্যালয়গুলোর একটি হিসেবে মনে করা হয়। সৃজনশীল এই মানুষটি আউট অব ফোকাস উদ্যোগটি তৈরি করেছেন , সেটি সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের ছবি শেখায়।

দি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
দি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি নামে বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানটি একটি অলাভজনক বৈশ্বিক সংস্থা, যেটি বিজ্ঞান, অন্বেষণ, শিক্ষা ও গল্প বলার শক্তিকে ব্যবহার করে আলোকিত করে ও আমাদের বিশ্বের বিস্ময়গুলোকে বাঁচাতে ছুটে চলে। ১৯৮৮ সাল থেকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক দেশসহ নানা সীমানাগুলোকে ঢুকে যাচ্ছে কৌতুহল, পরিবেষ্টনে; সাহসী মানুষের মধ্যেও তারা আছেন। নানা ধরণের ভাবনা ও একে অন্যের মধ্যে রূপান্তরকারী কাজগুলো তুলে ধরছেন। শহিদুল আলমদের মতো বিশ্বজুড়ে অভিযাত্রীদের, এই ভুবনের মানুষদের জন্য ১৫ হাজার মাকিন ডলারের বেশি অনুদান প্রদান করছেন বছরওয়ারি। তাতে বিশ্বের সাতটি মহাদেশে কাজ হচ্ছে। এভাবে ও নানা কাজে তারা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বছর গড়ে ৩০ লাখ ছাত্র, ছাত্রীর কাছে শিক্ষা প্রস্তাবগুলোর মাধ্যমে পৌঁছাচ্ছেন। তার বাদেও আলোকিত করছেন তাদের শ্রেতা, দর্শক ও পাঠকদের সারা বিশ্বজুড়ে নিজেদের চিহ্নবাহী অভিজ্ঞতার গল্পগুলোতে, নানা কাহিনীতে এবং অনেক বিষয় দিয়ে। আরো জানতে যেতে পারেন-www.nationalgeographic.org-এই সাইটে। অনুসরণ করতে পারেন বিশ্বখ্যাত এই শিক্ষা ও বিনোদন প্রতিষ্ঠানটিকে ফেইসবুকেও।


ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক থেকে অনুবাদ : ওমর শাহেদ/২৮-১-২০২২।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া