শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে কাজ করছেন ছবি মেলার শহিদুল আলম

আজ ২৬ জানুয়ারি, ২০২২।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি নিয়োগ করেছে মার্কিন শিল্পী-ডিজাইনার ও স্থপতি মায়া লিন ও বাংলাদেশের বিশ্বখ্যাত ফটোগ্রাফিক ইনিস্টিটিউট পাঠশালার প্রধান শহিদুল আলমকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এক্সপ্লোরার অ্যাট লার্জ (তারা বিস্তৃতভাবে অভিযাত্রীর নিয়োগটি লাভ করলেন)। খেতাবটি সেই সুযোগগুলো নিয়ে এসেছে তাদের জন্য, যেগুলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির দূতের সুবিধাদিতে আছে। পাশাপাশি তাদের সমাজ ও বিশ্বের জন্য প্রভাবশালী কাজে সাহায্য করার সুযোগ লাভ করলো সোসাইটি। সম্মানটি তাদের ওপর অর্পিত হয়েছে আরো কজন বৈশ্বিক পরিবর্তনকারী ও ভাবনাকে বদলে দেওয়া ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক কিংবদন্তী নেতা যেমন বব ব্যালাড, রডরিগো মেডেলিন, সিলভিয়া আরলে ও মৃত টমাস লাভজয়ের মতো।
‘১৩৪ বছর ধরে দি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি তাদের নানা ধরণের (বিজ্ঞান ও অভিযানের; মানুষের) গল্প বলার ক্ষমতাগুলোর জন্য স্বীকৃত হয়েছে। আমরা (ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক) এই নতুন সুপারহিরোদের বিশ্বজুড়ে প্রভাব বিস্তারে লাফিয়ে পড়তে ব্যবহার করতে চাই’-এরপর বলেছেন কেইটলিন ইয়ানো, প্রতিষ্ঠানটির চিফ স্টোরি টেলিং অফিসার। আরো জানিয়েছেন, ‘তাদের কর্মজীবনের পুরোটা ধরে মায়া ও শহিদুল পরিস্কারভাবে প্রদর্শন করেছেন নিজেদের উদ্যম, সক্ষমতা ও উদ্ভাবনকে গল্প বলিয়ে হিসেবে এবং আমরা তাদের সঙ্গে এগুলো উদযাপনের জন্য সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।’
এই ভূমিকাতে প্রতিটি এক্সপ্লোরার অ্যাট লাজ বছরে একটি করে বৃত্তি লাভ করবেন। সোসাইটির সারিবদ্ধভাবে করতে হয় এমন কাজগুলোর লক্ষ্য পূরণেও তাদের সাহায্য করা হবে। আমাদের বিশ্বের বিস্ময়গুলোকে রক্ষা করার বিনিময়ে অতিরিক্ত অনুদান সুবিধা তারা লাভ করবেন।

হোয়াইট ইজ মিসিং
তিনি একজন শিল্পী, একজন নকশাবিদ ও একজন স্থাপত্যশিল্পী। আকিটেচারে সবচেয়ে স্বীকৃত নামগুলোর একজন হতে পারেন। তার প্রথম বিরাট সাফল্য আসে লেখাপড়ার সিনিয়র ইয়ারে, যখন মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাটের ইয়েল ইউনিভাসিটিতে পড়ার সময় জমা দিয়েছিলেন রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ভিয়েতনাম যুদ্ধের ঝানু বীরদের স্মরণে দি ভিয়েতনাম ভেটারান্স মেমোরিয়াল তৈরির জন্য একটি জাতীয় প্রতিযোগিতাতে সেরা ডিজাইনটি। তারপর থেকে কয়েক ধরণের ক্যারিয়ারে মুড়ে গিয়েছেন মায়া লিন। লাভ করেছেন এরই মধ্যে অসাধারণ কটি স্বীকৃতি। তার মধ্যে আছে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বেসামরিক সম্মাননাগুলোর একটি দি প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম, জায়গা করে নিয়েছেন দি ন্যাশনাল উইমেন’স হল অব ফেম-এ। তার বাদেও মায়া লিনের প্রদর্শনী হয়েছে স্মিথসোনিয়ান ইন্সটিউট জাদুঘরের মতো মর্যাদাপূণ জাদুঘরগুলোতে।
২০১৯ সালে তাকে সোসাইটি ফান্ড বা অনুদান প্রদান করেছিল। সেটি হোয়াইট ইজ মিসিং নামের একটি অনেক দিনের প্রকল্প। একটি কাব্যিক, আকষণীয় স্মৃতিস্মারক, যেটি আলোকিত করে জায়গা ও প্রজাতিগুলোকে; যাদের আমরা হারিয়েছি এবং বিশেষভাবে তুলে ধরে যে আমরা নিরাপদ হতে পারি যদি যথেষ্ট সাহসের সঙ্গে ঠিক পরিবর্তনগুলো করতে পারি।
লিন তার বই বাউন্ডারিজে লিখেছেন, ‘আমি নিজেকে সীমানাগুলোর মধ্যে থাকতে দেখি, একটি জায়গা যেখানে বিপরীতরা মিলতে পারে-বিজ্ঞান ও শিল্পকলা; শিল্পকলা ও স্থাপত্যবিদ্যা; পূর্ব ও পশ্চিম। আমার কাজ জন্মলাভ করে একটি সাধারণ ইচ্ছে থেকে। সেটি হলো মানুষকে তাদের চারপাশ সম্পকে সচেতন করে তোলা।’

ছবিমেলার শহিদুল আলম
টানা ৪০ বছরের বেশি শহিদুল আলম কার্যকরের দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার গল্প বুনে চলেছেন। এখনো তিনি প্রথম হওয়া একজন আলোকচিত্রী হচ্ছেন, সেটি তার ও অন্য সবার জন্য একটি সুখের দু:সংবাদ। ১৯৮০’র দশকে তিনি উত্তর আমেরিকা জুড়ে ভ্রমণ করেছেন। একজন বন্ধু তখন তাকে একটি ক্যামেরা কিনতে বললেন, কিন্তু সেটির টাকা ফেরত দিয়ে নিতে পারেননি। ফলে বাধ্য হয়ে শহিদুল আলম সেই ক্যামেরাটি ব্যবহার করতে শুরু করলেন। তিনি একজন রসায়ন বিদ্যার একজন গবেষক হতে লেখাপড়া করেছিলেন। তবে ওই ক্যামেরা হাতে হয়ে গেলেন পথে, পথে ঘুরে বেড়ানো শিশুদের মুখচ্ছবি তুলতে শুরু করা একজন আলোকচিত্রী। পরিণামে বুঝতে পেরেছিলেন, সক্রিয় পরিবর্তনের কাজে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে কার্যকর ছবি।
২০২০ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের স্টোরিটেলারস সমিট বা গল্পবলিয়েদের সম্মেলনে গিয়েছিলেন। তখন বলেছেন, ‘ছবির মাধ্যমে আমি পরিসংখ্যানগুলোকে একটি ব্যক্তিতে রূপান্তরিত করতে পেরেছি।’
১৯৮৪ সালে পাকাপাকিভাবে দেশে চলে এলেন। বাংলাদেশে তিনি পরিবতিত পরিস্থিতিতে হলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ আলোচিত্র সাংবাদিক। স্বৈরাচার শাসককে মুছে ফেলার জন্য আপন দেশের গণতন্ত্রের সংগ্রামগুলোকে বন্দী ও নথিবদ্ধ করতে লাগলেন। অনেক বছর ধরে তার কাজগুলো বাংলাদেশের জীবন, যেটির মধ্যে সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিগুলো আছে, রয়েছে পরিবেশের দলিলাদি; নিজ দেশ ও সারা বিশ্বজুড়ে পরিচিত এবং স্বীকৃত হয়ে চলেছে।
তার কাজ বেশিরভাগ পশ্চিমা গণমাধ্যমে ফিচার আকারে প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে আছে নিউ ইয়ক টাইমস, মযাদাপূণ জাদুঘর যেমন লন্ডনের টেইট মডান; ২০১৮ সালে শহিদুল আলম সম্মানিত হয়েছেন টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অব দি ইয়ার’।
নিজের ছবির জগতের মাধ্যমে তিনি যে অর্জনগুলো করেছেন, সেগুলোতে উদ্দীপ্ত হয়ে বাংলাদেশের এই প্রখ্যাত আলোকচিত্রী অন্যদেরও সেভাবে ক্ষমতায়িত করতে কাজ করেছেন। এভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন দি দৃক পিকচার লাইব্রেরি, আয়োজন করেন প্রতি বছর ছবিমেলা নামের বণাঢ্য আয়োজন, সেটি ছবির আন্তজাতিক মেলা, আরো আছে তার পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট। শেষটি ছবির বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র পূণাঙ্গ অনার্স কোস। একে বিশ্বের সবচেয়ে ভালোমানের ছবির বিদ্যালয়গুলোর একটি হিসেবে মনে করা হয়। সৃজনশীল এই মানুষটি আউট অব ফোকাস উদ্যোগটি তৈরি করেছেন , সেটি সুবিধাবঞ্চিত ছেলেমেয়েদের ছবি শেখায়।

দি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
দি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি নামে বিশ্বজুড়ে বিখ্যাত এই প্রতিষ্ঠানটি একটি অলাভজনক বৈশ্বিক সংস্থা, যেটি বিজ্ঞান, অন্বেষণ, শিক্ষা ও গল্প বলার শক্তিকে ব্যবহার করে আলোকিত করে ও আমাদের বিশ্বের বিস্ময়গুলোকে বাঁচাতে ছুটে চলে। ১৯৮৮ সাল থেকে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক দেশসহ নানা সীমানাগুলোকে ঢুকে যাচ্ছে কৌতুহল, পরিবেষ্টনে; সাহসী মানুষের মধ্যেও তারা আছেন। নানা ধরণের ভাবনা ও একে অন্যের মধ্যে রূপান্তরকারী কাজগুলো তুলে ধরছেন। শহিদুল আলমদের মতো বিশ্বজুড়ে অভিযাত্রীদের, এই ভুবনের মানুষদের জন্য ১৫ হাজার মাকিন ডলারের বেশি অনুদান প্রদান করছেন বছরওয়ারি। তাতে বিশ্বের সাতটি মহাদেশে কাজ হচ্ছে। এভাবে ও নানা কাজে তারা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রতি বছর গড়ে ৩০ লাখ ছাত্র, ছাত্রীর কাছে শিক্ষা প্রস্তাবগুলোর মাধ্যমে পৌঁছাচ্ছেন। তার বাদেও আলোকিত করছেন তাদের শ্রেতা, দর্শক ও পাঠকদের সারা বিশ্বজুড়ে নিজেদের চিহ্নবাহী অভিজ্ঞতার গল্পগুলোতে, নানা কাহিনীতে এবং অনেক বিষয় দিয়ে। আরো জানতে যেতে পারেন-www.nationalgeographic.org-এই সাইটে। অনুসরণ করতে পারেন বিশ্বখ্যাত এই শিক্ষা ও বিনোদন প্রতিষ্ঠানটিকে ফেইসবুকেও।


ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক থেকে অনুবাদ : ওমর শাহেদ/২৮-১-২০২২।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা