কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশনে ময়লার ছড়াছড়ি, হতাশ পর্যটকরা
ফাইল ছবি
কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন যতোটা সুন্দর, সামনের পরিবেশ ততোটাই মলিন। বিশেষভাবে, ফোয়ারার পানিতে ময়লা-আবর্জনা, উচ্ছিষ্টের ছড়াছড়ি দেখে হতাশ পর্যটকরা। সৌন্দর্য সুরক্ষায় আরও যত্মবান হওয়ার তাগিদ তাদের।
সদ্য উদ্বোধন রেলস্টেশনটির বাইরের চারপাশ জুড়েও রয়েছে ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি। আবর্জনা নিরসনে বাইরেও রাখা হয়নি কোন ডাস্টবিনের ব্যবস্থা। দেশের সবচেয়ে সুন্দর দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশনে এসে এরকম পরিবেশ দেখে রীতিমতো হতাশ পর্যটকরা ।
রেলকর্তৃপক্ষ এই অবস্থার জন্য দুষছেন স্থানীয়দেরকেই। কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘পর্যটকের পাশাপাশি এখানে ঘুরতে আসেন স্থানীয়রা। বাইরে আড্ডা এবং খাওয়া দাওয়া শেষে যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলে যাচ্ছে। আমরা এটা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করছি। যদিও এখনো প্রজেক্টের কাজ চলমান রয়েছে। আমরা এখনো হ্যান্ড ওভার পাইনি।’
দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশনকে পরিষ্কার এবং সুন্দর রাখতে কর্তৃপক্ষকে দায় না এড়িয়ে যথাযথ উদ্যোগী হতে এবং সেই সাথে জনসাধারনকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন সচেতন পর্যটকরা।
২৯ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা ১ লাখ ৮৭ হাজার বর্গফুটের রেলস্টেশনটিতে রয়েছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, শিশুযত্ন কেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সুবিধা। দৈনিক ৪৬ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত আইকনিক রেলস্টেশনে আরও আছে ডাকঘর, কনভেনশন সেন্টার, তথ্যকেন্দ্র, এটিএম বুথ ও প্রার্থনার স্থান। গত ২৮ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম দৃষ্টিনন্দন এই আইকনিক রেলস্টেশনটির উদ্বোধন করেন ।