শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাতক্ষীরার আকর্ষণ সড়ক পথে সুন্দরবন

একপাশে সড়ক পথ, অন্যপাশে গভীর সুন্দরবন। মাঝখানে প্রবাহমান নদীর তীরে সুন্দরবনের আদলে তৈরি ইকোটুরিজম আকাশলীনা। সাতক্ষীরা দিয়ে সড়কপথে সুন্দরবন ভ্রমণে আসতে পারেন আপনিও। এ সড়কপথে সুন্দরবন দেখার সুবিধার জন্যই হয়তো সাতক্ষীরার ব্র্যান্ড নেম ‘সাতক্ষীরার আকর্ষণ সড়ক পথে সুন্দরবন’।

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ কলবাড়িতে অবস্থিত আকাশলীন ইকো ট্যুরিজম সেন্টার। ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসকের ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনের চুনা ও মালঞ্চ নদীর সংযোগস্থলে ১৯ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার। বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার ভ্রমণকারীদের জন্যে দর্শনীয় স্থান নামে পরিচিতি লাভ করেছে।

স্থানীয়রা বলেন, দেশ-বিদেশের ভ্রমণ পিপাসুরা সুন্দরবনের প্রকৃতির অপরুপ হিমেল হাওয়া ও দৃশ্য সরাসরি দেখতে ছুটে আসেন আকাশলীনায়। প্রকৃতির সবুজ বনায়নের ভিতরে হারিয়ে যায় ভ্রমণকারীরা। এখান থেকে জেলে বাওয়ালীদের ছোট ছোট ডেঙ্গি নৌকা নিয়ে বনের ভিতরে জীবিকা নির্বাহের জন্যে মাছ ধরতে যাওয়া দৃশ্যও চোখে পড়ে।

এ ছাড়া ভ্রমণ করার জন্য ছোট-বড় ট্রলার, লঞ্চ, স্টিমারসহ অনেক প্রকার নৌ যান চলাচল করতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে বিদেশি পর্যটকরা আকাশ দিয়ে উড়ে আসে সি প্লেনে। অবস্থান করে আকাশলীনার সম্মুখে মালঞ্চ নদীতে।

এ রকম দৃশ্য দেখতে কার না মন চায়। তাই এমন দৃশ্য দেখে স্থানীয় ও ভ্রমনকারীরা আনন্দে মুখরিত করে তোলেন আকাশলীনার ভিতরে ও বাইরে। এখান থেকে সুন্দরবনকে খুব কাছে উপভোগ করা যায়। পায়ে হেঁটেও সুন্দরবন দেখা যায়। আকাশলীনার ভিতরে ভ্রমনকারীদের সুবিধার্থে রয়েছে উন্নত মানের গেস্ট হাউজ। এখানে বনের পশু পাখির সাথে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের জলজ প্রাণীর ফিশ মিউজিয়াম।

এদিকে ভ্রমণ পিপাসুর জন্যে সুন্দরবনকে আরও সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে আকাশলীন ইকো ট্যুরিজম সেন্টারের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের অর্থায়নে ওয়াচ টাওয়ার। প্রথমে ওয়াচ টাওয়ারে ওঠার সু-ব্যবস্থা থাকলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই সেটি নদীগর্ভে চলে যায়।

সরজমিনে দেখা গেছে বর্তমানে ওয়াচ টাওয়ারে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। পানি-কাদা ঠেলে ওয়াচ টাওয়ারে উঠে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে রাজি ভ্রমণপিপসুরা। কিন্তু কী কারণে এখনও ওয়াচ টাওয়ারটি মেরামত করা হচ্ছে না সে প্রশ্ন শোনা যায় সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের কাছ থেকে ! সেটি নির্মাণের কাজটি তাড়াতাড়ি শেষ হলে হয়তো বা ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বাড়বে। টাওয়ারের ওপর থেকে সুন্দরবনের ভিতর ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবে। দেখতে পারবে সুন্দরবনের অপরূপ দৃশ্য এমনটি মন্তব্য করেছেন পর্যটকরা।

জেলা পরিষদের সদস্য ডালিম ঘোরামী বলেন, ‘ওয়াচ টাওয়ারের অর্থায়ন ছিল জেলা পরিষদের। সুন্দরবন উপভোগ করার জন্য টাওয়ারে ওঠানামার সুব্যবস্থাও ছিল। কিন্তু হঠাৎ ট্রেইলটি নদীগর্ভে চলে যায়। আমি বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব। ব্যাপারটির দ্রুত সমাধান হলে সুন্দরবনের ভিতরের দৃশ্য সুন্দরভাবে উপভোগ করা যাবে।’

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ওয়াচ টাওয়ারে যাওয়ার ট্রেইলটির কাজ আগামী মাসে শুরু হবে। তবে এবার কংক্রিট দিয়ে তৈরি না করে বাঁশ ও কাঠদিয়ে তৈরি হবে এবং অন্য সকল বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।’

যশোর থেকে ঘুরতে আসা একদল বন্ধুমহল জানান, সুন্দরবনের তিরে আকাশলীনা ইকো ট্রুরিজমে এসে তাদের মন ভরে গেছে এবং তারা মুগ্ধ। তবে তারা অভিযোগ করেন রাস্তার বেহাল দশার। তারা বলেন, ‘রাস্তার কারণে একবার এলে আরেকবার আসার ইচ্ছা হয় না। ছোট ছোট গর্তে ভরা ভাঙাচোরা রাস্তায় শরীরে ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। ফলে বেড়ানোর আগ্রহ হারিয়ে যায়।

/এএন

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক