শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেবতা ঘুমান ওই

অসাধারণ দেবতাখুমে ভ্রমণের দারুণ বৃত্তান্ত লিখেছেন দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম| ছবি তুলেছেন নাজমুল আহমেদ

অনেকদিন হয় যাই-যাই করেও যাওয়া হচ্ছিলো না পাহাড়ি তারাছা নদীর প্রান্তরে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার দেবতাখুমে। শেষে ব্যবসা, সংসার, সবাইকে সামলে সুযোগ মিলে গেল। হাতছাড়া করিনি সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাতের গাড়িতে আমাদের ভ্রমণ সংগঠন ‘দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র বন্ধুরা মিলে ছুটলাম বাংলাদেশের ছাদ বান্দরবানে। ছাদ বলার কারণ, এই দেশের বেশিরভাগ উঁচু পাহাড়গুলো রয়েছে এখানেই।

আমাদের নিয়ে বাস যখন বান্দরবান ঢুকলো, তখন রাতের অন্ধকার কেটে চারপাশ ফর্সা হতে শুরু করেছে। জানালার ফাঁক গলে চোখে মুখে বিশুদ্ধ হাওয়ার ঝাপটা লাগছে। সকাল সাড়ে ছয়টার মধ্যেই বান্দরবান শহরে পৌঁছেছি।

বান্দরবানে আমার বেশ ক’বছর পর আসা। দেখলাম, অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। অটোতে চড়ে সোজা হেটেলে। সাফসুতরো হতে, হতেই চান্দের গাড়ি এসে হাজির। নাশতা করেই রোয়াংছড়ি। ছবির মতো সুন্দর পাহাড়ি, সর্পিল পথ। যেতে, যেতে প্রথমে রোয়াংছড়ি বাজার। সেখানে দেবতাখুম ভ্রমণের ফরম আনুষ্ঠানিকভাবে পূরণ করে ছুটলাম কচ্ছপতলী লিরাগাঁও আর্মি ক্যাম্পে। প্রয়োজনীয় ফর্মালিটি সেরে এবার পায়ে হেঁটে গাইড মিস্টার অঙ্কিনের সঙ্গে চললাম শীলবান্ধা পাড়া। যতই এগিয়ে চলছি, ততই সৌন্দর্যের ঘোরে আচ্ছন্ন হচ্ছি এই আমিও। এই পথটাতে অন্যরকম মায়া আচ্ছন্ন করে রেখেছে। শঙ্খ নদের উপনদী তারাছা। নদীর তীর ধরে প্রায় ঘন্টাখানেক যাবার পর ইঞ্জিন বোটে চড়লাম। না জানার কারণে নদীটাকে অনেকে ঝিরি ভেবে ভুল করে থাকেন। দেবতাখুম যাবার সময় কোথাও, কোথাও তারাছা নদীর বুকের ওপর, কখনো হাঁটু সমান পানি কেটে ভ্রমণপিপাসুদের এগিয়ে যেতে হয়।

নৈসর্গিক পথে আমাদের বোট চলছে। নদীর দুতীরে পাহাড়। পাহাড়গুলোর প্রকৃতির আপন খেয়ালে গড়া ঘনসবুজ অরণ্য আছে। পাহাড়ের ফাঁক গলে আসা হিমেল হাওয়া হাইকিংয়ের ক্লান্তি দূর করেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বোট চালক আমাদের মানুষের বাজারে নামিয়ে দিলেন! মানুষের বাজার বলছি কারণ, সেখানে ছিল প্রচুর ভ্রমণ পিপাসুদের সমাগম। দে-ছুট বেশির ভাগ সময় নিরিবিলি জায়গাগুলোতে ভ্রমণ করতে, করতে; এখন কোথাও সাধারণ ভ্রমণ পিপাসুদের মিলন মেলা দেখলেই হকচকিয়ে যায়। ব্যপারটি আমাদের জন্য অস্বস্তিকর হলেও দেশের মানুষের মাঝে যে ভ্রমণ নেশা জাগ্রত হচ্ছে, তা ভেবে বেশ আনন্দ পাই। আগতদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে, দায়িত্বরতদের ঘন, ঘন উচ্চ স্বরে মাইকিং চলছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা? অধিকাংশদের মাঝেই নিয়ম না মানার প্রবণতা আছে। যে কারণেই হয়ত মাত্র কয়েকদিন আগেই তরতাজা একটি প্রাণের সলিল সমাধি। এখন নিরাপত্তা কর্মীরা যথেষ্ট সতর্ক নিয়ম শৃঙ্খলার বিষয়ে। আমরাও স্থানীয় পাড়ার বমদের বাঙ্গালী জামাই রবিউলের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে, সিরিয়াল ব্রেক করার পূর্ব পরিকল্পনা বাদ দিয়ে- নির্ধারিত সময়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। এতে প্রায় ঘন্টাখানেক দেরী হলো। তবে নিয়ম মেনে চলছি-এই ভেবে বিরক্ত লাগেনি। এই হলো কাজের মতো আরেকটি কাজ।

আমার সিরিয়াল নাম্বার ১২। ডাক আসতেই লাইফ-জ্যাকেট পড়ে সবাই রেডি। নৌকায় চড়ব নাকি বাঁশের ভেলায়? দ্বিতীয়টি বেছে নিলাম। আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা। এরপর সবাই বেশ কয়েকটা ভেলায় ভেসে, প্রত্যেকে নিজে নিজেই মুলি বাঁশের লগিতে বাইতে শুরু করলাম। তারাছা নদীর স্বচ্ছ টলটলে পানিতে আমাদের ভেলাগুলো এগুতে থাকে।
দুপাশে খাড়া হয়ে উপরে উঠে গেছে বিশাল পাথুরে পাহাড়। ওর মাঝ দিয়েই আমরা চলছি। যতোই এগুতে থাকি, ততোই সরু থাকে দেবতাখুমের অভ্যন্তর। আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর মানুষেরা গর্তকে খুম বা কুম বলে থাকে। জায়গাটা বিশাল পাহাড়ের মাঝে হওয়াতে, হয়ত তারা একে দেবতা কুম নাম রেখেছে। তারা একে দেবতার মতো পূজা করেন প্রাচীন ধর্ম বিশ্বাসে। রক্ষণাবেক্ষণও তারাই করেন-প্রকৃতির সন্তানেরা।

ভেলাগুলো ভাসাতে, ভাসাতে একেবারে দুই পাহাড়ের মাঝের সবচাইতে সরু জায়গা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছালাম। এর সৌন্দর্য আরো নয়নাভিরাম। ছোট, বড় অজস্র পাথর প্রাকৃতিকভাবেই ছড়িয়ে, ছিটিয়ে আছে। এ পাশটায় পানির গভীরতা কম কিন্তু প্রবাহের ক্ষিপ্রতা অনেক বেশি। টলটলে পানির নীচের সবকিছুই স্পষ্ট, দৃশ্যমান। সূর্যের আলো এখানে ঠিকমত পৌঁছাতে পারে না। ভরদুপুরেও মনে হলো সন্ধ্যা। এ যেন কোনো মায়াবিনী তার ভালোবাসার চাদর পাহাড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে চাচ্ছে সবাইকে। প্রকৃতির সঙ্গে একাকার হতে পারা, যে কোনো মানুষের মতো আমাদের ভ্রমণ পাগলদের স্বর্গানুভূতি। মনের অপার্থিব সুখস্বর্গ। একান্তই হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়।

ইচ্ছে ছিল, পায়ে হেঁটে আরো কিছুদূর এগুব কিন্তু দায়িত্ববোধ ও মানবতা বলে কথা আছে আমার ভেতরে। আমরা ফেরার পর, সে ভেলায় চড়ে আরো অনেকেই প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। আর দেরী না করে ফিরতে শুরু করলাম দলে-বলে। নিরাপত্তাকর্মীদের তথ্য মতে, দেবতাকুমের কোথাও, কোথাও ৬০ থেকে ৭০ ফিট পর্যন্ত পানির গভীরতা রয়েছে। সুতরাং সাধু, সাবধান! যতই মায়ার ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন না কেন, লাইফ-জ্যাকেট না পড়ে দেবতাখুমে ঢোকার দুঃসাহস কখনো করবেন না। সবসময় নিজের নিরাপত্তাই আগে মনে রাখবেন। তাতেই সৌন্দর্য সুধা লাভ ঘটে।

যাবেন?
বাসে ঢাকা-বান্দরবান। চাদের গাড়িতে বান্দরবান-রোয়াংছড়ি বাজার। সেখানে স্থানীয় গাইড মিলবে। থানায় নাম-ঠিকানা এন্ট্রি করে চলে যেতে হবে কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্প। ক্যাম্প হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেবতাখুম যাবার অনুমতি মিলবে। এরপর আর নয়।
খাওয়া?
যাবার সময় কচ্ছপতলী বাজারে পছন্দের কোনো হোটেলে খাবার অর্ডার করে অ্যাডভান্স করে যেতে হবে।

সময়? পয়সা?
যাওয়া-আসা দুই রাত মাঝে একদিন হলে মাত্র তিন হাজার টাকায় দেবতাখুম ঘুরে আসা যাবে।

মুহাম্মদ জাভেদ হাকিমের টিপস
তিনকপি ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি সঙ্গে নিতে হবে। নানা জায়গায় প্রদর্শন করতে হবে। নিরাপত্তাকর্মীদের কথা অমান্য করে লাইফ-জ্যাকেট পরিধান হতে বিরত থাকবেন না, দেবতাখুমে প্রবেশের পর খুলে ফেলবেন না। যারা সাঁতার জানেন না, তাদেরকে দেবতাখুম ভ্রমণে এরপরও বিশেষ সাবধনতা অবলম্বনের অনুরোধ আমার। কোনো গাছগাছালির ক্ষতি করবেন না। প্রকৃতির জন্য বিপদ হবেন না। প্লাস্টিক নিয়ে যাবেন না ও ফেলবেন না।
ওএস।

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা