বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেবতা ঘুমান ওই

অসাধারণ দেবতাখুমে ভ্রমণের দারুণ বৃত্তান্ত লিখেছেন দে-ছুট ভ্রমণ সংঘের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম| ছবি তুলেছেন নাজমুল আহমেদ

অনেকদিন হয় যাই-যাই করেও যাওয়া হচ্ছিলো না পাহাড়ি তারাছা নদীর প্রান্তরে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার দেবতাখুমে। শেষে ব্যবসা, সংসার, সবাইকে সামলে সুযোগ মিলে গেল। হাতছাড়া করিনি সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাতের গাড়িতে আমাদের ভ্রমণ সংগঠন ‘দে-ছুট ভ্রমণ সংঘ’র বন্ধুরা মিলে ছুটলাম বাংলাদেশের ছাদ বান্দরবানে। ছাদ বলার কারণ, এই দেশের বেশিরভাগ উঁচু পাহাড়গুলো রয়েছে এখানেই।

আমাদের নিয়ে বাস যখন বান্দরবান ঢুকলো, তখন রাতের অন্ধকার কেটে চারপাশ ফর্সা হতে শুরু করেছে। জানালার ফাঁক গলে চোখে মুখে বিশুদ্ধ হাওয়ার ঝাপটা লাগছে। সকাল সাড়ে ছয়টার মধ্যেই বান্দরবান শহরে পৌঁছেছি।

বান্দরবানে আমার বেশ ক’বছর পর আসা। দেখলাম, অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। অটোতে চড়ে সোজা হেটেলে। সাফসুতরো হতে, হতেই চান্দের গাড়ি এসে হাজির। নাশতা করেই রোয়াংছড়ি। ছবির মতো সুন্দর পাহাড়ি, সর্পিল পথ। যেতে, যেতে প্রথমে রোয়াংছড়ি বাজার। সেখানে দেবতাখুম ভ্রমণের ফরম আনুষ্ঠানিকভাবে পূরণ করে ছুটলাম কচ্ছপতলী লিরাগাঁও আর্মি ক্যাম্পে। প্রয়োজনীয় ফর্মালিটি সেরে এবার পায়ে হেঁটে গাইড মিস্টার অঙ্কিনের সঙ্গে চললাম শীলবান্ধা পাড়া। যতই এগিয়ে চলছি, ততই সৌন্দর্যের ঘোরে আচ্ছন্ন হচ্ছি এই আমিও। এই পথটাতে অন্যরকম মায়া আচ্ছন্ন করে রেখেছে। শঙ্খ নদের উপনদী তারাছা। নদীর তীর ধরে প্রায় ঘন্টাখানেক যাবার পর ইঞ্জিন বোটে চড়লাম। না জানার কারণে নদীটাকে অনেকে ঝিরি ভেবে ভুল করে থাকেন। দেবতাখুম যাবার সময় কোথাও, কোথাও তারাছা নদীর বুকের ওপর, কখনো হাঁটু সমান পানি কেটে ভ্রমণপিপাসুদের এগিয়ে যেতে হয়।

নৈসর্গিক পথে আমাদের বোট চলছে। নদীর দুতীরে পাহাড়। পাহাড়গুলোর প্রকৃতির আপন খেয়ালে গড়া ঘনসবুজ অরণ্য আছে। পাহাড়ের ফাঁক গলে আসা হিমেল হাওয়া হাইকিংয়ের ক্লান্তি দূর করেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বোট চালক আমাদের মানুষের বাজারে নামিয়ে দিলেন! মানুষের বাজার বলছি কারণ, সেখানে ছিল প্রচুর ভ্রমণ পিপাসুদের সমাগম। দে-ছুট বেশির ভাগ সময় নিরিবিলি জায়গাগুলোতে ভ্রমণ করতে, করতে; এখন কোথাও সাধারণ ভ্রমণ পিপাসুদের মিলন মেলা দেখলেই হকচকিয়ে যায়। ব্যপারটি আমাদের জন্য অস্বস্তিকর হলেও দেশের মানুষের মাঝে যে ভ্রমণ নেশা জাগ্রত হচ্ছে, তা ভেবে বেশ আনন্দ পাই। আগতদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে, দায়িত্বরতদের ঘন, ঘন উচ্চ স্বরে মাইকিং চলছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা? অধিকাংশদের মাঝেই নিয়ম না মানার প্রবণতা আছে। যে কারণেই হয়ত মাত্র কয়েকদিন আগেই তরতাজা একটি প্রাণের সলিল সমাধি। এখন নিরাপত্তা কর্মীরা যথেষ্ট সতর্ক নিয়ম শৃঙ্খলার বিষয়ে। আমরাও স্থানীয় পাড়ার বমদের বাঙ্গালী জামাই রবিউলের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে, সিরিয়াল ব্রেক করার পূর্ব পরিকল্পনা বাদ দিয়ে- নির্ধারিত সময়ের জন্য অপেক্ষায় রয়েছি। এতে প্রায় ঘন্টাখানেক দেরী হলো। তবে নিয়ম মেনে চলছি-এই ভেবে বিরক্ত লাগেনি। এই হলো কাজের মতো আরেকটি কাজ।

আমার সিরিয়াল নাম্বার ১২। ডাক আসতেই লাইফ-জ্যাকেট পড়ে সবাই রেডি। নৌকায় চড়ব নাকি বাঁশের ভেলায়? দ্বিতীয়টি বেছে নিলাম। আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা। এরপর সবাই বেশ কয়েকটা ভেলায় ভেসে, প্রত্যেকে নিজে নিজেই মুলি বাঁশের লগিতে বাইতে শুরু করলাম। তারাছা নদীর স্বচ্ছ টলটলে পানিতে আমাদের ভেলাগুলো এগুতে থাকে।
দুপাশে খাড়া হয়ে উপরে উঠে গেছে বিশাল পাথুরে পাহাড়। ওর মাঝ দিয়েই আমরা চলছি। যতোই এগুতে থাকি, ততোই সরু থাকে দেবতাখুমের অভ্যন্তর। আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর মানুষেরা গর্তকে খুম বা কুম বলে থাকে। জায়গাটা বিশাল পাহাড়ের মাঝে হওয়াতে, হয়ত তারা একে দেবতা কুম নাম রেখেছে। তারা একে দেবতার মতো পূজা করেন প্রাচীন ধর্ম বিশ্বাসে। রক্ষণাবেক্ষণও তারাই করেন-প্রকৃতির সন্তানেরা।

ভেলাগুলো ভাসাতে, ভাসাতে একেবারে দুই পাহাড়ের মাঝের সবচাইতে সরু জায়গা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছালাম। এর সৌন্দর্য আরো নয়নাভিরাম। ছোট, বড় অজস্র পাথর প্রাকৃতিকভাবেই ছড়িয়ে, ছিটিয়ে আছে। এ পাশটায় পানির গভীরতা কম কিন্তু প্রবাহের ক্ষিপ্রতা অনেক বেশি। টলটলে পানির নীচের সবকিছুই স্পষ্ট, দৃশ্যমান। সূর্যের আলো এখানে ঠিকমত পৌঁছাতে পারে না। ভরদুপুরেও মনে হলো সন্ধ্যা। এ যেন কোনো মায়াবিনী তার ভালোবাসার চাদর পাহাড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে চাচ্ছে সবাইকে। প্রকৃতির সঙ্গে একাকার হতে পারা, যে কোনো মানুষের মতো আমাদের ভ্রমণ পাগলদের স্বর্গানুভূতি। মনের অপার্থিব সুখস্বর্গ। একান্তই হৃদয় দিয়ে অনুভব করতে হয়।

ইচ্ছে ছিল, পায়ে হেঁটে আরো কিছুদূর এগুব কিন্তু দায়িত্ববোধ ও মানবতা বলে কথা আছে আমার ভেতরে। আমরা ফেরার পর, সে ভেলায় চড়ে আরো অনেকেই প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। আর দেরী না করে ফিরতে শুরু করলাম দলে-বলে। নিরাপত্তাকর্মীদের তথ্য মতে, দেবতাকুমের কোথাও, কোথাও ৬০ থেকে ৭০ ফিট পর্যন্ত পানির গভীরতা রয়েছে। সুতরাং সাধু, সাবধান! যতই মায়ার ঘোরে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন না কেন, লাইফ-জ্যাকেট না পড়ে দেবতাখুমে ঢোকার দুঃসাহস কখনো করবেন না। সবসময় নিজের নিরাপত্তাই আগে মনে রাখবেন। তাতেই সৌন্দর্য সুধা লাভ ঘটে।

যাবেন?
বাসে ঢাকা-বান্দরবান। চাদের গাড়িতে বান্দরবান-রোয়াংছড়ি বাজার। সেখানে স্থানীয় গাইড মিলবে। থানায় নাম-ঠিকানা এন্ট্রি করে চলে যেতে হবে কচ্ছপতলী আর্মি ক্যাম্প। ক্যাম্প হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেবতাখুম যাবার অনুমতি মিলবে। এরপর আর নয়।
খাওয়া?
যাবার সময় কচ্ছপতলী বাজারে পছন্দের কোনো হোটেলে খাবার অর্ডার করে অ্যাডভান্স করে যেতে হবে।

সময়? পয়সা?
যাওয়া-আসা দুই রাত মাঝে একদিন হলে মাত্র তিন হাজার টাকায় দেবতাখুম ঘুরে আসা যাবে।

মুহাম্মদ জাভেদ হাকিমের টিপস
তিনকপি ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি সঙ্গে নিতে হবে। নানা জায়গায় প্রদর্শন করতে হবে। নিরাপত্তাকর্মীদের কথা অমান্য করে লাইফ-জ্যাকেট পরিধান হতে বিরত থাকবেন না, দেবতাখুমে প্রবেশের পর খুলে ফেলবেন না। যারা সাঁতার জানেন না, তাদেরকে দেবতাখুম ভ্রমণে এরপরও বিশেষ সাবধনতা অবলম্বনের অনুরোধ আমার। কোনো গাছগাছালির ক্ষতি করবেন না। প্রকৃতির জন্য বিপদ হবেন না। প্লাস্টিক নিয়ে যাবেন না ও ফেলবেন না।
ওএস।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

বক্তব্য রাখছেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের নৌ পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসে মানবাধিকার সংগঠন ‘ভয়েস ফর বাংলাদেশ’ আয়োজিত সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘ডিসকাশন অন ডেমোক্রেটিক কলাপ্স অ্যান্ড রিবিল্ডিং অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সম্মেলনে হাউস অব লর্ডসের সিনিয়র সদস্য আলেক্সান্ডার চার্লস কার্লাইল কিউসি সভাপতিত্ব করেন। ভয়েস ফর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্রডকাস্টার আতাউল্লাহ ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এম সাখাওয়াত হোসেন।

সম্মেলেনে সাবেক ব্রিটিশ মন্ত্রী পল স্কালি বলেন, বাংলাদেশে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, তার সঠিক তদন্ত শেষে যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে এ ধরনের ঘটনার পুররাবৃত্তি না হয়।

লর্ড হোসাইন বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা পাবে।

সম্মেলনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান লেবার দলীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রুপা হক।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
ধামরাইয়ে শ্রমিকবাহী বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪