১২৭তম দেশে বিশ্বপর্যটক কাজী আসমা আজমেরী
বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়ে এখন ১২৭তম দেশ বারবাডোজে পৌঁছে গেছেন বিশ্বপর্যটক কাজী আসমা আজমেরী। এ কাজটি মোটেও সহজ নয়। প্রতিনিয়ত যেন এক সংগ্রাম!
কাজী আসমা বলেন, ‘পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে চলে এলাম বারবাডোজে। দেশটির নাম শুনলেই একজনের কথা মনে পড়ে যায়, বিশ্বখ্যাত শিল্পী রিহানা। বাববাডোরের সেইন্ট মাইকেল শহরে ১৯৮৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি এ সংগীতশিল্পীর জন্ম। এখানে জন্ম হলেও পরবর্তীতে তিনি আমেরিকায় গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হন।’
বারবাডোজের স্থানীয়দের সম্পর্কে কাজী আসমা বলেন, ‘এখানকার মানুষ যে কতটা গান-বাজনা পছন্দ করে তা সত্যিই বলে শেষ করা যাবে না। স্থানীয়রা অনেক আন্তরিক এবং ফুর্তিবাজ হয়ে থাকে এবং সরল-সহজ জীবন যাপনে অভ্যস্ত।’
বারবাডোজের প্রধান অর্থনীতি অনেকটা পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। ৩০ লাখ মানুষের এ দেশটির রাজধানী ব্রিজটাউন। এখানে এক মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ২ বারবাডোজ ডলার পাওয়া যায়। অধিকাংশ মানুষই এখানে কালো বর্ণের তারপরও কিছুটা মিলে অন্য বর্ণের এবং এখানে পর্যটক ভরপুর।
তিনি বলেন, ‘চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে বাংলাদেশের পাসপোর্টে এই দেশটিতে ভিসা ফ্রি ভ্রমণ করা যায়। তবে এই দেশটিতে আসতে হলে কোভিড টেস্ট করা লাগে এবং রেজিস্ট্রেশন করে আসতে হয় এয়ারপোর্টে। ইমিগ্রেশন অফিসার কিছুটা হয়রানি করেছিল আমার রিটার্ন টিকিট নিয়ে।’
কাজী আসমা আরও বলেন, ‘এই দেশটিতে পর্যটন সম্ভাবনা খুব বেশি থাকায় একটু বেশি খরচ হয়। এখানে মাত্র দুদিন অবস্থান করে চলে যাব। এখানে একটি হোটেল পেতে হলে অন্তত ৭৫ ডলার গুনতে হয় প্রতিদিনের জন্য।’
এ বিশ্বপর্যটক জানান, টানা তিন বছর অপেক্ষা করছিলেন নীল সমুদ্রের দেশটিতে যাওয়ার জন্য। নিউ ইয়র্কে ঠান্ডা লেগে যাওয়া এই বিশ্বপর্যটক জানান, নীল সমুদ্রের দেখা পেয়ে তার অসুস্থতা অনেকটাই কমে গেছে। এখন ফুরফুরা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এসএ/