ঈদে ঘুরে আসতে পারেন ঢালী’স আম্বার
দুই বছর পর ঈদের উৎসব ফিরছে পুরোনো চেহারায়। এই উৎসবকে আরও আনন্দদায়ক এবং জম্পেশ করে তুলতে লোকজন ছুটছেন কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেট, মৌলভীবাজার থেকে দেশের নানান প্রান্তের পর্যটন স্পটগুলোতে। কেউ কেউ আবার ঢাকার আশপাশেই বিভিন্ন রিসোর্টে যাচ্ছে রাত কাটাতে। কেউ কেউ হয়তো এখন সন্ধান করছেন ভালো কোনো রিসোর্টের।
ঢাকাপ্রকাশ সেরকমই একটি রিসোর্টের কথা জানাচ্ছে আপনাদেরকে। ঢাকার একেবারেই সন্নিকটে ছায়াঘেরা নিবিড় পরিবেশে গড়ে উঠা একটি রিসোর্ট হচ্ছে ঢালী’স আম্বার নিবাস।
প্রায় ১০০ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠা এই রিসোর্টের নির্মল পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে একেবারে গ্রামীণ পরিবেশে গড়ে উঠা এই রিসোর্টের সবুজ-শীতল পরিবেশ মন জুড়িয়ে দেবে যে কারও। সঙ্গে পাখির কলকাকলি।
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে কোনো রকম ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই পৌঁছা যাবে সিরাজদিখানের বাহেরকুচি, ইছাপুরা এলাকার ঢালী’স আম্বারে। মূল সড়ক থেকে নেমে পিচঢালা সরু সড়ক ধরে মাত্র কয়েক কিলোমিটার গেলেই পৌঁছা যাবে গন্তব্যে।
ঢাকার একেবারে সন্নিকটে ঢালী’স আম্বার আপনাকে দেবে স্বস্তি। দেবে আনন্দ। পরিবার-পরিজন নিয়ে আপনি একেবারে নিরাপদে সময় কাটাতে পারেন এই রিপোর্টে।
সম্প্রতি এই রিসোর্ট ঘুরে দেখা গেছে, বিশাল এই রিসোর্টে রয়েছে পুরুষ ও
নারীদের জন্য আলাদা আলাদ সুইমিংপুল, আছে একটি দীর্ঘ লেক, খেলার মাঠ, লেকের উপর একাধিক সেতু, লেকের পাড়ে গাছের নিচে স্থানে স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক শান বাঁধানো ঘাট।
আছে কায়াকিং, ট্রি হাউস, রেস্তোরাঁ, কিডস জোন, ললে, পিকনিক, করপোরেট প্রোগ্রাম বা ফ্যামিলি প্রোগ্রাম করার সুযোগ। রয়েছে হ্যালিপ্যাডও।
রিসোর্টেটির এক পাশের পুরোটাই ছায়াঘেরা। হরেক রকম গাছ-গাছালি দিয়ে সাজানো হয়েছে এই অংশটি। ফুলের গাছ যেমন আছে তেমনি আছে বিভিন্ন রকম ফলের গাছও। রিসোর্টের ভিতরের রাস্তাঘাটগুলো দৃষ্টিনন্দন।
রিসোর্ট সূত্রে জানা গেছে, এখানে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে রাত যাপনের জন্য আছে ৯৯টি রুম। এসব রুমের বাড়া আট হাজার টাকা থেকে ৪৫ হাজার ৯৯০ টাকা পর্যন্ত। আছে গাড়ি পার্কিং এর সুব্যবস্থা।
এখানে প্রবশে করতে লাগবে জনপ্রতি ২৫০ টাকার টিকিট।
ঢালী’স আম্বার নিবাস রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের চাহিদাকে গুরুত্ত্ব দিয়ে এটি নির্মাণ করার চেষ্টা করেছি এবং এখনো অনেক কাজ আমরা করে যাচ্ছি। মানুষ এখানে এসে যাতে স্বস্তি পান, স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সেদিকেই আমরা বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।’
তিনি জানান, রিসোর্টের সমস্ত কিছু তিনি নিজেই তদারকি করেন। বিশেষ করে ফুড আইটেম নিজে তত্ত্বাবধান করেন যেন, শতভাগ নিরাপদ খাবার পরিবেশন করা যায়। এখানে রান্না করা খাবার নিজেই খান জানিয়ে বলেন, এ জন্য খাই যে, টেস্টটা যাতে নষ্ট না হয়।
এনএইচবি/এমএমএ/