শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মালদ্বীপ থেকে ফিরে : পর্ব-২

ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি মালে ও হুলহুমালে

দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের পাশাপাশি দুই শহরের নাম হুলহুমালে ও রাজধানী মালে। এই দুই শহরকে এক করেছে দৃষ্টিনন্দন মালদ্বীপ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ সেতু। ভারত সাগরের উপর সাগরের উত্তাল নীলজল রাশিকে এক পাশে রেখে এই সেতু নির্মাণ করে দুই শহরের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে মালদ্বীপ সরকার।

মালদ্বীপের রাজধানী মালে’র ভেলেনা আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষ করে বের হওয়ার পরই শহরের তাক লাগানো সৌন্দর্য্য চোখে পড়ল। বিমানবন্দর ছেড়ে গাড়িতে করে যখন হুলহুমালে শহরে যাচ্ছিলাম সড়কে ধুলোবালির ছিটেফোটাও চোখে পড়েনি। ছিল না কোন যানজট। ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলোর মতই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপের মালে এবং হুলোমালে শহরেও কানে বাজেনি গাড়ির হর্ণ। শুধু পাশ দিয়ে গাড়ির ছুটে চলার শব্দ ছাড়া আর কোন রকম শব্দ নেই। শহরের সড়কে নেই লক্কড়-ঝক্কড় কোন যানবাহন। এমনিতেই গাড়ির সংখ্যা কম, তার উপর পাবলিক পরিবহন নেই বললেই চলে। আর সড়কে যেসব গাড়ি আছে তার সবগুলোই নতুন ও ঝকঝকে। নেই পরিবেশ দুষণ করা কালো ধোঁয়া।

সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে মালে ও হুলোমালে শহরে কোন ট্রাফিক পুলিশ চোখে পড়েনি। রাস্তায় চলাচলকারি যানবাহন ও সাধারণ মানুষ নিজ দায়িত্বে রাস্তার শৃংখলা বজায় রাখছেন। শুধুমাত্র বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে হুলহুমালে ও মালে শহরে যাবার জন্য যে মোড়টি রয়েছে অর্থাৎ সাগরের উপর দৃষ্টিনন্দন সেই মালদ্বীপ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ সেতুর গোড়ায় একজন ট্রাফিককে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। যেখান থেকে একদিকে চলে গেছে মালে ও অন্যদিকে হুলহুমালের সড়ক।

মালে শহরে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাসকারি বাংলাদেশী যুবক সজীব হোসেন বলছিলেন, এখানে আইন অমান্য করলেই কঠোর সাজার মুখোমুখি হতে হয়। জরিমানা গুণতে হয় মোটা অংকের। সে কারণে কেউ আইন ভঙ্গ করে না। এটা খুবই ইতিবাচক একটা দিক। সারাক্ষণ পুলিশ মনিটরিং করে। শহর জুড়ে রয়েছে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা।

পরিপাটি করে সাজানো দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের এমন সৌন্দর্য্য, সড়কের শৃংখলা, রাস্তাঘাট আর ফুটপাতের ময়লা আবর্জনাহীন পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নি:সন্দেহে অনুসরণীয়। এখান থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।

সূর্যের তাপ আর গরম সহ্য করা ব্যতীত মালে বা হুলহুমালে শহরে আর কোন সমস্যা নেই। নিরাপত্তার দিক থেকে কোন রকম শংকা নেই। পর্যটকদের জন্য এক কথায় নিরাপদ এক শহর। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে, নিশ্চিন্তে এই শহর দুটিতে রাত বিরাতে একা ঘুরে বেড়াতে পারেন। কিংবা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাগর সৈকতে বসে আড্ডায় মশগুল থাকতে পারেন। কেউ কোন বাধা দেবে না কিংবা কিছু জিজ্ঞেসও করবে না। ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী বা অন্যকোন অপরাধী নেই।

পর্যটকদের জন্য ভয়-ভীতিহীন অনিন্দ্য সুন্দর এই দুই শহর মালে ও হুলহুমালে। শুধু এই দুই শহর নয়, ১২ শতেরও বেশি দ্বীপের দেশ মালদ্বীপ রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা দ্বীপই পর্যটকদের জন্য হীরার খনি। দ্বীপগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর যে শান্তি, মালে ও হুলহুমালে না গেলে সেটা টের পাওয়া যাবে না। লিখে বা গল্প বলে দিলেও আসল সুখ হচ্ছে নিজের চোখে দেখা।

বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে মিনিট দশেকের মধ্যে হুলহুমালে শহরে পৌঁছে তো আরও তাজ্জব। শহরের প্রধান সড়কের পাশে যেখানে আমাদের আবাসস্থল সেখানে নামতেই দেখা গেল পরিস্কার পরিছন্ন সবুজ এক শহর। খুবই শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ। ভারত সাগরের ঢেউ হুলহুমালে শহরের তীরে আছড়ে পড়লেও শহরের পরিবেশ খুবই শান্ত। এখানে গাড়িতে তো বটে, ফুটপাত ধরে হাঁটলে দেখা মিলবে শুধু ভিন দেশি বিভিন্ন বয়সি পর্যটকদের।

পরিবেশ বান্ধব শান্তশিষ্ট শহর হুলোমালে ও মালে শুধু ক্লিন শহরই নয়, একেবারে গ্রিন শহর। সবকটি সড়কের দুই পাশ দিয়ে শুধু সবুজের সমারোহ। নানারকম বৃক্ষরাজি। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে নানান প্রজাতির গাছ আর গাছ। শহরের সড়কগুলোর দুই পাশ দিয়ে গড়ে উঠা বাসা-বাড়ি, হোটেল-রেস্তোরার সামন-পিছন পুরোটাই সবুজে আচ্ছাদিত।

ছোট শহর হলেও হুলহুমালে এবং মালে’তে আছে আমাদের রমনা পার্কের মতই একাধিক পার্ক। রমনা পার্কের তুলনায় ছোট হলেও সেসব পার্কের সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে।

এনএইচবি/

 

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক