সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মালদ্বীপ থেকে ফিরে : পর্ব-২

ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি মালে ও হুলহুমালে

দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের পাশাপাশি দুই শহরের নাম হুলহুমালে ও রাজধানী মালে। এই দুই শহরকে এক করেছে দৃষ্টিনন্দন মালদ্বীপ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ সেতু। ভারত সাগরের উপর সাগরের উত্তাল নীলজল রাশিকে এক পাশে রেখে এই সেতু নির্মাণ করে দুই শহরের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে মালদ্বীপ সরকার।

মালদ্বীপের রাজধানী মালে’র ভেলেনা আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষ করে বের হওয়ার পরই শহরের তাক লাগানো সৌন্দর্য্য চোখে পড়ল। বিমানবন্দর ছেড়ে গাড়িতে করে যখন হুলহুমালে শহরে যাচ্ছিলাম সড়কে ধুলোবালির ছিটেফোটাও চোখে পড়েনি। ছিল না কোন যানজট। ইউরোপ, আমেরিকার দেশগুলোর মতই দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপের মালে এবং হুলোমালে শহরেও কানে বাজেনি গাড়ির হর্ণ। শুধু পাশ দিয়ে গাড়ির ছুটে চলার শব্দ ছাড়া আর কোন রকম শব্দ নেই। শহরের সড়কে নেই লক্কড়-ঝক্কড় কোন যানবাহন। এমনিতেই গাড়ির সংখ্যা কম, তার উপর পাবলিক পরিবহন নেই বললেই চলে। আর সড়কে যেসব গাড়ি আছে তার সবগুলোই নতুন ও ঝকঝকে। নেই পরিবেশ দুষণ করা কালো ধোঁয়া।

সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে মালে ও হুলোমালে শহরে কোন ট্রাফিক পুলিশ চোখে পড়েনি। রাস্তায় চলাচলকারি যানবাহন ও সাধারণ মানুষ নিজ দায়িত্বে রাস্তার শৃংখলা বজায় রাখছেন। শুধুমাত্র বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে হুলহুমালে ও মালে শহরে যাবার জন্য যে মোড়টি রয়েছে অর্থাৎ সাগরের উপর দৃষ্টিনন্দন সেই মালদ্বীপ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ সেতুর গোড়ায় একজন ট্রাফিককে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। যেখান থেকে একদিকে চলে গেছে মালে ও অন্যদিকে হুলহুমালের সড়ক।

মালে শহরে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বসবাসকারি বাংলাদেশী যুবক সজীব হোসেন বলছিলেন, এখানে আইন অমান্য করলেই কঠোর সাজার মুখোমুখি হতে হয়। জরিমানা গুণতে হয় মোটা অংকের। সে কারণে কেউ আইন ভঙ্গ করে না। এটা খুবই ইতিবাচক একটা দিক। সারাক্ষণ পুলিশ মনিটরিং করে। শহর জুড়ে রয়েছে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা।

পরিপাটি করে সাজানো দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের এমন সৌন্দর্য্য, সড়কের শৃংখলা, রাস্তাঘাট আর ফুটপাতের ময়লা আবর্জনাহীন পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নি:সন্দেহে অনুসরণীয়। এখান থেকে শেখার আছে অনেক কিছু।

সূর্যের তাপ আর গরম সহ্য করা ব্যতীত মালে বা হুলহুমালে শহরে আর কোন সমস্যা নেই। নিরাপত্তার দিক থেকে কোন রকম শংকা নেই। পর্যটকদের জন্য এক কথায় নিরাপদ এক শহর। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে, নিশ্চিন্তে এই শহর দুটিতে রাত বিরাতে একা ঘুরে বেড়াতে পারেন। কিংবা শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সাগর সৈকতে বসে আড্ডায় মশগুল থাকতে পারেন। কেউ কোন বাধা দেবে না কিংবা কিছু জিজ্ঞেসও করবে না। ছিনতাইকারী, সন্ত্রাসী বা অন্যকোন অপরাধী নেই।

পর্যটকদের জন্য ভয়-ভীতিহীন অনিন্দ্য সুন্দর এই দুই শহর মালে ও হুলহুমালে। শুধু এই দুই শহর নয়, ১২ শতেরও বেশি দ্বীপের দেশ মালদ্বীপ রাষ্ট্রের প্রত্যেকটা দ্বীপই পর্যটকদের জন্য হীরার খনি। দ্বীপগুলোতে ঘুরে বেড়ানোর যে শান্তি, মালে ও হুলহুমালে না গেলে সেটা টের পাওয়া যাবে না। লিখে বা গল্প বলে দিলেও আসল সুখ হচ্ছে নিজের চোখে দেখা।

বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে মিনিট দশেকের মধ্যে হুলহুমালে শহরে পৌঁছে তো আরও তাজ্জব। শহরের প্রধান সড়কের পাশে যেখানে আমাদের আবাসস্থল সেখানে নামতেই দেখা গেল পরিস্কার পরিছন্ন সবুজ এক শহর। খুবই শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ। ভারত সাগরের ঢেউ হুলহুমালে শহরের তীরে আছড়ে পড়লেও শহরের পরিবেশ খুবই শান্ত। এখানে গাড়িতে তো বটে, ফুটপাত ধরে হাঁটলে দেখা মিলবে শুধু ভিন দেশি বিভিন্ন বয়সি পর্যটকদের।

পরিবেশ বান্ধব শান্তশিষ্ট শহর হুলোমালে ও মালে শুধু ক্লিন শহরই নয়, একেবারে গ্রিন শহর। সবকটি সড়কের দুই পাশ দিয়ে শুধু সবুজের সমারোহ। নানারকম বৃক্ষরাজি। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে নানান প্রজাতির গাছ আর গাছ। শহরের সড়কগুলোর দুই পাশ দিয়ে গড়ে উঠা বাসা-বাড়ি, হোটেল-রেস্তোরার সামন-পিছন পুরোটাই সবুজে আচ্ছাদিত।

ছোট শহর হলেও হুলহুমালে এবং মালে’তে আছে আমাদের রমনা পার্কের মতই একাধিক পার্ক। রমনা পার্কের তুলনায় ছোট হলেও সেসব পার্কের সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে।

এনএইচবি/

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে দেশে কিছু লোডশেডিং চালু রাখার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, কিছু লোডশেডিং না দিলে ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে যাবে। তবে লোডশেডিং যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, শহর ও গ্রামে সমানভাবে লোডশেডিং কার্যকর করা হবে।

সচিবালয়ে গ্রিড বিপর্যয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা জানান, বর্তমানে দেশে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গরমের কারণে আগামী দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তখন চাহিদা মেটাতে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে। তিনি আরও বলেন, যে হারে এসি স্থাপন করা হচ্ছে, সে হারে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। অনেকে অকারণে লাইট, ফ্যান ও এসি চালু রাখায় বিদ্যুৎচাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল ও খুলনায় ২৬ এপ্রিল যে গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, তার তদন্তে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয়েছে বুয়েটের উপ-উপাচার্য আবদুল হাসিব চৌধুরীকে। কমিটি সাত কর্মদিবসের মধ্যে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ, দায়ী ব্যক্তিদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে সুপারিশ করবে।

মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকার কারণও তদন্তে নেওয়া হয়েছে। বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হককে প্রধান করে একটি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, মেট্রোরেল বন্ধ থাকার মূল কারণ ছিল বিদ্যুৎ সংকট।

এ সময় মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশে গ্যাসের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি আমদানির আর্থিক সামর্থ্যও কমে গেছে। ফলে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

পিজিসিবি ও পিডিবি জানায়, আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ সার্কিট লাইনের ৪০০ কিলোভোল্টের দুটি তার কাছাকাছি আসায় শর্ট সার্কিট হয় এবং সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর ফলে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১৫টি জেলা—খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী—প্রায় ১৫ মিনিট থেকে ৯৬ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। তবে সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং রাত সাড়ে আটটার পর পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

Header Ad
Header Ad

গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদ এলাকায় একাধিক শিশু-কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মসজিদের ইমাম গণপিটুনির শিকার হয়ে পরে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ইমামের নাম রহিজ উদ্দিন (৩৫), তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং হায়দরাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরীর হায়দরাবাদ এলাকায় এক কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগ ওঠে রহিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এতে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করে, এমনকি তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং নির্যাতিত এক কিশোরের বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।

পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। একই রাতের (২৭ এপ্রিল) দিবাগত ৩টার দিকে রহিজ উদ্দিন কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, মৃত ইমামের শরীরে গণপিটুনির চিহ্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গণপিটুনিতে গুরুতর আহত হওয়ার ফলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

পূবাইল থানার ওসি এসএম আমিরুল ইসলাম বলেন, রহিজ উদ্দিন স্থানীয় স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছেলেদের নিজের থাকার কক্ষে এনে কম্পিউটার গেমস ও মোবাইল গেম খেলার সুযোগ দিতেন এবং কোমল পানীয় খাওয়াতেন। ওই পানীয় সেবনের পর অচেতন হয়ে পড়লে তিনি তাদের বলৎকার করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এক কলেজছাত্রের কাছ থেকে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে তাকে গণধোলাই দেয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি