পর্যটকের ভিড় বেড়েছে সাগরকন্যার সৈকতে
সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। শুক্রবার পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের নানাভাবে সমুদ্রের নোনাজল উপভোগ করতে দেখা গিয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা এসব পর্যটকদের কেউ গোসল করছিলেন, ছবি তুলছিলেন, কেউ সৈকতের বালিয়ারীতে ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করছিলেন, কেউ বা আবার ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার, তার উপরে পর্যটন মৌসুম, সব মিলিয়ে কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড় পড়েছে। দর্শনীয় স্পট গঙ্গামতি, রাখাইন পল্লী, ইকোপার্ক, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন ও সৈকতের ঝাউবাগানসহ বেশিরভাগ পর্যটন স্পট পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাখির কলতানে মুখরিত সবুজ প্রকৃতির সঙ্গে বালুকাবেলায় লাল কাকড়ার ঝাঁক। তাদের অবাধ বিচরণে সৈকতে ফুটে উঠেছে আল্পনা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি অনেককে সমুদ্রের নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতে উঠতে দেখা যায়।
মূলত নভেম্বর থেকে পর্যটকদের চাপ বেড়েছে। এছাড়া আগামী ১৬ই ডিসেম্বরসহ তিনদিনের ছুটিকে সামনে রেখে অনেক পর্যটকের আগমন ঘটবে বলে প্রত্যাশা পর্যটক ব্যবসায়ীদের।
পর্যটক রাসেল কবির বলেন, ‘বন্ধুরা মিলে কুয়াকাটায় এসেছি। একসঙ্গে সমুদ্রে গোসল করেছি। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। বেশ ভালো লাগছে।’
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক-এর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, ‘আগামী ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯০ শতাংশ হোটেল-মোটেল এডভ্যান্স বুকিং হয়ে গেছে। এখন থেকে আগামী তিন-চার মাস কুয়াকাটায় ভরপুর পর্যটক থাকবে।’
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনে সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খালেক বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে।’ আগামী ১৬ই ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
/এএন