বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দেশের বাজারে সেরা ১০ ক্যামেরা ফোন

স্মার্টফোনে ক্যামেরা একটি অপরিহার্য ফিচার। ছবি তোলা যাদের শখ তাদের প্রথম আকর্ষণ ক্যামেরা ফোন। ক্যামেরা থাকলেও ভালো রেজুলেশন ও সঠিক ইমেজ সেন্সরের ক্যামেরা সব ফোনে ব্যবহার করা হয় না। সাধারণত যেসকল ফোন ক্যামেরাকে প্রাধান্য দিয়ে বানানো হয় সেসকল ফোনে ভালো ক্যামেরা সেন্সর দেওয়া হয়। তাই এসকল ফোনের মূল্য তুলনামূলক বেশি হয়। ক্যামেরা ফোনের অন্যান্য কাজের গতি বেশিও হতে পারে, কমও হতে পারে। এর ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে কেবল ক্যামেরাই প্রাধান্য পাবে।

দেশের বাজারে শাওমি, স্যামসাংসহ বেশ কয়েকটি ফোনেই সবচেয়ে বেশি ১০৮ মেগাপিক্সেলের ইমেজ সেন্সর আছে। দেখে নেওয়া যাক দেশের বাজারের সেরা ১০ ক্যামেরা ফোনগুলো।

১. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ওয়ান আল্ট্রা:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৪ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৪.৯ অ্যাপারচার ও ২৪০ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ৭২ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৩ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২১। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

২. স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট টুয়েন্টি আল্ট্রা:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩ অ্যাপারচার ও ১২০ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৩ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

৩. হুয়াওয়ে পি ফোরটি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৯ অ্যাপারচার ও ২৩ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৫০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩.৪ অ্যাপারচার ও ১২৫ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ১.৮ অ্যাপারচার ও ১৮ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১৩২। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে লেইকার লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

৪. ভিভো এক্স সেভেন্টি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৫০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩.৪ অ্যাপারচার ও ১২৫ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কার্ল জেসিসের লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৭৩ হাজার টাকা।

৫. ভিভো এক্স সিক্সটি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কার্ল জেসিসের লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৭০ হাজার টাকা।

৬. ওয়ানপ্লাস এইট টি:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৪ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৬ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার মনোক্রোম লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৬ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১১১। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৬০ হাজার টাকা।

৭. স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সেভেন্টি টু:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার টেলিফটো ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.২ অ্যাপারচার আল্ট্রাওয়াইড লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৫। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৪৬ হাজার টাকা।

৮. শাওমি ইলেভেন এক্স:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ২০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৩। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৪৩ হাজার টাকা।

৯. অপ্পো রিনো সিক্স:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৭। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৩৩ হাজার টাকা।

১০. অপ্পো রিনো ফাইভ:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০০। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৩৩ হাজার টাকা।

/এএস

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া