দেশের বাজারে সেরা ১০ ক্যামেরা ফোন
স্মার্টফোনে ক্যামেরা একটি অপরিহার্য ফিচার। ছবি তোলা যাদের শখ তাদের প্রথম আকর্ষণ ক্যামেরা ফোন। ক্যামেরা থাকলেও ভালো রেজুলেশন ও সঠিক ইমেজ সেন্সরের ক্যামেরা সব ফোনে ব্যবহার করা হয় না। সাধারণত যেসকল ফোন ক্যামেরাকে প্রাধান্য দিয়ে বানানো হয় সেসকল ফোনে ভালো ক্যামেরা সেন্সর দেওয়া হয়। তাই এসকল ফোনের মূল্য তুলনামূলক বেশি হয়। ক্যামেরা ফোনের অন্যান্য কাজের গতি বেশিও হতে পারে, কমও হতে পারে। এর ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে কেবল ক্যামেরাই প্রাধান্য পাবে।
দেশের বাজারে শাওমি, স্যামসাংসহ বেশ কয়েকটি ফোনেই সবচেয়ে বেশি ১০৮ মেগাপিক্সেলের ইমেজ সেন্সর আছে। দেখে নেওয়া যাক দেশের বাজারের সেরা ১০ ক্যামেরা ফোনগুলো।
১. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ওয়ান আল্ট্রা:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৪ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৪.৯ অ্যাপারচার ও ২৪০ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ৭২ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৩ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২১। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
২. স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট টুয়েন্টি আল্ট্রা:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩ অ্যাপারচার ও ১২০ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৩ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
৩. হুয়াওয়ে পি ফোরটি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৯ অ্যাপারচার ও ২৩ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৫০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩.৪ অ্যাপারচার ও ১২৫ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ১.৮ অ্যাপারচার ও ১৮ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১৩২। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে লেইকার লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
৪. ভিভো এক্স সেভেন্টি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৫০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩.৪ অ্যাপারচার ও ১২৫ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কার্ল জেসিসের লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৭৩ হাজার টাকা।
৫. ভিভো এক্স সিক্সটি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কার্ল জেসিসের লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৭০ হাজার টাকা।
৬. ওয়ানপ্লাস এইট টি:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৪ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৬ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার মনোক্রোম লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৬ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১১১। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৬০ হাজার টাকা।
৭. স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সেভেন্টি টু:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার টেলিফটো ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.২ অ্যাপারচার আল্ট্রাওয়াইড লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৫। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৪৬ হাজার টাকা।
৮. শাওমি ইলেভেন এক্স:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ২০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৩। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৪৩ হাজার টাকা।
৯. অপ্পো রিনো সিক্স:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৭। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৩৩ হাজার টাকা।
১০. অপ্পো রিনো ফাইভ:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০০। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৩৩ হাজার টাকা।
/এএস