বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ ২০২৫ | ২১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দেশের বাজারে সেরা ১০ ক্যামেরা ফোন

স্মার্টফোনে ক্যামেরা একটি অপরিহার্য ফিচার। ছবি তোলা যাদের শখ তাদের প্রথম আকর্ষণ ক্যামেরা ফোন। ক্যামেরা থাকলেও ভালো রেজুলেশন ও সঠিক ইমেজ সেন্সরের ক্যামেরা সব ফোনে ব্যবহার করা হয় না। সাধারণত যেসকল ফোন ক্যামেরাকে প্রাধান্য দিয়ে বানানো হয় সেসকল ফোনে ভালো ক্যামেরা সেন্সর দেওয়া হয়। তাই এসকল ফোনের মূল্য তুলনামূলক বেশি হয়। ক্যামেরা ফোনের অন্যান্য কাজের গতি বেশিও হতে পারে, কমও হতে পারে। এর ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, নাও হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে কেবল ক্যামেরাই প্রাধান্য পাবে।

দেশের বাজারে শাওমি, স্যামসাংসহ বেশ কয়েকটি ফোনেই সবচেয়ে বেশি ১০৮ মেগাপিক্সেলের ইমেজ সেন্সর আছে। দেখে নেওয়া যাক দেশের বাজারের সেরা ১০ ক্যামেরা ফোনগুলো।

১. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ওয়ান আল্ট্রা:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৪ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৪.৯ অ্যাপারচার ও ২৪০ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ৭২ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৩ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২১। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

২. স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট টুয়েন্টি আল্ট্রা:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩ অ্যাপারচার ও ১২০ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৩ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

৩. হুয়াওয়ে পি ফোরটি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৯ অ্যাপারচার ও ২৩ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৫০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩.৪ অ্যাপারচার ও ১২৫ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ১.৮ অ্যাপারচার ও ১৮ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১৩২। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে লেইকার লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

৪. ভিভো এক্স সেভেন্টি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৫০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ৩.৪ অ্যাপারচার ও ১২৫ মিলিমিটার পেরিস্কোপ টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কার্ল জেসিসের লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৭৩ হাজার টাকা।

৫. ভিভো এক্স সিক্সটি প্রো:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার টেলিফোটো ফোকাল লেন্সের ১৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৩ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১২০। এই ফোনের ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে কার্ল জেসিসের লেন্স। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৭০ হাজার টাকা।

৬. ওয়ানপ্লাস এইট টি:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৪ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৬ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার মনোক্রোম লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ১৬ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১১১। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৬০ হাজার টাকা।

৭. স্যামসাং গ্যালাক্সি এ সেভেন্টি টু:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার টেলিফটো ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.২ অ্যাপারচার আল্ট্রাওয়াইড লেন্সের ১২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৫। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৪৬ হাজার টাকা।

৮. শাওমি ইলেভেন এক্স:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৮ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৪৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ৫০ মিলিমিটার ম্যাক্রো লেন্সের ৫ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৫ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ২০ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৩। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৪৩ হাজার টাকা।

৯. অপ্পো রিনো সিক্স:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে তিনটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০৭। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৩৩ হাজার টাকা।

১০. অপ্পো রিনো ফাইভ:
ফোনটির মূল ক্যামেরা প্যানেলে দেওয়া হয়েছে চারটি লেন্স। প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১.৭ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৬৪ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর। এর পাশাপাশি সেকেন্ডারি ক্যামেরা হিসাবে আরও থাকছে একটি ২.২ অ্যাপারচার ও ১৬ মিলিমিটার আল্ট্রাওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৮ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর; একটি ২.৪ অ্যাপারচার ম্যাক্রো লেন্সের ২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর এবং একটি ২.৪ অ্যাপারচার ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
ফোনটিতে সেলফি ক্যামেরা হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ২.৪ অ্যাপারচার ও ২৬ মিলিমিটার ওয়াইড ফোকাল লেন্সের ৩২ মেগাপিক্সেল ইমেজ সেন্সর।
ফোনটির ডিএক্সও মার্ক ১০০। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৩৩ হাজার টাকা।

/এএস

Header Ad
Header Ad

প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২৬ মার্চ দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের পাঠানো বিশেষ ফ্লাইটে দেশটির উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সফরকালে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ২৮ মার্চ ড. ইউনূসের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

চীনের হাইনান প্রদেশে আগামী ২৫ থেকে ২৮ মার্চ বাউ (বিওএও) ফোরাম ফর এশিয়ার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনটিতে অংশ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানায় চীন। এরপর বাংলাদেশ সবুজ সংকেত দিলে সফরটি চূড়ান্ত হয়।

এর আগে ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারিতে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীন যান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সেই সফরের ধারাবাহিকতায় এবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চীনে যাচ্ছেন।

Header Ad
Header Ad

রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে পাহাড়ি অঞ্চলের নানা জাতের আনারস চাষ ও রাসায়নিক ব্যবহার। ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

পবিত্র মাহে রমজানে টাঙ্গাইলের মধুপুরের ‘জিআই’ পণ্য আনারসের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। বর্তমানে হাট-বাজারে যেসব আনারস পাওয়া যাচ্ছে, তার অধিকাংশই জলডুগি জাতের। তবে চাষিরা ন্যায্যমূল্য না পেলেও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে আনারস বিক্রি করছেন, এমন অভিযোগ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।

অপরদিকে, দ্রুত লাভের আশায় কৃষকরা ব্যাপক হারে রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে একদিকে যেমন আনারস দ্রুত বড় ও পাকছে, অন্যদিকে এর স্বাদ, গুণগতমান এবং নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন বাগানে প্রানোফিক্স, সুপারফিক্স, রাইপেন, ইথোফন, জিব্রেলিক এসিডসহ নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশেষ করে, ৬০ পাতা হওয়ার আগেই কৃত্রিমভাবে ফল ধরানোর জন্য রাসায়নিক প্রয়োগ করা হচ্ছে।

এক চাষি আক্কাস আলী বলেন, “প্রাকৃতিকভাবে আনারস একসঙ্গে পাকে না, কিন্তু রাসায়নিক ব্যবহার করলে সব আনারস একসঙ্গে পেকে যায়। এ কারণে শিয়াল, বানর, টগা, কটাবানরও এখন আর আনারস খায় না। মানুষও খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে, তবে দেশের বাজারে ঠিকই বিক্রি হচ্ছে।”

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

একজন ব্যবসায়ী আব্দুল বারেক জানান, “রমজানের আগে বাগান কিনে নেই। কিন্তু ক্রেতারা বড় ও উজ্জ্বল রঙের আনারস চান, তাই রাসায়নিক ব্যবহার করতে বাধ্য হই। এতে লাভও বেশি হয়।”

ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ তালুকদার বলেন, “এভাবে রাসায়নিক ব্যবহারে মানবদেহে নানা জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে, বিশেষ করে কিডনি ও লিভারের ক্ষতি হতে পারে। তাই অসময়ে রাসায়নিক মিশ্রিত আনারস না খাওয়াই ভালো।”

তিনি আরও বলেন, “টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী আনারস ‘জিআই’ পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কৃষি বিভাগকে আরও কঠোর মনিটরিং করতে হবে, যাতে চাষিরা রাসায়নিকের অপব্যবহার না করেন।”

মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রাকিব আল রানা জানান, “মধুপুরের আনারস সুস্বাদু ও রসালো। কিন্তু অনেকে দ্রুত পাকানোর জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করছেন, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আমরা কৃষকদের সচেতন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ওষুধের দোকানও মনিটরিং করছি।”

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রমজানে আনারসের চাহিদা বাড়লেও অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারে এর গুণগতমান ও নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারি মনিটরিং বৃদ্ধি এবং চাষিদের সচেতনতা বাড়ানো না গেলে আনারসের ঐতিহ্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

Header Ad
Header Ad

সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা

অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

কিয়ারা আদভানি, বর্তমানে বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন। বর্তমানে নিজের ক্যারিয়ারের সোনালি সময় কাটাচ্ছেন। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে তিনি দর্শকদের মন জয় করেছেন। সম্প্রতি তিনি এক আনন্দের খবর শেয়ার করেছেন যে, তিনি মা হতে যাচ্ছেন এবং অন্তঃস্বত্ত্বা হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

তবে তার ভক্তদের জন্য একটি দুঃসংবাদও এসেছে। বলিউডের অন্যতম অপেক্ষিত সিনেমা ‘ডন ৩’ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কিয়ারা আদভানি। যদিও তিনি বর্তমানে ‘ওয়ার ২’ এবং ‘টক্সিক’ সিনেমার কাজ করছেন, যা তিনি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিলেন। তবে, কিয়ারা বা ‘ডন ৩’-এর নির্মাতাদের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

গত বছর এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছিল যে কিয়ারা ‘ডন ৩’-তে অভিনয় করবেন। সেখানে লেখা হয়েছিল, “ডন ইউনিভার্সে স্বাগতম কিয়ারা আদভানি।” তবে তার মা হওয়ার ঘোষণার পরেই এই সিদ্ধান্ত আসে।

কিয়ারা এবং সিদ্ধার্থ মালহোত্রা সম্প্রতি তাদের সন্তান আসার সুখবরটি এক যৌথ পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। পোস্টে ছোট মোজার ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখা ছিল, “আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার। শীঘ্রই আসছে।”

সিদ্ধার্থ মালহোত্রা এবং কিয়ারা আদভানি। ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে কিয়ারা ‘ওয়ার ২’ সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন, যেখানে তিনি হৃতিক রোশনের সঙ্গে পর্দা ভাগাভাগি করেছেন। এছাড়া তিনি ‘টক্সিক’ সিনেমাতেও কাজ করছেন। তার পাশাপাশি ‘শক্তি শালিনী’ ও ‘ধুম ৪’ সিনেমায় অভিনয়ের কথাও শোনা যাচ্ছে, এবং এই দুটি সিনেমা ২০২৬ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
রোজায় বেড়েছে আনারসের চাহিদা, দ্রুত পাকাতে রাসায়নিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি
সন্তানের জন্য ‘ডন থ্রি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ালেন কিয়ারা
অস্থিরতার কারণে এ বছর নির্বাচন কঠিন হবে: রয়টার্সকে নাহিদ ইসলাম
চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন মির্জা ফখরুল
বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে বরের মৃত্যু
মুশফিক অযু ছাড়া ব্যাট-বল স্পর্শ করতেন না: মুশফিকের স্ত্রী
বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও ভালো উন্নতি বাংলাদেশের
ছাত্র-জনতা কোথাও অভিযান চালাতে পারে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফ্রান্সে মুসলিম খেলোয়াড়দের রোজায় নিষেধাজ্ঞা
স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন আবরার ফাহাদসহ ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি
রাবিতে সভাপতি নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি
মিরপুরে মুশফিককে ‘গার্ড অব অনার’ দিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব
‘ভালোবাসার মানুষের’ বাহুডোরে পরীমণি, আলোচনায় শেখ সাদী
আতিউর, বারাকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
কিশোরগঞ্জ বার নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের জয়জয়কার
এনআইডি নির্বাচন কমিশনেই রাখা হোক: সিইসি
কুবি শাখা ছাত্রদলের উদ্যোগে নৈশপ্রহরীদের মাঝে সেহরি বিতরণ
পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তা, কর্মচারী মোস্তফার জামিন
পুলিশ আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছে: আইজিপি