ফেসবুক ব্লু ভেরিফায়েড ব্যাজ পেতে যা যা প্রয়োজন
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও হচ্ছে মেটার মালিকানাধীন এই প্ল্যাটফর্ম। ব্যক্তিগত ব্যবহার থেকে শুরু করে ব্যবসাবাণিজ্য (এফ-কমার্স) ও শিক্ষার (এফ লার্নিং) মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজেও এখন নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে ফেসবুক।
ফেসবুক প্রোফাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি তাই আজ অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে ফেসবুক ভেরিফিকেশন। ফেসবুক ভেরিফিকেশনের জন্য কী কী প্রয়োজন তাই নিয়ে আজকের এই আলোচনা।
ফেসবুক ভেরিফিকেশন বা ভেরিফায়েড ব্যাজ পেতে যা যা প্রয়োজন
ফেসবুক প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা অনুসরণ ও মেনে চলার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয় ফেসবুক ভেরিফিকেশন বা ভেরিফায়েড ব্যাজ পাওয়ার জন্য। বিবেচ্য বিষয়গুলো হলো:
অথেনটিক: প্রোফাইল ভেরিফিকেশনের জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ব্যবহারকারীর রিয়েল আইডেনটিটি বা পরিচয় থাকা। অর্থাৎ, আপনি অন্য কারো নামে আইডি খুলে সেটা ভেরিফিকেশন করাতে পারবেন না। ফেইড আইডি দিয়ে ভেরিফায়েড ব্যাজ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ইউনিক: ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের পেজ বা প্রোফাইল যা-ই হোক না কেন অবশ্যই সেটা অদ্বিতীয় হতে হবে। অর্থাৎ একই ব্যক্তির নামে দুটি প্রোফাইল বা পেজ, কিংবা একই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দুটি পেজ একসাথে ভেরিফাই করা সম্ভব নয়। একমাত্র ব্যতিক্রম হতে পারে নির্দিষ্ট ভাষার (ল্যাংগুয়েজ স্পেসিফিক) পেজ বা প্রোফাইলের ক্ষেত্রে। এছাড়া জেনারেল ইন্টারেস্ট পেজ বা প্রোফাইল ভেরিফিকেশন করে না ফেসবুক।
কমপ্লিট: যে পেজ বা প্রোফাইলটি ভেরিফাই করতে চান সেটি অবশ্যই কমপ্লিট থাকতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি সেকশনে তথ্য দিতে হবে। অ্যাবাউট সেকশনে তথ্য থাকতে হবে, ব্যবহার করতে হবে প্রোফাইল ফটো এবং সাম্প্রতিক কার্যাবলীর অংশ হিসেবে অন্তত একটি পোস্ট থাকতে হবে এই প্রোফাইল বা পেজটিতে।
নোটেবল: প্রোফাইলটি বা পেজটি অবশ্যই সুপরিচিত হতে হবে। অর্থাৎ, এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড হতে হবে যাদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের আগ্রহ রয়েছে। সাধারণ মানুষ যাদের সম্পর্কে জানতে সার্চ করে থাকে। অর্থাৎ, উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড হলে প্রোফাইল ও পেজ ভেরিফিকেশন অনেক সহজে হয়ে যায়।