বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

হারিয়ে যাওয়া এক কিংবদন্তী গেমিং ফোন

একটি স্মার্টফোনকে যে রীতিমতো একটি প্লেস্টেশন হিসাবে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়টিও তুলে এনেছে গেমিং ফোন।

স্মার্টফোনের বাজারে একের পর এক নতুন চমক আনছে কোম্পানিগুলো। কেউ স্মার্টফোনে ২০০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে হইচই ফেলে দিচ্ছে, আবার কেউ ১৪৪ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ডিসপ্লে দিয়ে বাজারের সেরা ফোনের খেতাব নিয়ে নিচ্ছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন এক ট্রেন্ড, গেমিং ফোন।

গেমিং ফোনের উত্থান স্মার্টফোন ব্যবহারের ধারণাকে একদম বদলে দিয়েছে। গতানুগতিক কাজের বাহিরে একটি স্মার্টফোনকে যে রীতিমতো একটি প্লেস্টেশন হিসাবে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়টিও তুলে এনেছে গেমিং ফোন।

একটি গেমিং ফোনের মালিক হওয়ার ইচ্ছা তরুণ-তরুণীদের এক স্বপ্নে রূপ নিয়েছে। বিশেষ করে গেমপ্রিয় নেটিজেনদের মৌলিক চাহিদায় রূপান্তর হয়েছে একটি শক্তিশালী গেমিং ফোন। এই ট্রেন্ডে দিন দিন বাড়ছে গেমারের সংখ্যা, তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন গেমিং প্ল্যাটফরম, সেই সঙ্গে প্রযুক্তি খাতের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কোম্পানিগুলো একের পর এক আনছে নতুন সব গেমিং ফোন।

শুধু তা-ই নয় বাজার টিকিয়ে রাখতে এবং গেমারদের আরও আগ্রহী করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সেরা খেলোয়াড়দের লাখো ডলার পুরস্কারও দেওয়া হচ্ছে।

বাজারে এখন অসংখ্য গেমিং ফোন। যাদের মাঝে নেতৃত্ব ধরে রেখেছে আসুসের রগ ফোন, শাওমির ব্ল্যাক শার্ক, জেডটিই এর নুবিয়া রেড ম্যাজিক এবং লেনোভোর লিজিয়ন ফোন। এ ছাড়া প্রায় সব কোম্পানির গেমিং করার মতো পারফরম্যান্সের ফোন বাজারে আছে।

গেমিং স্মার্টফোনগুলোর বৈশিষ্ট্য আর দশটা সাধারণ ফোন থেকে একটু আলাদা হয়। এর জন্য চায় শক্তিশালী প্রসেসর, অধিক ধারণক্ষমতা-সম্পন্ন র‍্যাম, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং বড় ও স্মুদ ডিসপ্লে। এর বাইরে যে কোম্পানি যত বেশি ফিচার দিতে পারবে সে কোম্পানিই তার ফোন বাজার টিকিয়ে রাখতে পারবে। এ কারণে এই ফোনগুলোর বাজারমূল্য অন্য ফোনগুলোর তুলনায় বেশি।

গেমিং ফোনের প্রচলন খুব বেশিদিন নয়। প্রায় চার বছর আগে, ২০১৭ সালে। যদিও বিশ্ববাজার গেমিং ফোনের ট্রেন্ডে আসতে শুরু করে ২০১৮ সালে, তাও সীমিত ফিচার নিয়ে। তখন শাওমি, আসুস, ওয়ানপ্লাসসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি প্রতিযোগিতা করে বাজারে গেমিং ফোন এনেছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে একটি কোম্পানি তখনকার বাজারে অনেক বেশি ফিচার নিয়ে গেমিং ফোন বানিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল।

বলছিলাম ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বাজারে আসা বিশ্বের প্রথম ১২০ হার্জ ডিসপ্লের গেমিং স্মার্টফোন 'রেজার ফোন'এর কথা।

ফোনটি বাজারে এনেছিলো সিঙ্গাপুর-আমেরিকার যৌথ বাণিজ্যিক কোম্পানি বিখ্যাত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান 'রেজার ইনকর্পোরেটেড'। বিশ্বজুড়ে রেজার এর খ্যাতি তাদের উচ্চক্ষমতা-সম্পন্ন গেমিং ল্যাপটপের জন্য। গেমিং পারফরম্যান্সে রেজারকে টেক্কা দিতে অন্য কম্পিউটার কোম্পানিগুলোর রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।

রেজার ফোন নিয়ে বিখ্যাত প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের একবাক্যে মতামত ছিল অনেকটা এরকম 'এই স্মার্টফোনটি ভবিষ্যৎ থেকে নিয়ে আসা'।

২০১৭ সালে রেজার ফোনে ব্যবহার করা হয়েছিলো স্ন্যাপড্রাগন ৮৩৫ প্রসেসর (২.৪৫ গিগাহার্জ) যাকে সহযোগিতা করার জন্য ছিল ৮ গিগাবাইট র‍্যাম। একইসঙ্গে চূড়ান্ত ফলাফল সর্বোচ্চ ভালো দিতে আরও ছিল ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের মাখন মসৃণ আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। একই সময়ে এলজি, শাওমি, সনিসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি একই প্রসেসর ব্যবহার করলেও সেই ফোনগুলোর কোনোটিই ভারী গেমিং-এর জন্য উপযুক্ত ছিল না। সহায়ক হিসাবে চার ও ছয় গিগাবাইটের র‍্যাম থাকলেও ১২০ হার্জের ডিসপ্লে ছিল কল্পনাতীত।

ফোনটির ৫.৭ ইঞ্চি আকৃতির ডিসপ্লেটির রেজুলেশন ১৪৪০X২৫৬০ (2k)। যার সুরক্ষা দিতে ব্যবহার করা হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস থ্রি। সম্পূর্ণ অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেমের এই ফোনে সর্বপ্রথম 'সাইড মাউন্টেড ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর অন পাওয়ার বাটন' প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। ফোনটিতে লাউড স্পিকার হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে দুটি ডলবি অ্যাটমস স্টেরিও স্পিকার। যদিও ৩.৫ মিলিমিটার অডিও জ্যাক ছিল না, কিন্তু টাইপ সি চার্জিং পোর্ট থাকায় ইয়ারফোন ব্যবহারে তেমন কোনো অসুবিধাও হয়নি।

অ্যান্ড্রয়েড ৭.১.১ নোগাট অপারেটিং সিস্টেমে ফোনটি পরিচালিত হলেও তা অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ পাই অপারেটিং সিস্টেম পর্যন্ত আপগ্রেড করার ব্যবস্থা ছিল, অর্থাৎ দীর্ঘসময় ফোনটি তার ব্যবহারকারীকে সফটওয়্যার আপডেট দিয়েছে। ফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ১২ মেগাপিক্সেল করে দুইটি ইমেজ সেন্সর। যার একটিতে আছে ২.৬ অ্যাপারচারের বেসিক লেন্স এবং অপরটিতে আছে ১.৮ অ্যাপারচারের ওয়াইড লেন্স। সেলফি ক্যামেরা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে ৮ মেগাপিক্সেলের ইমেজ সেন্সর।

১৯৭ গ্রাম ওজনের এই ফোনটিতে পাওয়ার সাপ্লাই হিসাবে থাকছে একটি চার হাজার মিলি এম্পিয়ারের লি-পলি ব্যাটারি। মজার বিষয় হলো বিশ্ব বাজারে ২০১৯-২০ সালের দিকে ফাস্ট চার্জিং ট্রেন্ড চালু হলেও রেজার ফোন ২০১৭ সালেই ১৮ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং-এর ব্যবস্থা করেছিল, তাও আবার কুইক চার্জ ফোর প্লাস ক্যাটাগরিসহ। যা ২০২১ সালে বাজারে আসা স্মার্টফোনগুলোতে ব্যবহার শুরু হয়।

২০১৮ সালের প্রথমদিকে প্রযুক্তি বাজারে নেতৃত্ব দেওয়া ওয়ানপ্লাস ফাইভ টি, পোকো এফ ওয়ান, শাওমি ব্ল্যাক শার্ক, আসুস রগ ফোনসহ অনেক স্মার্টফোনই গেমিং জগতে পদার্পন করেছে কিন্তু রেজার ফোন-এর মতো ফিচার দিতে পারেনি কেউ। বরং ২০১৮ সালের অক্টোবরে একই কনফিগারেশনে প্রসেসর আপডেট করে স্ন্যাপড্রাগন ৮৪৫ (২.৮ গিগাহার্জ) নিয়ে রেজার হাজির হয়েছিলো নতুন রূপে। জন্ম নিয়েছিল গেমিং ফোনের জগতে আরেক কিংবদন্তী 'রেজার ফোন টু' এর। তবে এখন তা কেবল ইতিহাস।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রেজার ঘোষণা দিয়েছিল ব্যবসায়িক জটিলতার কারণে তাদের কয়েকটি পণ্য উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হবে। ফলশ্রুতিতে 'রেজার ফোন থ্রি' বাজারে আসার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে এখনও 'রেজার ফোন টু' কিনতে পাওয়া যায়। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

বাংলাদেশের বাজারে প্রবাসীদের মাধ্যমে হাতে গোনা কয়েকটি রেজার ফোন ঢুকলেও উচ্চমূল্য ও তথ্য স্বল্পতার কারণে ফোনটি পরিচিতি পায়নি।

/এএস

Header Ad
Header Ad

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সিরিয়ার বর্তমান ডি ফ্যাক্টো নেতা আহমেদ আল শারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উচ্ছেদ অভিযানে শীর্ষ ভূমিকায় ছিলেন এই নেতা। অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রিসভা গঠনের দায়িত্বও তাকে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে দেশটির সংবিধান।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার হাসান আবদুল ঘানি সিরিয়ার ২০১২ সালের সংবিধান বাতিল এবং আসাদ সরকারের সংসদ, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিলুপ্তি ঘোষণা করেছেন।

নতুন প্রেসিডেন্ট শারা জানিয়েছেন, তিনি একটি অন্তর্বর্তীকালীন আইনসভা গঠন করবেন, যা দেশের শাসন পরিচালনা করবে যতক্ষণ না একটি নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়। তিনি আরও বলেন, আসাদবিরোধী সব বিদ্রোহী গোষ্ঠী ভেঙে ফেলা হবে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একীভূত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  

হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গোলাম রাব্বানী। ছবিঃ সংগৃহীত

গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এই দাবি তোলেন তিনি। আর সেই পোস্টে কমেন্ট করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। এদিকে রাব্বানীর করা কমেন্টের জবাবও দেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লেখেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।’

জবাবে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, ‘দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।’

হাসনাত আবদুল্লাহর ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতা-কর্মীরও বিচার কার্যকর করা হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার কার্যকর করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাথে অপমানের শামিল।

অথচ, ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারাদেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া।

ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সাথে করতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সকল নেতা-কর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের সকল শহীদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে বলছি, আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন। পুনরাবৃত্তি করছি: আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের আচরণ ঠিক তেমন হবে, যেমন আওয়ামী লীগের আচরণ আমাদের প্রতি ৫ আগস্ট না হলে হতো।’

Header Ad
Header Ad

তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরাইল ও হামাসের মাঝে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী আরও ১১০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে ৩০ জনের বয়স ১৮ বছরের নিচে। পাশাপাশি হামাস ৫ থাই নাগরিকসহ ৮ জনকে মুক্তি দিবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এই বন্দি বিনিময় হতে যাচ্ছে। গত ১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে এটিই তৃতীয় বন্দি বিনিময় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আলজাজিরা।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) নিজেদের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তিন ইসরাইলি জিম্মির নাম প্রকাশ করেছে হামাস। এরা হলেন আরবেল ইয়েহুদ, আগাম বার্গার এবং গ্যাডি মোশে মোজেস।

এই জিম্মিদের বিনিময়ে যে ১১০ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দি মুক্তি পাচ্ছেন— সে তথ্যও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৪৮ জন দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড এবং ৩০ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক কারাবন্দি রয়েছেন

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার চতুর্থ বন্দিবিনিময়ে ৩ ইসরাইলি পুরুষকে মুক্তি দেবে হামাস।

এদিকে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনী তাদের অভিযান জোরদার করেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তুম্মাম শহরে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

অন্যদিকে, আলজাজিরার তথ্যমতে, উত্তর গাজায় প্রবেশ করেছে ৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আহমদ আল শারাকে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা  
ফেসবুকে হাসনাত-রাব্বানীর তর্কযুদ্ধ : ‘দেশে এসে বিচার করেন, হেডম থাকলে আসেন’  
তৃতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন আরও ১১০ ফিলিস্তিনি  
মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ করে রাজনীতিতে কখনোই সফল হবে না : ছাত্রশিবিরকে রিজভী  
যুক্তরাষ্ট্রে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত  
জি কে শামীমের দুর্নীতি মামলার রায় আজ  
আজ জহির রায়হানের ৫৩তম অন্তর্ধান দিবস  
আজ সারাদেশে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে  
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার : ৩ জনের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ  
ছাত্রশিবির এর দলীয় প্রকাশনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ ছাত্রদলের
মসজিদ থেকে জুতা চুরি, পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা যুবক
চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি
ব্যক্তি স্বার্থে দলের স্বার্থ নষ্ট করলে ছাড় নয়: তারেক রহমান
তৃতীয় বিয়ে করছেন রাখি সাওয়ান্ত, পাত্র পাকিস্তানি পুলিশ কর্মকর্তা!
চার মাসেও সমাধান মেলেনি, ভবনে তালা দিল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
টাঙ্গাইলে ১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে এনজিও উধাও, ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন
অর্থ লুটকারীদের অনেকের কপালে ও নাকে সিজদার দাগ: ধর্ম উপদেষ্টা
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ ভারতীয়সহ ১৫ প্রবাসী নিহত
তেজগাঁওয়ে কুতুববাগ দরবার শরিফের ওরস স্থগিত
মহাকুম্ভ মেলায় পদদলিত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু