দেশের বাজারে সেরা ৫ গেমিং ফোন
বর্তমান বিশ্বজুড়ে চলছে মোবাইল ভিত্তিক গেমিং ট্রেন্ড। দিন দিন বাড়ছে গেমারের সংখ্যা। বাড়ছে আকর্ষণ-উত্তেজনা। এর সাথে তাল মিলিয়ে বাজারে একের পর এক আসছে নতুন সব গেমিং ফোন। ফোন কোম্পানিগুলো রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে আধুনিক ফিচারসহ গেমিং ফোন বাজারে ছেড়ে হাইপ তৈরী করছে।
বিশ্বজোড়া গেমিং ট্রেন্ডে বাংলাদেশও এর বাহিরে নেই। কল অব ডিউটি, জেনশিন ইম্প্যাক্ট, পাবজি, ফোর্টনাইট, মডার্ণ ওয়ারশিপসহ প্রায় সব অনলাইন গেমগুলোতেই বাংলাদেশের গেমপ্রিয় তরুণ-তরুণীদের অংশগ্রহণ রয়েছে। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশি গেমাররা সুনাম কুড়াচ্ছেন।
গেমপ্রিয় নেটিজেনদের প্রধান আকর্ষণের বস্তু একটি গেমিং স্মার্টফোন। গেমিং স্মার্টফোনগুলোর বৈশিষ্ট্য অন্য আর দশটা সাধারণ স্মার্টফোনগুলোর চাইতে আলাদা। এসব ফোনে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন প্রসেসর ও র্যাম ব্যবহার করা হয়। ডিসপ্লে হিসাবে দেওয়া হয় হাই রিফ্রেশ রেটের একটি বড় মনিটর। যাতে গেমিং হয় মসৃণ ও বাধাহীন। তাই এসকল স্মার্টফোনের মূল্য তুলনামূলক বেশি হয়।
দেশের বাজারে শাওমি, স্যামসাংসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির ফোনেই গেমিং করার সক্ষমতা আছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারের সব কোম্পানি দেশের বাজারে সরাসরি বাণিজ্যে সম্পৃক্ত না থাকায় বৈধভাবে অনেক গেমিং ফোনই বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। দেখে নেওয়া যাক দেশের বাজারের সেরা ১০ ক্যামেরা ফোনগুলো।
১. স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ওয়ান আল্ট্রা:
ফোনটিতে চিপসেট হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে এক্সোনাস ২১০০ প্রসেসর। যা ৫ ন্যানোমিটার প্ল্যাটফরমের চিপসেট। আট কোরের এই চিপসেটের বেইজ ফ্রিকুয়েন্সি ২.৯১ গিগাহার্জ। চিপসেটের সহায়ক হিসাবে থাকছে ১২ গিগাবাইট র্যাম। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে মালি-জি৭৮। ডিসপ্লে হিসাবে দেওয়া হয়েছে ৬.৮ ইঞ্চির একটি ডাইনামিক অ্যামোলেড মনিটর। যার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্জ। আর পুরো ফোনটিকে সঞ্চালন করতে দেওয়া হয়েছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি।
আন্তর্জাতিক গেমারদের ভাষ্যমতে এই ফোনটির গেমিং এক্সপেরিয়েন্স এক কথায় অসাধারণ। যদিও এক্সোনাস চিপসেটের কিছু বদনাম রয়েছে তবে ২১০০ সিরিজে স্যামসাং সে বদনাম ঘুচিয়ে দিয়েছে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস টুয়েন্টি ওয়ান আল্ট্রা ২০২১ সালের সেরা স্মার্টফোনের খেতাব লাভ করেছে। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
২. শাওমি এমআই ইলিভেন টি প্রো:
ফোনটিতে চিপসেট হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসর। যা স্ন্যাপড্রাগনের ৫ ন্যানোমিটার প্ল্যাটফরমের অন্যতম শক্তিশালী চিপসেট। আট কোরের এই চিপসেটের বেইজ ফ্রিকুয়েন্সি ২.৮৪ গিগাহার্জ। চিপসেটের সহায়ক হিসাবে থাকছে ৮ গিগাবাইট র্যাম। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাড্রিনো ৬৬০। ডিসপ্লে হিসাবে দেওয়া হয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির একটি অ্যামোলেড মনিটর। যার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্জ। আর পুরো ফোনটিকে সঞ্চালন করতে দেওয়া হয়েছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি।
গেমিং ফোনের জন্য স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসরের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৬৫ হাজার টাকা।
৩. শাওমি এমআই ইলিভেন টি:
ফোনটিতে চিপসেট হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ১২০০ প্রসেসর। এটি মিডিয়াটেকের সর্বাধুনিক ও সর্বোচ্চ ক্ষমতার ৬ ন্যানোমিটার প্ল্যাটফরমের চিপসেট। আট কোরের এই চিপসেটের বেইজ ফ্রিকুয়েন্সি ৩ গিগাহার্জ। চিপসেটের সহায়ক হিসাবে থাকছে ৮ গিগাবাইট র্যাম। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে মালি-জি৭৭। ডিসপ্লে হিসাবে দেওয়া হয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির একটি অ্যামোলেড মনিটর। যার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্জ। আর পুরো ফোনটিকে সঞ্চালন করতে দেওয়া হয়েছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৫০ হাজার টাকা।
৪. শাওমি এমআই ইলিভেন এক্স:
ফোনটিতে চিপসেট হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ প্রসেসর প্রসেসর। এটি স্ন্যাপড্রাগনের ৭ ন্যানোমিটার প্ল্যাটফরমের সবচেয়ে শক্তিশালী চিপসেট। আট কোরের এই চিপসেটের বেইজ ফ্রিকুয়েন্সি ৩.২ গিগাহার্জ। চিপসেটের সহায়ক হিসাবে থাকছে ৮ গিগাবাইট র্যাম। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাড্রিনো ৬৫০। ডিসপ্লে হিসাবে দেওয়া হয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চির একটি অ্যামোলেড মনিটর। যার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্জ। আর পুরো ফোনটিকে সঞ্চালন করতে দেওয়া হয়েছে ৪৫২০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৪৩ হাজার টাকা।
৫. রিয়েলমি জিটি নিও টু:
ফোনটিতে চিপসেট হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ প্রসেসর প্রসেসর। এটি স্ন্যাপড্রাগনের ৭ ন্যানোমিটার প্ল্যাটফরমের সবচেয়ে শক্তিশালী চিপসেট। আট কোরের এই চিপসেটের বেইজ ফ্রিকুয়েন্সি ৩.২ গিগাহার্জ। চিপসেটের সহায়ক হিসাবে থাকছে ৮ গিগাবাইট র্যাম। গ্রাফিক্স কার্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাড্রিনো ৬৫০। ডিসপ্লে হিসাবে দেওয়া হয়েছে ৬.৬২ ইঞ্চির একটি অ্যামোলেড মনিটর। যার রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্জ। আর পুরো ফোনটিকে সঞ্চালন করতে দেওয়া হয়েছে ৫০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের একটি ব্যাটারি। বাংলাদেশের বাজারে এই স্মার্টফোনটির অফিসিয়াল মূল্য ৪০ হাজার টাকা।
/এএস