চালু হচ্ছে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক
ছবি : সংগৃহীত
ছয়টি স্পটে পরীক্ষামূলকভাবে আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) চালু হচ্ছে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক। রাজধানী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, সংসদ ভবন এলাকা এবং সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ও টুঙ্গিপাড়া—এই ছয় স্পট ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক কাভারেজে আসবে।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় ভাচুর্য়ালি উপস্থিত থেকে এই নেটওয়ার্কের উদ্বোধন করবেন সন্ধ্যা ৭টায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আপাতত শুধু রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন অপারেটর সংস্থা টেলিটক উল্লিখিত স্থানগুলোতে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক কাভারেজ দেবে। পরবর্তীকালে ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফাইভ-জি সেবা দেবে টেলিটক।
২০২২ সালের মার্চে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামে দেওয়ার পর বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর এই প্রযুক্তি চালু করবে। টেলিটক ও বিটিসিএল দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে স্পেশাল ইকোনোমিক জোনগুলোতে এই সেবা চালু করারও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিটিআরসি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় ফাইভ-জি প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়।
ফাইভ-জি প্রযুক্তি সেবা কেবল গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তি নয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল গ্রাহকরা অধিকতর উন্নত ও গুণগতমানের ভয়েস কল ও ফোরজি থেকে বহুগুণ দ্রুত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হবে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকায় বসে প্রত্যন্ত অঞ্চলে রোগীর রোবট সার্জারি করা যাবে। ড্রাইভারবিহীন গাড়ি চালানো যাবে, স্মার্ট ফ্যাক্টরি স্থাপনের মাধ্যমে অটোনোমাস উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যাবে।
এ ব্যপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সাংবাদিকদের শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বলেন, উদ্বোধনের এই মাহেন্দ্রক্ষণটি ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দূরদৃষ্টি কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করছে।
অনেক উন্নত দেশও আমাদের আগে ফাইভ-জি চালু করতে পারেনি জানিয়ে টেলিযৈাগাযোগমন্ত্রী বলেন, '২০২০ সালে বিশ্বের ৬-৭টি দেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে সক্ষম হয়। মালয়েশিয়া আগামী মার্চে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু করতে যাচ্ছে। আমাদের জন্য অহংকারের বিষয় হচ্ছে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনও ফাইভ-জি যুগে যেতে পারেনি, আমরা যাচ্ছি।'
আরইউ/টিটি/