১৫৫ রান নিয়ে লড়তে হবে বাংলাদেশকে

বাংলাদেশ কী পারবে আফগানিস্তান ‘ভীতি’ দূর করতে? এই ভীতি দূর করতে হলে বোলারদের হাতে যে খুব বেশি পুঁজি নেই। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটসম্যানরা ৮ উইকেটে ১৫৫ রান তুলে দিয়েছেন বোলারদের হাতে। এই রান নিয়েই বোলারদের নামতে হবে আফগান ‘ভীতি’ দূর করার মিশনে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানিস্তানের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের দলগত সর্বোচ্চ।
শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দল যেখানে শেষ করেছিল, প্রথম টি-টোয়েন্টিতে যেন সেখান থেকেই শুরু করে। কিংবা বলা যায় শেষ ওয়ানডের কার্বন কপি ছিল। শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে মাত্র চারজন ব্যাটসনম্যান দুই অংকের রান করতে পেরেছিলেন। সর্বোচ্চ ৮৬ রান এসেছিল লিটন দাসের ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল সাকিবের ৩০।এবারও চারজন ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করেন। সর্বোচ্চ রানও যথারীতি লিটন দাসের ৬০। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান আফিফের। বলা যায় তার ৪৪ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কাতে সাজানো ৬০ রানের ইনিংসের বদৌলতেই বাংলাদেশ অন্তত লড়াই করার মতো পুঁজি দাঁড় করাতে পেরেছে। আ্যফগান বোলাদের বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ৪২টি ডট বল দেন।
ওয়ানডে সিরিজের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজেও টস হাসে বাংলাদেশের দিকে। কিন্তু ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতেই হারিয়ে বসে দুই ওপেনারকে। বাজে সময় কাটানো মোহাম্বমদ নাঈমকে (১) দিয়ে শুরু। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়ে ভালোই শুরু করেছিলেন মুনিম শাহরিয়ার। ১৮ বলে ৩ চারে ১৭ রান করে রশিদ খানের এলবিডব্লির ফাঁদে পড়েন। রিভিউ নিয়েও বাঁঁচতে পারেননি। সাকিব(২) মাহমুদউল্লাহ (১০) দ্রুত বিদায় নিলে বাংলাদেশ চাপে পড়ে যায়। পঞ্চম উইকেট জুটিতেদ লিটন দাস আফিফকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়লে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহের পুঁজি দাঁড়ায়। শেষের দিকে রান বাড়ানোর তাড়া থেকেই প্রথমে লিটন দাস, পরে আফিফও বিদায় নিলে বাংলাদেশের পুঁজি আর বাড়তে পারেনি। শেষ দুই ওয়ানেডতে ১৩৬ ও ৮৬ রান করার পর লিটন দাস তা ওয়ান ডাউনে নেমে টি-টোয়েন্টিতেও টেনে এনে ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন। এটি ছিল তার পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। আউট হন ফজলহকব ফারকীর বলে শট ফাইন লেগে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে। আফিফ আউট হন আজমতউল্লাহর বলে মোহাম্মদ নবীর হাতে কাভারে ক্যাচ দিয়ে। ইয়াসির আলী ৭ বলে ৮ রান করে রান আউট হয়ে গেলে তিনিও অভিষেককে রাঙাতে পারেননি। রান আউট হয়ে যান মেহেদি হাসানও ৭ বলে ৫ রান করে। উইকেট পতনের এই ধারাবাহিকতায়ও বাংলাদেশ শেষ ৫ ওভারে সংগ্রহ করে ৪৫ রান। উইকেট পড়ে ৪টি। ফজলহক ফারুকী ২৭ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৩১ রানে ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন রশিদ খান ও কায়েস আহমেদ।
এমপি
