জাতীয় দলে সিনিয়র-জুনিয়র অজুহাত দিতে পারবে না: মিরাজ

মেহেদি হাসান মিরাজ চোখের সামনে দেখেছেন সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা দলকে কতো ম্যাচ জিতিয়েছেন। আর সে সময় মিরাজ মনের আয়নায় দেখতেন এ রকম সুযোগ পেলে তারাও চেষ্টা করে দেখবেন। সেই সুযোগ পেয়ে যান তিনি আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম একদিনের ম্যাচেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচই বাংলাদেশ নিশ্চিত হারের মুখ থেকে জয় পেয়েছে মিরাজ-আফিফের ব্যাটে। ষষ্ট উইকেট জুটিতে তাদের অপরাজিত ১৭৪ রান আফগানিস্তানের মুখের খাবার কেড়ে নিয়েছিল। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় ম্যাচ। সেই ম্যাচকে সামনে রেখে আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে এসে মেহেদি হাসান মিরাজ জানান কিভাবে ম্যাচ বের করতে হয় তা তারা দলের সিনিয়রদের কাছ থেকেই শিখেছেন। তিনি বলেন, ‘তাদেরকে (সিনিয়রদের ) দেখেই তো আমরা শিখি। যারা অভিজ্ঞ আছেন তারা বাংলাদেশকে অনেক বড় বড় অর্জন এনে দিয়েছেন। আজ আমরা যে অবস্থানে আছি এটাতে অবশ্যই তাদের অবদান। তারা বাংলাদেশকে এক ধাপ ওপরে নিয়েছেন। তো আমরা তাদের দেখেই শিখি। তাদের দেখে যত শিখব আমাদের ক্যারিয়ারের জন্য ততই ভালো। তারা অনেক এমন ম্যাচ জিতিয়েছেন। আমরা ঐসময় চিন্তা করতাম, আমরাও যদি সুযোগ পাই তাহলে আমরাও চেষ্টা করব ম্যাচ জেতানোর। ঐ আত্মবিশ্বাস ছিল। আমাদের যখন ফিফটি হয়ে গেল, তখন নিজেদের বলছিলাম-আমরা যদি ম্যাচ না জিতি তবে এই ফিফটির কোনো দাম থাকবে না। ক্রিকেট ১১ জনের খেলা। সবার অবদান রাখতে হয়। সুযোগ কাজে লাগানোটা ভবিষ্যতে সহায়তা করবে।’
বাংলাদেশের জয়ে এক সময় সিনিয়রদেরই অবদান থাকত। প্রথম ম্যাচে এ রকম ক্রান্তিকালে দুই তরুন মিরাজ-আফিফের ব্যাটে বাংলাদেশের দুরন্ত জয়ে তরুণদের নিয়ে অনেকেই আশাবাদী হয়ে উঠছেন। তবে তিনি মনে করেন সিনিয়র-জুনিয়র কেবলই শব্দ। জাতীয় দলে টিকে থাকতে হলে পারফর্ম করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, ‘সিনিয়ররা আমাদের ব্যাকআপ করেন। তারা চান আমরা জুনিয়ররা যেন পারফর্ম করি। তাহলে তাদের কাজ সহজ হয়। আমরা পারফর্ম করলে দলের ফলাফল সহজ হয়। সিনিয়ররা সবসময়ই ভালো খেলেছেন, ভালো করবেনও। আমরাও যদি তাদের সঙ্গে ভালো খেলতে পারি তাহলে দলের জন্য ভালো। আমি, লিটন, মুস্তাফিজ প্রায় ৫-৬ বছর খেলে ফেলেছি, কিছু অভিজ্ঞতা তো হয়েছেই। চেষ্টা করবো যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে তা কাজে লাগিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিযোগিতা আসলে সবসময়ই থাকে। জাতীয় দলে পারফর্ম করেই খেলতে হবে। অভিজ্ঞতার বিচারে হয়ত সিনিয়র বা জুনিয়র বলা হয়। কিন্তু জাতীয় দলে এসে কেউ সিনিয়র-জুনিয়র অজুহাত দিতে পারবে না। আমি যদি পারফর্ম না করি তাহলে আমরা জায়গায় অন্য কেউ আসবে। দিনশেষে নিজেকে যত জলদি গুছিয়ে নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিব তত জলদি আমি সফল হব, আমার ক্যারিয়ারও বড় হবে।’
এমপি/
