বাংলাদেশের সম্মান ফিরিয়ে আনবেন সোহাগ
আবু নাঈম সোহাগ কাণ্ডে এলোমেলো বাংলাদেশে ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তার নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে কাজী সালাউদ্দিনের বক্তব্য-সবকিছুতে টালমাটাল অবস্থা দেশের ফুটবল পাড়ায়।
যাবতীয় সমস্যা কেন্দ্রে যিনি, সেই সোহাগ অবশেষে মুখ খুললেন। জানালেন, বাংলাদেশের সম্মান ফিরিয়ে আনবেন তিনি।
গত ১৪ বছর ফিফার শাস্তি খড়গ নেমে আসে সোহাগের কাঁধে। মোটা অঙ্কের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে।
পরবর্তী আরও বড় পদক্ষেপ নেয় সালাউদ্দিনের ফেডারেশন। আজীবন নিষিদ্ধ করে সোহাগকে। সোহাগ ইস্যুতে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে বেঁফাস মন্তব্য করে এখন সবার চোখের বিষ সালাউদ্দিন।
এক কথায়-অল্প দিনের ব্যবধানে অনেক কিছুই ঘটে গেছে মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনে। সালাউদ্দিনের বাফুফের সভাপতি পদে থাকবে কি না তা নিয়েও জেগেছে শঙ্কা।
লঙ্কা-কাণ্ড হয়ে যাওয়ার পর বুধবার ঘটা করে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন সোহাগ। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হন তার আইজীবী আজমালুল হোসেন কেসিকে সঙ্গে নিয়ে।
স্বাভাবিকভাবেই সোহাগের সামনে তুলে ধরা হয় অসংখ্য প্রশ্ন। নিজেকে নিরাপদ জোনে রেখে কিছু প্রশ্নেরই উত্তর দেন তিনি।
সোহাগ বলেন, ‘অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন কিন্তু সেভাবে সাড়া দিতে পারিনি। তাই আমাদের অবস্থান তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত।’
সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘অনেক বিষয়ে এখন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। আমি আপিল করেছি এখন মন্তব্য করলে তখন আবার ফিফা বলতে পারে কেন মন্তব্য করলাম। সময় সকল কিছুর উত্তর দেবে। আমি আশা করি নিজের সম্মান, বাংলাদেশের সম্মান ফিরিয়ে আনতে পারব।’
সোহাগ যোগ করেন, ‘ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে ফুটবলকে ভালোবেসেই ফুটবল ফেডারেশনে কাজ করেছি। অনেকে বলেছে রাত পর্যন্ত ভবনে থেকেছি তখন কাজ করেছি এ নিয়েই। পাঁচ বছরের অনেক ডকুমেন্টস সংগ্রহ করেছি।’
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জুরিখে দিয়ে সাক্ষ্য দেওয়া প্রসঙ্গে সোহাগ বলেছেন, ‘২ লাগেজ ভর্তি কাগজপত্র নিয়েছেন তারা (সোহাগের আইনজীবীরা)। জুরিখ গিয়ে তারা সেগুলো সাজিয়েছেন। এতে ফিফা অনেক বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন করে সর্বনিন্ম শাস্তি প্রদান করেছেন। প্রধান নির্বাহী হিসেবে আমার উপর দায়িত্ব আসে।’
এদিকে ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে গত ৫ মে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে আপিল করেছেন সোহাগ। এ প্রসঙ্গে তার আইনজীবী আজমালুল বলেন, ‘২০১৭-২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের ক্রয় কমিটি ও নীতিমালা ছিল না। ফিফার নির্দেশেই সকল কিছু হয়েছে। ফলে তাদের প্রদত্ত সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। আমরা যুক্তি ও প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। আশা করি ফলাফল ইতিবাচক হবে।’
এমএমএ/