মাশরাফির রূপগঞ্জকে হারিয়ে শিরোপার আরও কাছে আবাহনী
শিরোপার পথে ক্রমেই ধাবমান আবাহনী আরও একা ধাপ এগিয়ে গেল। এই এগিয়ে যাওয়ার পথে তারা পাত্তাই দেয়নি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। অনায়েসেই হারিয়েছে ৪ উইকেটে। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ২৩০ রানে অলআউট করে তারা সেই রান অতিক্রম করে ১০ ওভার হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করে।
১৪ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ২৬। তারা আছে সবার উপরে। তাদের ঘাড়ে গরম নিশ্বাস ফেলছে সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এই রাউন্ডে তারা ১৩ রানে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব রিপন মণ্ডলের তোপে পড়ে ৪৭.৪ ওভারে ২৩০ রানে অলআউট হয়ে যায়। রিপন মণ্ডল ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন। খুশদিল শাহ ২ উইকেট নেন ৪২ রানে। প্রাইম ব্যাংক ব্যাট করতে নামার পর ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ও ২৩০ পর্যন্ত যেতে পেরেছ ইরফান শুক্কুর, চিরাগ জানির হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে জাওয়াদ রোয়েন ও মাশরাফির ব্যাট ভর করে।
চিরাগ ও ইরফান চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৮১ রান যোগ করেন। চিরাগ জানি ৫১ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৫১ রান করে রান আউটের শিকার হলে জুটি ভাঙে। এরপর জওয়াদকে নিয়ে ইরফান ৩৮ রান যোগ হয়। জুটি ভাঙ্গে ইরফান ৭৯ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ৫২ রান করে খুশদিল শাহর বলে নাহিদুলের হাতে ধরা পড়ে। জাওয়াদ ও মাশরাফির ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রান আসে ৪৬। মাশরাফি ২২ বলে ২টি করে চার ও ছক্কা মেরে ২৬ রান করে তানভীরের বলে আফিফের হাতে ধরা পড়েন।
শুরুতেই পতন হওয়া ৩ উইকেটের একটি নেওয়া রিপন মণ্ডল এরপর আঘাত হানা শুরু করেন। একে একে তুলে নেন ৩ উইকেট। জাওয়াদকে আউট করেন ৪৬ রানে। তিনি ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৬০ বলে খেলে এই রান করেনে। তার শিকার হওয়া অপর দুই ব্যাটসম্যান সোহাগ গাজী ২ তানভীর হায়দার করেন ১৮ রান। লিজেন্ডস অপ রূপগঞ্জের শেষ ৫ উইকেট পড়ে ৩০ রানে।
আবাহনী ব্যাট করতে নেমে প্রথম চার ব্যাটসম্যান চলতি মৌসুমে দুই সফল ওপেনার এনামুল হক বিজয়, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মাহমুদুলল হাসান জয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাটেই সহজ জয়ের পথ তৈরি হয়। এই চার জনের সম্মিলিত অবদান ছিল ১৮৯ রান। গত কয়েকটি ম্যাচে টানা ব্যর্থ হওয়ার পর এনামুল হক বিজয় করেন ৩৩ রান। নাঈম শেখের ব্যাট থেকে আসে ৫৬ রান। এই দুই জনের উদ্বোধনী জুটিতে রান আসে ১১ ওভারে ৭২। জুটি ভাঙে বিজয় আউট হলে।
নাঈম শেখ লিগে অষ্টম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আউট হন ৫৬ রানে তানভীর হায়দারের বলে অতিরিক্ত ফিল্ডার আশিক-উল-আলম নাঈমের হাতে ধরা পড়ে। এই দুই জন আউট হওয়ার পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ ৫৪ রান যোগ করেন। ৩৫ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৩ রান করে আফিফ আউট হয়ে যান মুক্তার আলীর বলে সেই অতিরিক্ত ফিল্ডার আশিক-উল- আলম নাঈমের হাতে ধরা পড়ে।
আফিফ আউট হওয়ার পর আর বড় কোনো জুটি গড়ে না উঠলেও মাহমুদুল হাসান জয় ম্যাচের সর্বোচ্চ ৬৭ রান করে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়ে দলীয় ২১২ রানে আউট হন। তার ৭৬ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চার। তিনি আউট হওয়ার পর খুশদিল শাহ ও নাহিদুল ইসলাম আর কোনো উইকেটের পতন হতে দেননি। খুশদিল ২৫ বলে একটি করে চার ও ছক্কা মেরে ২২ রানে ও নাহিদুল ১০ বলে এক চারে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন।মুক্তার আলী ৩৮ রানে নেন ৩ উইকেট।
এমপি/এমএমএ/