লিওপার্ডসকে জিততে দেয়নি রূপগঞ্জ টাইগার্স
নবাগত ঢাকা লিওপার্ডসকে জিততে দেয়নি রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। আজ নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগের খেলায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা লিওপার্ডস ৮ উইকেটে ২৪৭ রান সংগ্রহ করে।
জবাব দিতে নেমে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব ৪৯.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অতিক্রম করে। ৪ ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্সের এটি ছিল দ্বিতীয় জয়।তাদের পয়েন্ট ৫। লিওপার্ডসের ছিল তৃতীয় হার।তাদের পয়েন্ট ১।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা লিওপার্ডসের ইনিংস গড়ে উঠ ওপেনার পিনাক ঘোষের ব্যটে ভর করে। পিনাক খেলেন ৭৯ রানের ইনিংস। দলীয় ৩৪ রানে ওপেনার সাব্বির হোসেন সিকদার ৯ রানে করে ফিরে যাওয়ার পর পিনাক ঘোষ ও জেম ১০২ রানের জুটি গড়েন ১৮.৪ ওভারে।
জেম ৫১ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৭ রান করে আলাহউদ্দিন বাবুর বলে সানজামুলের হাতে ধরা পড়েন।দলীয় ১২ রান পিনাক ঘোষও আউট হয়ে যান ২ ছক্কা ও ৬ চারে ১০২ বলে ৭৯ রান করে নাঈম ইসলামের বলে এরভিডব্লিউর শিকার হয়ে। ইয়াসিন আরাফাত মিশুর বলে লং অনে খেলে ৩ রান নিয়ে তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন ৬৮ বলে ৩ চারও ১ ছক্কায়।
এই দুই ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর দলের রানকে ২৪৭ পর্যন্ত নিয়ে যান মঈন খান ৩৬, মো. রাকিবুল হাসান নয়ন ২১ ও সোহারাওর্য়াী শুভ ১৯ রান করে। নাঈম ইসলাম ৩২, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৪৩ ও আলাহউদ্দিন বাবু ৬১ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় রূপগঞ্জ টাইহার্সকে কখনই শঙ্কায় পড়তে হয়নি। মুমিনুল হক ৭৫, আমানদ্বীপ খায়ের অপরাজিত ৫১, ইমতিয়াজ হোসেন ৪১, অধিনায়ক ইসলাম ইসলাম ৪০ রান করে দলকে ৪ বল হাত রেখেই ৫ উইকেটে ম্যাচ নিজেদের করে নেন।
রূপগঞ্জ টাইগার্সের উদ্বোধনী জুটিতে রান ৩৬ রানে আসার পর ইমরানুজ্জামান ২৬ রান করে আউট হয়ে যান সালাহউদ্দিন শাকিলের বলে জুনায়েদ সিদ্দিকীর হাতে ধরা পড়ে। ওপেনার ইমতিয়াজের সঙ্গে মুমিনুল হক দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৫.৫ ওভারে ৭৬ রান যোগ করেন। ইমতিয়াজ ৬৭ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ৪১ রান করে সালাহউদ্দিন শাকিলের বলে চাতুরাঙ্গা ডি সিলভার হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। মুমিনুল ও নাঈম ইসলাম তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৫ রান যোগ করেন ১৫.৪ ওভারে। ম্যাচ সেরা মুমিনুল ৯৪ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৭৫ রান করে মঈন খানের বলে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়েন। এবারের লিগে এটি তার তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে তিনি শাইন পুকুরের বিপক্ষে ৬২ ও মোহামেডানের বিপক্ষে ৭৪ রান করেছিলেন।
মুমিনুল আউট হওয়ার পর নাঈম ও আমানদ্বীপ জুটি গড়েন। জুটিতে ৪২ রান আসার পর নাঈম ইসলাম ৪০ রান করে সালাহউদ্দিন শাকিলের তৃতীয় শিকার হওয়ার পর আমনদ্বীপ ৪৩ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ী করে মাঠ ছাড়েন। সালাহউদ্দিন শাকিল ৪৩ রানে ৩ উইকেট।
এমপি/এমএমএ/