সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

চেয়ারের বিষয়ে ক্রীড়া পরিষদকে জানায়নি বিসিবি: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভাঙ্গা চেয়ারের বিষয়ে বিসিবি কখনও কিছু জানায়নি, জানালেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেল। গতকাল বুধবার (০১ ডিসেম্বর) ঢাকাপ্রকাশ মাল্টিমিডিয়া অনলাইন পোর্টালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভাঙ্গা চেয়ার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই টেস্টের প্রথম টেস্টের দিন বিষয়টি সবার নজরে আসে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খুবই গুরুত্ব দিয়ে সংবাদটি প্রচার করে। এতে করে বিসিবিও নড়েচড়ে বসে। তারা জরুরি ভিত্তিতে স্টেডিয়ামে চেয়ার বসানোর জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়। কিন্তু অনেকেই স্টেডিয়ামে এভাবে চেয়ারগুলোর ভগ্ন অবস্থার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে দায়ী করেছেন।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন,'ক্রিকেটের জন্য আলাদা করে স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দেওয়ার পর তা বিসিবির নিয়ন্ত্রণে। সব কিছুই তারা দেখাশুনা করে থাকে। চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের চেয়ারগুলোর অবস্থা আমারও নজরে এসেছে। কিন্তু তারা (বিসিবি) কখনো আমাদেরকে এগুলো ঠিক করে দেওয়ার জন্য বলেনি। যদি বলতো আমরা অবশ্যই করে দিতাম। না চাইলে আমাদের করার কী আছে? তারপরও যদি চায় আমরা করে দিতে পারি।'

তিনি আরও বলেন, দেশে যতো স্টেডিয়াম নির্মাণ হয়েছে, তা ক্রীড়া পরিষদ করে দিয়েছে। এগুলোর দেখভাল তারা করে থাকে। তবে ২০০০ সালে টেস্ট পরিবারের সদস্য হওয়ার পর শুধুমাত্র ক্রিকেটের জন্য আলাদা করে বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দেয় ক্রীড়া পরিষদ। এসব স্টেডিয়ামের দেখভালের দায়িত্ব বিসিবি নিয়ে নেয়। অন্য সব স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে একজন করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া আছে। যার দায়িত্বে থাকে তারা সংশ্লিষ্ট স্টেডিয়ামের দেখভাল করে। কিন্তু যেসব স্টেডিয়াম বিসিবির নিয়ন্ত্রণে সেসব স্টেডিয়ামে নেই কোনও প্রশাসক। এসব স্টেডিয়ামে বিসিবি থেকে একজন করে ভেন্যু ম্যানেজার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সব ধরনের রক্ষণাবেক্ষণও বিসিবিই করে থাকে।

জাহিদ আহসান রাসেল জানান, প্রথমে যেসব চেয়ার বসানো হয়েছিল তা চীন থেকে আনা হয়েছিল। সব মিলিয়ে একটি চেয়ার বসাতে খরচ হয়েছিল তিন হাজার পাঁচশ টাকা। এসব বসানো হয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ব্যবস্থাপনায়। এখন দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে চেয়ার বসানোর দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। এখানে এক একটি চেয়ার বসাতে সব মিলিয়ে খরচ হবে এক হাজার তিনশ টাকা করে।

প্রসঙ্গত, অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম নির্মাণ হয়েছিল ২০০৪ সালে। আর চেয়ার বসানো হয়েছিল ২০১১ সালের বিশ্বকাপের জন্য। চেয়ার বসানোর পর আর রক্ষাণাবেক্ষণ করা হয়নি।

আর্ন্তজাতিক ম্যাচ ছাড়াও এই স্টেডিয়ামে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছাড়া অবশ্য দর্শক মাঠেই আসেন না। আবার করোনার কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে মাঠে দর্শকই আসতে পারেনি। ফলে বিষয়টি সে সময় নজরে আসেনি।

এমপি/এসআইএইচ/কেএফ/

 

Header Ad
Header Ad

বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামে রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত, যা শারীরিকভাবে সক্ষম প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে, যারা অতিশয় বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন অথবা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভুগছেন, যাদের সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই, তাদের জন্য শরিয়ত সহজ বিধান রেখেছে। এই ধরনের ব্যক্তি রোজা রাখতে বাধ্য নন এবং তাদের জন্য বিকল্প হিসেবে ফিদিয়া প্রদানের সুযোগ রাখা হয়েছে।

আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলা কুরআনে বলেছেন: "হে মুমিনগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন কর। তবে তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় অথবা সফরে থাকে, তাহলে অন্য দিনে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আর যাদের জন্য রোজা কষ্টদায়ক, তারা প্রতিদিন একজন দরিদ্রকে খাবার প্রদান করবে।" (সূরা বাকারা: ১৮৩-১৮৪)

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, এটি বিশেষভাবে অতি বৃদ্ধ নর ও নারীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা রোজা পালনে অক্ষম। তাদের জন্য প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানোর বিধান রয়েছে (বুখারী: ৪৫০৫)।

ফিদিয়া আদায়ের নিয়ম:
যে ব্যক্তি রোজা রাখতে অক্ষম, তিনি প্রতিদিনের জন্য একজন দরিদ্রকে সদকায়ে ফিতরের পরিমাণ খাবার প্রদান করবেন অথবা সকাল-বিকেল পেট ভরে খাবার খাওয়াবেন। তবে, যদি কেউ স্বেচ্ছায় বেশি দান করতে চান, তা তার জন্য কল্যাণকর হবে।

ইসলাম একটি সহজ ও সহনশীল ধর্ম। যারা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে অক্ষম, তাদের ওপর আল্লাহ কোনো কঠোরতা চাপিয়ে দেননি। তাদের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদিয়া দেওয়া যথেষ্ট, যা ইসলামিক বিধানের সহজ ও বাস্তবসম্মত দিককে প্রতিফলিত করে।

 

Header Ad
Header Ad

শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার

ব্রিফ করছেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান (ইনসটে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি)। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

শিক্ষা সফরের ৪ বাসে টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে শিক্ষা ডাকাতির ঘটনায় আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে মো. মিজানুর রহমান নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- রংপুরের শফিকুল ইসলাম শরিফ (১৯), এবং রূপন চন্দ্র ভাট (২৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত ১ টি পিকআপ গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ প্রথমে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তারা স্থানীয় ডাকাত হিসেবে পরিচিত। গ্রেফতারকৃতদের মাধ্যমে যাচাই করে এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সদর এবং বাসান এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম শরিফ এবং রূপন চন্দ্র ভাটকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন এবং ডাকাতিতে কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুজন বর্তমানে পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে। অন্য ৪ জন বর্তমানে টাঙ্গাইল কারাগারে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্য ৫ জন গত শনিবার পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া থানায় একটি বাড়িতে ডাকাতি ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। তাদের শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে টাঙ্গাইলে আনা হবে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতের শেষদিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সোয়াইতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৪টি বাসে করে নাটোরের একটি পিকনিক স্পটের দিকে রওনা দেয়। বাসগুলোর মধ্যে প্রায় ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী, ৪০ জন অভিভাবকসহ মোট ১৮০ জন শিক্ষার্থী ছিলেন। বাসগুলো টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের ফুলমালির চালা এলাকায় পৌঁছালে, সড়কে গাছ ফেলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জন ডাকাত বাসে উঠে ডাকাতি চালায়। এ সময় তারা ১.৫ লাখ টাকা, ১.৫ ভরি স্বর্ণ এবং ১০টি স্মার্টফোন লুট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মারধরের শিকার হন ওই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর সাখাওয়াত হোসাইন রবিন (২৫) এবং অভিভাবক শহিদুল্লাহ তালুকদার (৩৯)। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

Header Ad
Header Ad

মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (৩ মার্চ) বিচারপতি সহিদুল করিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী পারভেজ হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, ২০১৫ সালে সম্পদের হিসাব দাখিল না করার মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ পাওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে সম্পদের বিবরণী দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়। ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল দুদকের পক্ষ থেকে মাহমুদুর রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়, যেখানে তার নিজের, স্ত্রীর ও নির্ভরশীলদের নামে থাকা সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ দাখিল করতে বলা হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে বিবরণী জমা না দেওয়ায় ওই বছরের ১৩ জুন দুদকের উপপরিচালক নূর আহম্মেদ গুলশান থানায় এ মামলা করেন।

হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে মাহমুদুর রহমান এই মামলার সাজা থেকে অব্যাহতি পেলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা রাখতে না পারলে কী করবেন?
শিক্ষা সফরের ৪ বাসে ডাকাতির ঘটনায় আরও ২ জন গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার
মাহমুদুর রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস
সাদিক এগ্রোর চেয়ারম্যান ইমরান গ্রেপ্তার  
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন
মিঠাপুকুরে স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ওসির বাড়িতে ডাকাতি: গুলি করে নিয়ে গেছে ৩টি গরু  
ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন দাবি সাংবাদিক ইলিয়াসের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সুজনের মানবেতর জীবন
হিমাগারে আলু রাখতে কেজিতে লাগবে পৌনে ৭ টাকা
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে আগুন, চারজনের মৃত্যু
হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি
আদালতে কাঁদলেন কামাল, বললেন আর আওয়ামী লীগ করব না (ভিডিও)
গাজীপুরে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন, কয়েক কারখানায় ছুটি
পুরো গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা ইসরায়েলের
পলাতক একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. ইউনূস
যাদের হাতে উঠল এবারের অস্কার  
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন আবরার ফাহাদ
পাকিস্তানে গাড়িতে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৬
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া