সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

চেয়ারের বিষয়ে ক্রীড়া পরিষদকে জানায়নি বিসিবি: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভাঙ্গা চেয়ারের বিষয়ে বিসিবি কখনও কিছু জানায়নি, জানালেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেল। গতকাল বুধবার (০১ ডিসেম্বর) ঢাকাপ্রকাশ মাল্টিমিডিয়া অনলাইন পোর্টালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভাঙ্গা চেয়ার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই টেস্টের প্রথম টেস্টের দিন বিষয়টি সবার নজরে আসে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খুবই গুরুত্ব দিয়ে সংবাদটি প্রচার করে। এতে করে বিসিবিও নড়েচড়ে বসে। তারা জরুরি ভিত্তিতে স্টেডিয়ামে চেয়ার বসানোর জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়। কিন্তু অনেকেই স্টেডিয়ামে এভাবে চেয়ারগুলোর ভগ্ন অবস্থার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে দায়ী করেছেন।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন,'ক্রিকেটের জন্য আলাদা করে স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দেওয়ার পর তা বিসিবির নিয়ন্ত্রণে। সব কিছুই তারা দেখাশুনা করে থাকে। চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের চেয়ারগুলোর অবস্থা আমারও নজরে এসেছে। কিন্তু তারা (বিসিবি) কখনো আমাদেরকে এগুলো ঠিক করে দেওয়ার জন্য বলেনি। যদি বলতো আমরা অবশ্যই করে দিতাম। না চাইলে আমাদের করার কী আছে? তারপরও যদি চায় আমরা করে দিতে পারি।'

তিনি আরও বলেন, দেশে যতো স্টেডিয়াম নির্মাণ হয়েছে, তা ক্রীড়া পরিষদ করে দিয়েছে। এগুলোর দেখভাল তারা করে থাকে। তবে ২০০০ সালে টেস্ট পরিবারের সদস্য হওয়ার পর শুধুমাত্র ক্রিকেটের জন্য আলাদা করে বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দেয় ক্রীড়া পরিষদ। এসব স্টেডিয়ামের দেখভালের দায়িত্ব বিসিবি নিয়ে নেয়। অন্য সব স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে একজন করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া আছে। যার দায়িত্বে থাকে তারা সংশ্লিষ্ট স্টেডিয়ামের দেখভাল করে। কিন্তু যেসব স্টেডিয়াম বিসিবির নিয়ন্ত্রণে সেসব স্টেডিয়ামে নেই কোনও প্রশাসক। এসব স্টেডিয়ামে বিসিবি থেকে একজন করে ভেন্যু ম্যানেজার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সব ধরনের রক্ষণাবেক্ষণও বিসিবিই করে থাকে।

জাহিদ আহসান রাসেল জানান, প্রথমে যেসব চেয়ার বসানো হয়েছিল তা চীন থেকে আনা হয়েছিল। সব মিলিয়ে একটি চেয়ার বসাতে খরচ হয়েছিল তিন হাজার পাঁচশ টাকা। এসব বসানো হয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ব্যবস্থাপনায়। এখন দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে চেয়ার বসানোর দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। এখানে এক একটি চেয়ার বসাতে সব মিলিয়ে খরচ হবে এক হাজার তিনশ টাকা করে।

প্রসঙ্গত, অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম নির্মাণ হয়েছিল ২০০৪ সালে। আর চেয়ার বসানো হয়েছিল ২০১১ সালের বিশ্বকাপের জন্য। চেয়ার বসানোর পর আর রক্ষাণাবেক্ষণ করা হয়নি।

আর্ন্তজাতিক ম্যাচ ছাড়াও এই স্টেডিয়ামে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছাড়া অবশ্য দর্শক মাঠেই আসেন না। আবার করোনার কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে মাঠে দর্শকই আসতে পারেনি। ফলে বিষয়টি সে সময় নজরে আসেনি।

এমপি/এসআইএইচ/কেএফ/

 

Header Ad
Header Ad

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি

ছবি: সংগৃহীত

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।


তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মূল আসামির পাশাপাশি নিরীহ মানুষকেও মামলায় আসামি করছে। এটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ ধরনের হয়রানি সহ্য করা হবে না। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে মামলার তদন্ত করবে এবং নিরীহ কাউকে হয়রানির শিকার হতে দেওয়া হবে না।”

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে তিন দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ শুরু হচ্ছে। এবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, “এবার আমরা অনাড়ম্বরভাবে নয়, বরং বাস্তবসম্মত ও কার্যকরভাবে পুলিশ সপ্তাহ পালন করতে চাই। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ানো হবে।”

তিনি আরও জানান, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পরিকল্পনা ও মতামত সংগ্রহ করে সেগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা সরাসরি পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে তাদের মূল্যবান মতামত ও পরামর্শ প্রদান করবেন।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মিরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ভারত এখন পাকিস্তানে সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যে বিশ্বের এক ডজনেরও বেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লিতে কূটনৈতিকদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এসব আলোচনা মূলত অভিযানের যৌক্তিকতা তুলে ধরতেই হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

কাশ্মির সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে গুলিবিনিময় অব্যাহত রয়েছে। কাশ্মিরে ব্যাপক ধরপাকড় চলছে এবং শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অতীতের সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার ইতিহাস তুলে ধরলেও এবারকার হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ এখনো প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান সরকার সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, যেহেতু ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ, তাই সামরিক সংঘাত বড় ধরনের বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।

ইরান ও সৌদি আরব মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানালেও, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতি তাদের মনোযোগ সীমিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৯ সালের ঘটনার তুলনায় এবার প্রমাণের স্বচ্ছতা কম, আর “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” নামে একটি অজ্ঞাত গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করলেও ভারত এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠনের ছায়া গোষ্ঠী বলে মনে করছে।

ভারতীয় সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ রয়েছে এবং মোদি সরকার “বড় ধরনের কিছু” করার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ জানিয়েছেন, রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা সরাতে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মিরপুর পল্লবীতে রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এজাজ জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ইতোমধ্যে অবৈধ অটোরিকশা তৈরির ওয়ার্কশপ ও চার্জিং স্টেশনের তালিকা প্রস্তুত করেছে। তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই যৌথ অভিযান চালানো হবে।

এছাড়া, ডিএনসিসি প্রশাসক আবাসিক এলাকাগুলোতে অবৈধ অটোরিকশা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধে বাড়ির মালিক সমিতিগুলোকেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে তিনি জলাধার রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নাগরিকদের জমি কেনার আগে মৌজা ম্যাপ যাচাই করার অনুরোধ জানান।

পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, সাতটি প্যাকেজে রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ শেষ হলে এলাকাটির জলাবদ্ধতা কমবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে। পাশাপাশি বর্ষায় বড় গাছ লাগিয়ে এলাকা সবুজায়নের উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির