চেয়ারের বিষয়ে ক্রীড়া পরিষদকে জানায়নি বিসিবি: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভাঙ্গা চেয়ারের বিষয়ে বিসিবি কখনও কিছু জানায়নি, জানালেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেল। গতকাল বুধবার (০১ ডিসেম্বর) ঢাকাপ্রকাশ মাল্টিমিডিয়া অনলাইন পোর্টালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ভাঙ্গা চেয়ার নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই টেস্টের প্রথম টেস্টের দিন বিষয়টি সবার নজরে আসে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম খুবই গুরুত্ব দিয়ে সংবাদটি প্রচার করে। এতে করে বিসিবিও নড়েচড়ে বসে। তারা জরুরি ভিত্তিতে স্টেডিয়ামে চেয়ার বসানোর জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়। কিন্তু অনেকেই স্টেডিয়ামে এভাবে চেয়ারগুলোর ভগ্ন অবস্থার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে দায়ী করেছেন।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন,'ক্রিকেটের জন্য আলাদা করে স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দেওয়ার পর তা বিসিবির নিয়ন্ত্রণে। সব কিছুই তারা দেখাশুনা করে থাকে। চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের চেয়ারগুলোর অবস্থা আমারও নজরে এসেছে। কিন্তু তারা (বিসিবি) কখনো আমাদেরকে এগুলো ঠিক করে দেওয়ার জন্য বলেনি। যদি বলতো আমরা অবশ্যই করে দিতাম। না চাইলে আমাদের করার কী আছে? তারপরও যদি চায় আমরা করে দিতে পারি।'
তিনি আরও বলেন, দেশে যতো স্টেডিয়াম নির্মাণ হয়েছে, তা ক্রীড়া পরিষদ করে দিয়েছে। এগুলোর দেখভাল তারা করে থাকে। তবে ২০০০ সালে টেস্ট পরিবারের সদস্য হওয়ার পর শুধুমাত্র ক্রিকেটের জন্য আলাদা করে বেশ কয়েকটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দেয় ক্রীড়া পরিষদ। এসব স্টেডিয়ামের দেখভালের দায়িত্ব বিসিবি নিয়ে নেয়। অন্য সব স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে একজন করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া আছে। যার দায়িত্বে থাকে তারা সংশ্লিষ্ট স্টেডিয়ামের দেখভাল করে। কিন্তু যেসব স্টেডিয়াম বিসিবির নিয়ন্ত্রণে সেসব স্টেডিয়ামে নেই কোনও প্রশাসক। এসব স্টেডিয়ামে বিসিবি থেকে একজন করে ভেন্যু ম্যানেজার দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সব ধরনের রক্ষণাবেক্ষণও বিসিবিই করে থাকে।
জাহিদ আহসান রাসেল জানান, প্রথমে যেসব চেয়ার বসানো হয়েছিল তা চীন থেকে আনা হয়েছিল। সব মিলিয়ে একটি চেয়ার বসাতে খরচ হয়েছিল তিন হাজার পাঁচশ টাকা। এসব বসানো হয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ব্যবস্থাপনায়। এখন দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে চেয়ার বসানোর দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। এখানে এক একটি চেয়ার বসাতে সব মিলিয়ে খরচ হবে এক হাজার তিনশ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম নির্মাণ হয়েছিল ২০০৪ সালে। আর চেয়ার বসানো হয়েছিল ২০১১ সালের বিশ্বকাপের জন্য। চেয়ার বসানোর পর আর রক্ষাণাবেক্ষণ করা হয়নি।
আর্ন্তজাতিক ম্যাচ ছাড়াও এই স্টেডিয়ামে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছাড়া অবশ্য দর্শক মাঠেই আসেন না। আবার করোনার কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে মাঠে দর্শকই আসতে পারেনি। ফলে বিষয়টি সে সময় নজরে আসেনি।
এমপি/এসআইএইচ/কেএফ/