সৌম্য-শান্ততে সন্তুষ্ট শ্রীধরন
শ্রীধরন যেন আকাশে থেকে একেবাওে মাটিতে নেমে এসেছেন। গত বছর দুবাইতে তিনি ছিলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দলের। এবার তিনি বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। যে দলের হারই নিত্য সঙ্গি। জয় আসে মাঝে। তিনি আসার পর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দল ম্যাচ খেলেছে ১০টি। যেখানে হারই আছে ৭টি। যে ৩টি জয় এসেছে. তা ছিল আইসিসির দূর্বল ও সহযোগি দেশগুলোর বিপক্ষে। ২টি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ১টি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।
শ্রীধরনের কাছে এটি অম্লমধুর । কিন্তু তিনি সে ভাবে দেখছেন না। তার কাছে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের গুরুত্ব খুব বেশি। তিনি বলেন, ‘আমরা গত ১৫ বছর পর সুপার টোয়েলভে প্রথম ম্যাচ জিতেছি। এর আগে জিতেছিলাম ২০০৭ সালে। এটা আমি খুবই চমৎকার বলে মনে করি। ছেলেরা চেষ্টা করে যাচেছ।’
তিনি আগামীর জন্য ভালো একটি দল গড়ার পথে আছেন বলে জানান। শ্রীধরন বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস ঠিক করার চেষ্টা করছি। বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ কোথায় যেতে চায়, কোথায় তাদের অবস্থান, তা খেলোয়াড়রা জানে। দলের ভীত গড়া হয়েছে বলে আমি মনে।’
দলের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে পারি, ভবিষ্যতের জন্য দলটা গড়ার চেষ্টা করছি আমর। দলে দক্ষতা সম্পন্ন খেলোয়াড়দেও সঙ্গে যদি আরও কিছু দক্ষতা সম্পন্ন খেলোয়াগড় যোগ করতে পারি তা’হলে ভবিষ্যৎয়ে আমরা খুব ভালো মানের একটি টি-টোয়েন্টি দল গড়তে পারব।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে অনেক টানা হেছড়া হলেও এখনো দাঁড় করানো যায়নি। কিন্তু শ্রীধরন তা মনে করেন না। তিনি মনে করেন উদ্বোধনী জুটি দাঁড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আপনি এখনো উদ্বোধনী জুটিতে আছেন। আমরা প্রথম ম্যাচে ৪৭ রান পেয়েছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ ওভাওে বিনা উইকেটে ২৬ রান ছিল।’
‘ওপেনিং জুটিকে স্থির দেখা যাচ্ছে। আমি মনে করি তাদের আরও খেলার সময় দিলে, তারা আরও অভিজ্ঞ হবে এবং তারা যত বেশি একসঙ্গে খেলবে, বিভিন্ন প্র্রতিপক্ষ এবং বিভিন্ন কন্ডিশনের বিরুদ্ধে খেলবে, তারা শিখবে। তাই আমি মনে করি এটি শান্ত এবং সৌম্য সরকারের জন্য একটি শেখার প্রক্রিয়া এবং আমি মনে করি তারা এটা পারবে,’ যোগ করেন তিনি।
এমপি/এমএমএ/