প্রস্তুতি ম্যাচে দুইবার ব্যাট করে সাকিবের হাফ সেঞ্চুরি!
প্র্যাকটিস ম্যাচতো প্র্যাকটিস ম্যাচই। এর তেমন কোনো গুরুত্ব থাকে না। জয়-পরাজয়ও মুখ্য নয়। তবে মুখ্য থাকে মূল টুর্ণামেন্ট শুরু হওয়ার আগে এ রকম প্রস্তুতি ম্যাচে দলের খেলোয়াড়রা কেমন করেন। টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দল লাল-সবুজ দুই দলে ভাগ হয়ে নিজেরাই খেলেছে প্রস্তুতি ম্যাচে। সেখানে সাকিবের নামের পাশে ৩৭ বলে ৫৩ রান। দেখে মনটা যে কারও খুশিতে ভরে উঠবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র তা ছিল না। সাকিব এই রান করেছেন দুইবার ব্যাট করে। যেহেতু প্রস্তুতি ম্যাচ। তাই একবার আউট হওয়ার পর সাকিব আবার ব্যাট করতে নামেন। প্রথমে তিনি ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বলে ১৭ রান করেন। দ্বিতীয়বার ব্যাট করতে নামেন সাতে। এবার ২৪ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। প্রথমবার তিনি দুইটি চার ও একটি ছক্কা মারার পর দ্বিতীয়বার তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি ছক্কা।
সাকিব দুই দফায় ফিফটি করতে পারলেও এনামুল হক বিজয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুব কিন্তু দুইবার ব্যাট করেও সফল হতে পারেননি একবারও। এনামুল হক বিজয় প্রথমে ওপেনিং করতে নেমে চার রান করার পর দ্বিতীয়বার পাঁচে নেমে ১০ বলে করেন ১৯ রান। আফিফ ছিলেন সবুজ দলের অধিনায়ক। তিনি প্রথমবার ওয়ান ডাউনে নেমে ৮ রান করেন। দ্বিতীয়বার ছয়ে নেমে ১ রান করে রানআউট হয়ে যান।
শেখ মেহেদি হাসানও দুইবার ব্যাট করেছেন। তবে তারটা কিছুটা ব্যতীক্রম ছিল। তিনি দুই দলের হয়েই ব্যাট করতে নামেন। লাল দলের হয়ে ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নেমে কোনো রানই করতে পারেননি। পরে সবজু দলের হয়ে সাতে ব্যাট করতে নেমে খেলেন মারমুখি ইনিংস। হাঁকান মাত্র ১৬ বলে সাত চারে অপরাজিত ৩১ রান।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনেরও নাম ছিল দুই দলের সেরা একাদশে। সাকিবের দলের হয়ে তিনি ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। পরে আফিফের দলের হয়ে পাঁচে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বরে এক ছক্কা ও তিন চারে ২৬ রান করেন। তিনি আবার পরে এই দলের বিপক্ষে বোলিংও করেন। কিন্তু ২ওভারে ১৩ রান দিয়ে কোনো উইকেটে পাননি।
ব্যাট হাতে একবার করে ব্যাটিং করতে নেমে সাকিবের দলের হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ১৭ বরে দুইটি করে চার ও ছক্কা মেরে অপরাজিত ৩০ রান, ওপেনার পারভেজ ইমন ২১ বলে দুইটি চারে ২১ রান, মুশফিকুর রহিম ১৭ বরে একটি করে চার ও ছয় মেরে ২২ রান, মাহমুদউল্লাহ ৯ বলে এক ছক্কায় ১২ রান করেন। আফিফের দলের হয়ে একবার করে ব্যাটিং করতে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজ ইনিংসের উদ্বোধন করে ২১ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ২৯ রান, মো. রবিন ২৪ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে ২৪ রান, তানজিদ তামিম ২১ বলে দুই চারে ১৯ রান করেন।
বল হাতে লাল দলের হয়ে সাকিব ৪ ওভারে ২৯ রানে ও হাসান মুরাদ ২ ওভারে ১০ রানে দুইটি করে উইকেট নেন। ৪০ রানে ১ উইকেট নেন আল আমিন। সবুজ দলের হয়ে নাসুম ৪ ওভারে ২৩ রানে ও তাসকিন ৪ ওভারে ৪২ রানে নেন দুইটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ ও আশিক। এবাদত ৪ ওভারে ২৭, মেরিজা ৩ ওভারে ১৭ ও আশিক ২ ওভারে ১৯ রান দেন।
এ রকম প্রস্তুতি ম্যাচে ১৫ রানে জয় পেয়েছে সাকিবের লাল দল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লাল দল ৭ উইকেটে ১৬৫ রান করে। জবাব দিতে নেমে সবুজ দল ৬ উইকেটে করে ১৫০ রান। আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ প্রস্তুতি ম্যাচ। এরপর ২৩ আগস্ট এশিয়া কাপের উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত উড়াল দেবে বাংলাদেশ দল।
এমপি/এএস