মাত্র ১ রানে জয় নিউজিল্যান্ডের
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতেও জিতল নিউজিল্যান্ড। তবে হেসেখেলে নয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জিততে হয়েছে কিউইদের। আর লড়াইটা যে শেষ ওভার পর্যন্ত গড়াবে এবং মাত্র ১ রানের জয় হবে সেটা হয়তো ভাবেনি ক্রিকেটপ্রেমীরা।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুভ সূচনা করেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। টপ-অর্ডার ও মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে দলীয় স্কোর দাঁড়ায় ৩৬০ রান। আর এ পাহাড় সমান রানটি নিউজিল্যান্ড করতে পারে মার্টিন গাপটিলের শতক আর হেনরি নিকোলসের অর্ধশতকে ভর করে।
গাপটিল ১২৬ বলে ১৫টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন ১১৫ রান। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৭তম শতক। আর নিকোলস ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি ইনিংসটি সাজান ৭টি চার ও ৩টি ছয়ে।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের পাহাড় সমান ৩৬০ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নির উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। বলবার্নির পর অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনও লম্বা সময় এক প্রান্ত আগলে রাখতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২৬ রানের মাথায় দশম ওভারে তিনিও আউট হন। ফলে ৬২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েন আইরিশরা।
তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে পল স্টার্লিংয়ের সঙ্গে জুটি গড়েন হ্যারি টেক্টর। ১৫০ বলে ১৭৯ রান করে আইরিশদের জয়ের স্বপ্ন দেখান তাঁরা। ৩৫তম ওভারে ১০৩ বলে ১২০ রান করে স্টার্লিং আউট হয়ে ফিরলে জুটি ভাঙে। তখনও আইরিশদের জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা টেক্টর। শেষ ১০ ওভারে দের জয়ের জন্য আয়ারল্যান্ডের দরকার ৮২ রান। হাতে আছে ৫ উইকেট। কিন্তু ৪৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১০৮ রানে টেক্টর আউট হয়ে মাঠ ছাড়লে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় দলকে। কারণ ম্যাচটির ফলাফল কার পক্ষে যাবে তা বুঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। আয়ারল্যান্ডকে জিততে হলে ৪০ বলে করতে হবে ৫১ রান। অপরদিকে নিউ জিল্যান্ডের প্রয়োজন উইকেট অথা ডট বল।
এমন পরিসংখ্যানের ম্যাচে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন শেষ দিকের আইরিশ ব্যাটসম্যানরা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন মাত্র ১০ রান। উইকেটে গ্রাহাম হিউম এবং ক্রেইগ ইয়ং। সেই ওভারে ৯ রান নিতে পারেন তারা। ফলে মাত্র ১ রানের জন্য পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় আয়ারল্যান্ডকে।
উল্লেখ্য, প্রথম দুই ম্যাচেও লড়াই করেই জিততে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে।
এসআইএইচ