তামিমের নেতৃত্বের প্রশংসায় মিরাজ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ানডে ফরম্যাটে যেখানে বাংলাদেশের সাফল্য সেখানে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র বাকি দুই ফরম্যাটে। হারের অতল গহবরে নিমজ্জিত। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে সাফল্য, যে উত্থান তার শুরুটা ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল। এরপর ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেছিল সেমিফাইনালে। বাংলাদেশের এ রকম সাফল্যে নেতা ছিলেন মাশরাফি। তার হাত ধরেই বাংলাদেশ ওয়ানডেতে উন্নতির শিখরে উঠছে। মাশরাফির পর নেতৃত্বের বাটন এসে পড়েছে তামিম ইকবালেল হাতে। যোগ্য উত্তরসূরির মতো তিনি মাশরাফির সাফল্য ধরে রেখে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের যাচ্ছে তাই রকমের মতো বাজে অবস্থা। কিন্তু ওয়ানডেতে সমুজ্জল। মাশরাফি ৮৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পেয়েছেন ৫০টিতে। তামিম এখন পর্যন্ত ২২টিতে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ের পাল্লা ভারী করেছেন ১৩টিতে জিতে। অবশ্য শতকরা হিসেবে তামিম ইতিমধ্যে সবাইকে ছাড়য়ে গেছেন। তার শতকরা জয়ের হিসেব ৫৯.০৯। এরপর আছেন মাশরাফি। তার শতকরা জয়ের হিসাব ৫৮.১৩। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ যেভাবে উইন্ডিজকে উড়িয়ে দিয়েছে, তাতে করে আজকের ম্যাচে তামিম ইকবাল নিজের সাফল্যের পাল্লাকে আরও ভারী করে তোলারই কথা।
তামিমের নেতৃত্বের প্রশংসা সর্বত্রে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথম ম্যাচে সেরা একাদশ নির্বাচনে এনামুল হক বিজয়কে না নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তকে খেলানেরা মাঝে ছিল অসম্ভব সাহসীকতার পরিচয়। তারপর সেরা একাদশে বাংলাদেশ যেখানে সাত থেকে আটজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলে সেখানে তামিম নিয়েছিলেন ছয়জন ব্যাটসম্যান। তামিমের এ রকম নেতৃত্বগুণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।
মঙ্গলবার (১২ জুলাই) গায়ানাতে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। তামিম ভাই মাশাআল্লাহ খুবই ভালো ক্যাপ্টেন্সি করেছেন এবং সাকসেসও। সাউথ আফ্রিকার কন্ডিশনে আমরা সিরিজ উইন করেছি। পেছন থেকে উনাকে সাপোর্ট করছেন সবাই। বোলার বলেন, ফিল্ডার বলেন, ব্যাটসম্যান বলেন, সবাই সাপোর্ট করছেন। এ জন্য তার জন্য ইজি হয়ে যাচ্ছে। সবাই যদি যার যার রোলটা পালন করতে পারে তখন ক্যাপ্টেনের জন্য ইজি হয়ে যায়।’
ছয় ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলা তামিম বলেন, ‘সাকিব ভাই থাকলে এই জিনিসটা হয় না। তিনি যখন খেলছেন না আমি মনে করি আমাদের জন্য একটা সুযোগ আমরা যদি ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব সহকারে খেলতে পারি ভালো হবে। সে (সাকিব) খেললে আমাদের জন্য সব একটা অ্যাডভান্টেজ থাকে। যেহেতু খেলছে না সেজন্য একটা ওয়ে বের করতে হবে কিভাবে ভালো খেলতে হবে। এজন্য আমার একটু বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। আমি লাস্টের দিকে লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করি। আমার ফোকাস বেশি থাকতে হবে। আমি টিমের জন্য রোল পালন করতে পারি। আমার কাছে টিম ৩০/৪০ টা রান আশা করে। আমি ওই রকম দিতে পারি, তখন হয়তো একটু অ্যাডভান্টেজ পাবে টিম।’
উইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে ম্যাচ ওয়ানেড বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ নয়। তামিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় শীর্ষে ছিল। সম্প্রতি সেই অবস্থান হারিয়ে দুইয়ে নেমে এসেছে। ১৮ ম্যাচে ১২০ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দুইয়ে। সমান ম্যাচে ১২৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ইংল্যান্ড।
এমপি/এসআইএইচ