এশিয়া কাপ ক্রিকেট আয়োজনে আবার বাংলাদেশের নাম!
হঠাৎ করে শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠায় দেশটিতে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে আবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। সূচি চুড়ান্ত না হলেও ছয় জাতির এই আসর শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ২৭ আগস্ট থেকে। এখন সেখানে আবার বিকল্প ভেন্যু হিসেবে বাংলাদেশকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ভারতের বেশ কয়েকটি গনমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে এ রকম সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে বিসিবি কিছুই জানে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটে মে মাসে। দেশটিতে দেখা দেয় অর্থনৈতিক মন্দাভাব, খাদ্য সামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাব। আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দ্রা রাজাপাকসে পদত্যাগ করেন। দায়িত্ব গ্রহণ করেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সেই সময় বাংলাদেশে এসে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলে যায় শ্রীলঙ্কা। তখন রব উঠেছিল শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে। বিকল্প ভেন্যু হিসেবে উঠে আসে বাংলাদেশের নাম। তখন সময় থাকায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড আয়োজনের হাল ছাড়েনি। তারা সময় চায়। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল তা মেনেও নেয়। এরপর পুরোপুরি না হলেও ধীরে ধীরে দেশটিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার পর সেখানে মাত্রই দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়ার মতো নাক উঁচু করা দেশটি। ভারতের নারী ক্রিকেট দলও শ্রীলঙ্কা সফর করছে। আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ শুরু হওয়ার অপেক্ষায়। পাকিস্তান ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কার গিয়ে পৌঁছেছেও। কিন্তু গত এক সপ্তাহে আবার শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। আন্দোলনরত বিভোক্ষকারীরা প্রথমে রাষ্ট্রপতি ভবন পরে প্রধানমন্ত্রীর ভবনও দখল করে নেন। বিক্ষোভের মুখে পড়ে রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পালিয়ে যান। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতিতেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ চলছে। অবস্থান করা ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল ও পাকিস্তান পুরুষ দলকে নিজ নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ড দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যায়নি। কিন্তু তারপরও এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে এসিসি শঙ্কায় পড়ে গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কার এ রকম পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দেশের ক্রিকেটার সেখানে খেলতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তারা তাদের আপত্তির কথা নিজ নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডকেও জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়।
গণমাধ্যমের সংবাদে আরো উল্লেখ করা হয়, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডেরও আয়োজন নিয়ে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এবারের আসর হবে অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। অংশ নেবে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাছাইপর্ব খেলে আসা একটি দেশ। এই দেশ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কুয়েত ও হংকংয়ের যেকোনও এক দেশ।
এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দনি চৌধুরী সুজন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কোনো কিছুই জানি না। আমাদের সঙ্গে এ রকম কোনো আলোচনাও হয়নি।
যদি শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা আয়োজন না করে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কতটুকু?- এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাহী বলেন, আগে ভেন্যু বাতিল হতে হবে। পরে তো আসবে বাংলাদেশের নাম বা বিকল্প ভেন্যুর নাম।
এমপি/এসআইএইচ