সিপিএলে সাকিবের ঠিকানা গায়ানা
বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে যে কয়টি পরিচিত মুখ আছে সাকিব আল হাসান তাদের অন্যতম একজন। আইপিএল, বিগব্যাশ থেকে শুরু করে সিপিএলে কিংবা অন্য কোনো ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট, এমন কোনো আসর নেই যেটিতে সাকিব খেলেননি। এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হওয়ার পরও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর আইপিএলে এবার তিনি অবিক্রিত থেকে যান। যা ছিল রীতিমতো অবাক করার মতো। এমনকি সাকিব যাতে বিক্রি হন, সেজন্য দ্বিতীয়বার তাকে নিলামে তুলা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তার প্রতি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ প্রকাশ করেননি। অথচ এই আইপিএল খেলবেন বলে সাকিব সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশের টেস্ট দল থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। এ নিয়ে জল কম ঘোলা হয়নি। এরপর সাকিব আর কোনো ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলেননি। মোটামুটি লম্বা একটা বিরতি। সেই সাকিব আবার ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলতে যাচ্ছেন। সিপিএলের
(ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ) আসন্ন আসরে তাকে খেলতে দেখা যাবে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়ার্সের হয়ে।
সিপিএল খেলার জন্য সাকিবকে ইতিমধ্যে বিসিবির পক্ষ থেকে অনাপত্তি পত্র দেওয়া হয়েছে। মূলত এই সময় বাংলাদেশ দলের কোনো খেলা না থাকায় সাকিবকে অনাপত্তি দিতে বিসিবির কোনো বাঁধা ছিল না। কিন্তু বিসিবির অনাপত্তি পেলেও সাকিব শুরু থেকে খেলতে পারবেন না সিপিএলে। কারণ সিপিএল শুরু হবে ৩১ আগস্ট। শেষ হবে ১ অক্টোবর। কিন্তু সাকিব সিপিএলে যোগ দিতে পারবেন এশিয়া কাপ শেষে। এশিয়া কাপ শুরু হবে ২৭ অগাস্ট। শেষ হবে ১১ সেপ্টেম্বর। এরপর সাকিব খেলতে যাবেন সিপিএলে। ১ অক্টোবর সিপিএলে শেষ হবে। সিপিএলে শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাকিবকে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দলের সঙ্গে উড়াল দিতে হবে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ১৬ অক্টোবর। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ নিউ জিল্যান্ডে একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নেবে। আসরের তৃতীয় দল পাকিস্তান। এই আসর শুরু হবে ৭ অক্টেবার। শেষ হবে ১৪ অক্টোবর। বর্তমানে সাকিব ছুটিতে আছেন। তিনি উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছুটি নেয়ার পাশাপাশি ছুটি নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে সফর থেকেও। এই মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ দল যাবে জিম্বাবুয়ে। সেখানে তারা তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও একদিনের সিরিজ খেলবে। তাই বলা যায় ছুটি শেষে সাকিব মাঠে ফেরার পর থাকবেন টানা খেলার মাঝে।
সিপিএলে সাকিব নিয়মিত মুখ। ২০১৯ সালে তিনি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন রাখার দায়ে আইসিসি তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। ফলে সেই বছর তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল। এবার তাকে গায়ানা সরাসরি সাইনিংয়ের মাধ্যেমে দলে নিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ দলও রয়েছে গায়ানাতে।
সিপিএলে গায়ানা সাকিবের তৃতীয় দল। এর আগে তিনি জ্যামাইকা তালাওয়াস এবং বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে খেলেছেন। দুই দলের হয়েই শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছিলেন সাকিব। এবার গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়ার্সকে তিনি কি উপহার দেন, সেটাই দেখার বিষয়।
এমপি/এসআইএইচ