মিরাজের পছন্দ উইন্ডিজ!
উইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ তাদের প্রিয় ফরম্যাটে এসে অবশেষে জয় পেয়েছে। তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজে উইন্ডিজকে দাঁড়াতেই দেয়নি। ৯ উইকেটে মাত্র ১৪৯ রানে আটকে রেখে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় ৬ উইকেটে জিতে। বাংলাদেশের এমন অর্জন সম্ভব হয়েছে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।
টস জিতে অধিনায়ক তামিম ইকবাল বোলারদের হাতে বল তুলে দেওয়ার পর তার যোগ্য প্রতিদান পান তাদের কাছ থেকে। যেমন পেসাররা ভালো বোলিং করেছেন, তেমনি স্পিনাররাও।
ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ। তার ৫ ওভারের প্রথম স্পেলে তিনি রান দেন মাত্র ৩। অন্যদিকে নাসুমের সঙ্গে আরেক প্রান্তে বোলিং সূচনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি তার প্রথম বলেই তুলে নেন উইকেট। শুরুর এই ধাক্কা পরবর্তীতে উইন্ডিজের ব্যাটাররা আর কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ফলে ৪১ ওভারের ম্যাচে অলআউট না হলেও উইন্ডিজ ১৪৯ রানে আটকা থাকে।
বাংলাদেশের হয়ে শুরুটা নাসুম ও মোস্তাফিজ করলেও মাঝে ঝড় তুলেন মিরাজ ও শরিফুল। দুজন মিলে নেন ৭ উইকেট। শরিফুল ৩৪ রানে নেন ৪ উইকেট। মিরাজের দখলে ছিল ৯ ওভারে ৩৬ রানে ৩ উইকেট। ৪১ ওভারের ম্যাচে একজন মাত্র বোলার ৯ ওভার বোলিং করার সুযোগ ছিল। সেই বোলার ছিলেন মিরাজ। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মিরাজ এ নিয়ে চারবার ম্যাচ সেরা হয়েছেন। এর মধ্যে তিনবারই প্রতিপক্ষ ছিল উইন্ডিজ। আগের দুইবার ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ঘরের মাঠে। দুইবারই উইকেট পেয়েছিলেন ৪টি করে। প্রথমে ২০১৯ সালে সিলেটে ২৯ রানে, পরেরবার ২০২১ সালে মিরপুরে ২৫ রানে। মিরপুরের বোলিংই তার ক্যারিয়ারের সেরা।
গায়ানাতে মিরাজ ৩ উইকেট পেলেও তার এক একটি শিকার ছিল বেশ বড়সড়। প্রথমেই আউট করেছিলেন ওপেনার মারমুটে কাইল মায়ার্সকে। এরপর অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও রভম্যান পাওয়েলকে।
ম্যাচসেরা পুরস্কার হাতে নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে গত ১০ দিন আমাদের পক্ষে অনুশীলন করা সম্ভব হয়নি। ওয়ানডেতে আমরা খুব ভালো খেলি। সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছি। আমরা জানি কী করতে হবে।’
নিজেকে মেলে ধরা নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘উইকেট ধীরগতি সম্পন্ন ছিল। টার্ন ছিল। আমি সঠিক জায়গায় বোলিং করার চেষ্টা করেছি। কন্ডিশনকে কাজে লাগাতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে।’
এমপি/এসজি/