মাহমুদউল্লাহর দিকে তামিমের তীর!
এক সময় বাংলাদেশ দল ছিল পঞ্চ পাণ্ডবের। মাশরাফির বিদায়ে (যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি বিদায় নেননি) তা নেমে এসেছে চারে। এই চারজনের তিনজন আবার তিন ফরম্যাটে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। টেস্টে সাকিব, ওয়ানডেতে তামিম ও টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বাইরে দৃশ্যমান না হলেও ভেতরে ভেতরে তিনজনের মাঝে বেশ ফারাক বা দূরত্ব আছে। উইন্ডিজ সফরে তিনজনেই আবার একটি করে ফরম্যাট খেলছেন না। মাহমুদউল্লাহ টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন। তামিম ইকবাল ৬ মাসের জন্য ছুটিতে আছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে। সাকিব ছুটি নিয়েছেন সফরের ওয়ানডে সিরিজ থেকে। যে কারণে অধিনায়কের কাছে একটি প্রশ্ন চলে আসে-না খেলা ক্রিকেটারকে নিয়ে। কিন্তু সেখান থেকে সরাসরি কোনো জবাব আসে না। অনুপস্থিতিটাকে এক একজন অধিনায়ক স্বাভাবিকভাবে নিয়েই ব্যাখ্যা দেন। যেমন তামিম ইকবালের টি-টোয়েন্টি না খেলার পেছনে কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহরও দায় আছে বলে ক্রিকেট পাড়ায় গুঞ্জন আছে। আবার তামিম ইকবালের এভাবে ছুটিতে থাকা নিয়েও মাহমুদউল্লাহকে কখনও সেভাবে আফসোস করতে দেখা যায়নি। যেখানে তামিমের অনুপস্থিতিতে আবার দল ধুকছেও।
সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ উইন্ডিজ সফরে দলকে জয় এনে দিতে না পারলেও তামিম ইকবাল কিন্তু ঠিকই জয় এনে দিয়েছেন। যে জয়ে কেটেছে ঘোর অমানিশা। মিলেছে আলোর সন্ধান। কিন্তু তারপরও এমন জয়ে তামিম ইকবাল দলের ফিল্ডিং নিয়ে সরাসরি অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। ক্যাচ ফেলা হয়েছে একাধিক। সেই সুযোগে উইন্ডিজের শেষ জুটি সিলস ও ফিলিপ ৩৯ রান যোগ করেন। তামিম মনে করেন, ক্যাচগুলো ধরতে পারলে ১১৫ রান তাড়া করতে হতো তাদের। যে কয়টি ক্যাচ পড়েছে তার দুইটিই পড়েছে মাহমুদউল্লাহর হাত থেকে। তিনি সরাসরি মাহমুদউল্লাহর নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘ভালো দলের বিপক্ষে এই ক্যাচগুলো ছাড়াটা মূল্যবান হয়ে দাঁড়াবে। অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই বলছি, এটা নিয়ে আমি চিন্তিত। এটা বন্ধ হতে হবে, কমে আসতে হবে। ক্যাচগুলো ধরলে আমরা হয়তো এই ম্যাচে ১১৫ রান তাড়া করতাম। সমস্যা কোথায় খুঁজে বের করতে হবে। বারবার দেখবেন একই মানুষের হাত থেকে ক্যাচ পড়ছে, এটা ভালো নয়।’
এমপি/এসআইএইচ