ম্যাচ ভাগ্য কী বদলাবে বাংলাদেশের!
উইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলে দুইটি করে চারটি ম্যাচ খেলেছে। জয় পায়নি একটিতেও। একইভাবে এই চার ম্যাচে বাংলাদেশ একটিতেও টস জিততে পারেনি। অথচ ক্রিকেট খেলায় টস জেতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। অবশেষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশের দিকে টস মুখ তুলে চেয়েছে। টস জিতে মাহমুদউল্লাজহ নিজের পছন্দ মতো সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন। বেছে নিয়েছেন ব্যাটিং। টস ভাগ্য বাংলাদেশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছে। এবার যদি ম্যাচ ভাগ্য মুখ তুলে তাকায়। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান।
বাংলাদেশের এই ইনিংস গড়ার কারিগর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও লিটন দাস। আফিফ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করেই আউট হয়ে যান। লিটন দাস এক রানের জন্য বঞ্চিত হয়েছেন ষষ্ট হাফ সেঞ্চুরি থেকে। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ করেন ২২ রান।
বাংলাদেশের নড়বড়ে উদ্বোধনী জুটিকে এই ম্যাচে ব্যাপক অর্থে সফল বলা না গেলেও জুটিতে ১৫ বলে ৩৫ রান, অনেক বড় অর্জনই। কিন্তু নতুন করে উদ্বোধনী জুটিতে নিয় আসা এনামুল হক প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি ১০ রানে আউট হয়ে। এনামুল আউট হলেও পাওয়ার প্লের ব্যবহার বেশ ভালোই করছিলেন লিটন দাস। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই সাকিব ৫ রান করে ফিরে গেলে বাংলাদেশ কিছুটা চাপে পড়ে যায়। এই চাপ বাংলাদেশ সামলে উঠে লিটন-আফিফের তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭.২ ওভারে ৫৭ রান এনে দিলে। হাফ সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা লিটন দাস জুনিয়র ওয়ালসকে এক্সটা কাভার দিয়ে মেরে খেলতে গিয়ে পয়েন্টে আকিল হোসেনের হাতে ধরা পড়েন। লিটন আউট হওয়ার পর আফিফ ও মাহমুদউল্লাহ চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৯ রান এনে দেন ৫.৩ ওভারে। মাহমুদউল্লাহ ২০ বলে ২২ রান করে জুনিয়র ওয়ালসের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন। মাহমুদউল্লাহ রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। একই ওভারে আফিফ হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান। তিনি ৩৮ বলে ২ চার ও ছয় মেরে ৫০ রান করেন। আফিফ আউট হওয়ার পর শেষ ৭ বলে মোসাদ্দেক (৬ বলে অপরাজিত ১০) ও নুরুল হাসান (২ বলে অপরাজিত ২ রান) ১৩ রান করেন। ওয়ালস জুনিয়র ২৫ রানে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন স্মিথ ও শেফার্ড।
এমপি/এএস