সিরিজ বাঁচানোর মিশনে নামবে টাইগাররা
সেন্ট লুসিয়া থেকে ডোমিনিকা যেতে আটলান্টিকে মহাসাগরের উত্তাল ঢেউয়ে পড়ে নাজুক পরিস্থিতির মুখে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে তার স্থায়ীত্ব ছিল প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার মতো। সেই পরিস্থিতি বাংলাদেশ দল কাটিয়ে উঠেছে। কিন্তু ২২ গজে বাংলাদেশ দলের যে নাজুক অবস্থা তার অবসান হবে কিভাবে? একটি করে ম্যাচ খেলছে, আর বিপর্যয় জগদ্দল পাতরের মতো চেপে বসছে।
একটি ম্যাচ যায়। ম্যাচ শেষে আশার ফানুস উড়ানো হয় পরের ম্যাচকে উদ্দেশ্য করে। সেই পরের ম্যাচ আসে ঠিকই কিন্তু চিত্রনাট্য আর বদলায় না। আজ বাংলাদেশ দলর আরেকটি চিত্রনাট্য। স্থান গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম। সেখানে কী লেখা হবে কেউ জানে না? খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায়।
চিত্রনাট্য লেখা না হলেও বিষয়বস্তু কিন্তু চুড়ান্ত হয়ে আছে। উইন্ডিজের জন্য সিরিজ জেতার আর বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর। তিন ম্যাচর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের ব্যাটিং ( ১৩ ওভারে ১০৮/৫) ব্যর্থতাকে সাক্ষী রেখে ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে হার মেনেছিল ৩৫ রানে। আজ জিতলেই সিরিজ উইন্ডিজের। বাংলাদেশ জিতলে সিরিজে সমতা। আর বৃষ্টি এসে খেললে ম্যাচ পরিত্যক্ত, এটি হলে সিরিজ হবে উইন্ডিজের। বাংলাদেশ কী সিরিজ উইন্ডিজের কাছে গচ্চা দিয়ে আসবে না কি রক্ষা করতে পারবে? ২০১৮ সালে কিন্তু বাংলাদেশ সিরিজ জিতেই এসেছিল। সেই বার তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ দুইটি আবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায়।
২২ গজে বাংলাদেশ দলের যে ব্যর্থতা তার মূলে রয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতা। সর্বশেষ ম্যাচে আবার ব্যাটিং ব্যর্থতা মোটামুটি কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল। কিন্তু সেই ম্যাচে আবার বোলিং ব্যর্থতা প্রকট ছিল। এই কারণে উইন্ডিজের ব্যাটাররা ৫ উইকেটে রান সংগ্রহ করেছিল ১৯৩ রান। বাংলাদেশের জবাব ছিল ৬ উইকেটে ১৫৮। তবে সাফল্য পেতে প্রয়োজন ব্যাটিং-বোলিংয়ের যুগলবন্দি সাফল্য।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘অনেক সময় ওপেনাররা ভালো শুরু করার পরও মিডল অর্ডার সেটা টেনে নিয়ে নাও যেতে পারে। তারপরও কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। আগের ম্যাচে সাকিব যে রকম একটা ইনিংস খেলল। আমরা ১৬০ এর কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। এ রকম একজনকে করতে হবে। সঙ্গে কয়েক জনকে ১৫, ২০, ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলতে হবে। সেটা শুরুতে একজনকে খেলতে হবে এবং শেষে আরেকজনকে। তাহলে হয়তো আমরা ধারাবাহিকভাবে ১৬০-১৭০ করতে পারব।’
বোলারদের নিয়ে মাহমুদউল্লাহর ক্যামও থেরাপি হলো, ‘আমাদের বিশ্বাস ব্যাটসম্যানরা যদি ধারাবাহিকভাবে ১৬০-১৭০ রান করতে পারে বোলাররা সেটা ডিফেন্ড করতে পারবে। হয়তো আগের ম্যাচে পেস বোলাররা ভালো করতে পারেনি। কিন্তু অনেক ম্যাচেই কিন্তু বোলাররা প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকে রাখতে পেরেছে।’
এদিকে আজ গায়ানাতে অন্য রকম এক ভরসা খোঁজে পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এই গায়ানাতে আছে বাংলাদেশের সুখ স্মৃতি। তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছিল দুইটিতে। একটি ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং অপরটি ২০১৮ সালে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে উইন্ডিজের বিপক্ষে। আজ যদি সেই স্রোতে কাটে আঁধার তাহলে মিলতে পারে জয়ের সন্ধান। লেখা হতে পারে গায়ানাতে টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের সাফল্য।
এমপি/এসআইএইচ