হারের পর সেই ‘যদি’র আগ্রাসন!
হারের পর আবারো সেই ‘যদি’র আগ্রাসন। বোলিংটা যদি আরেকটু ভালো হতো, সাকিবের মতো করে যদি আর একজন ব্যাটসম্যান রান করতে পারতেন। এসব করলে কী হতো। বাংলাদেশ জিতে যেতো। উইন্ডিজের কাছে আরেকটি হারের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এভাবেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন হারের। দুই টেস্টে নাকানি-চুবানি খাওয়ার পর শুরু হয়েছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথমটি বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। বৃষ্টিতে ভেসে না গেলে বাংলাদেশের ললাটে আরেকটি হার লেখা থাকত। সেই হার আসল পরের ম্যাচে ৩৫ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে উইন্ডিজের ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ করে ৬ উইকেটে ১৫৮।
৩৫১ রানের ম্যাচে ছক্কা হয়েছে ১৭টি। বাউন্ডারি ছিল ২৪টি। অর্থ্যাৎ ১৯৮ রানই এসেছে না দৌঁড়ে। ২৪০ বলের মাঝে রান হয়নি ৮৮ বলে। ৫ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার দিন ডোমিনিকাবাসীকে আনন্দে ভাসিয়েছেন নিকোলাস পুরানরা। হয়েছে চার হাকানোর বাহারি মার। উপহার দিয়েছেন ছক্কা। কিন্তু বিপরীতে বাংলাদেশের আকাশে কালো মেঘে ভরা। সেই মেঘ কাটানোর জন্য ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এক বস্তা ‘যদি’ নিয়ে হাজির হন। তিনি বলেন, ‘সাকিব মাশাল্লাহ খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। আমার মনে হয় যে বোলিংয়ে সম্ভবত আমরা কয়েকটা ওভারে বেশি রান দিয়ে ফেলেছি। ওইটাতে কোনো সমস্যা নেই। একটা/দুইটা ওভারে রান বেশি হতেই পারে। তবে আমরা যেখানে বল করতে চেয়েছি, সেখানে করতে পারিনি। আফিফ–সাকিবের পার্টনারশিপটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যেটা আমাদের একটা মোমেন্টাম দিয়েছিল। শেষ দিকে সাকিব কয়েকটা ওভার বাউন্ডারি মারল। মোসাদ্দেক আসল। ১৫/১৬ রানের একটা ইনিংস খেলল। উইকেট ভালো ছিল। বোলিংয়ে যদি আমরা আরেকটু কম রান দিতে পারতাম, আরো ১০/১৫ রান করতে পারতাম, টর্গেটটা যদি আরেকটু কম হতো.তাহলে ভালো হতো।’
‘যদি’র ব্যবহার এখানেই শেষ হয়নি। আরো আছে। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ওপেনিং জুটির সমস্যা মহামারি আকার ধারণ করেছে। তামিম খেলা অবস্থায় অপরপ্রান্তে অদল-বদল হয়েছে। এখন তামিম না খেলাতে দুই প্রান্তেই সমস্যা প্রকট। টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলানো হচ্ছে নতুন জুটি এনামুল হক ও মুনিম শাহরিয়ারকে। প্রথম ম্যাচে দুজনেই ব্যর্থ হন। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাক ইনজুরির কারণে মুনিম শাহরিয়ার খেলেননি। এনামুলের সঙ্গে নামানো হয়েছিল লিটন দাসকে। এবারো ব্যর্থ জুটি। ব্যর্থ দুজনই।
এ বিষয়ে মাহমুদউল্লাহর ব্যাখ্যা, ‘লিটন টেস্ট, ওয়ানডেতে খুবই ভালো ব্যাটিং করছে। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে খেলছে। টি–টোয়েন্টিতে হয়তো সেটা পারছে না। তবে সে আমাদের সেরা ব্যাটস্যাম্যান। টি–টোয়েন্টিতে যেকোনও ব্যাটসম্যানের যেকোনও জায়গায় ব্যাটিং করার সামর্থ্য থাকতে হবে এবং লিটনের সেটা আছে।’
এমপি/এসআইএইচ