টি-টোয়েন্টিতে সমান সমান বাংলাদেশ
টেস্টে ক্রিকেটের মতো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিন্তু উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান মলিন নয়। সেখানে আছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দৃশ্য। ১৩ বারের মোকাবেলাতে উইন্ডিজ সাতটিতে এবং বাংলাদেশ পাঁটিতে জয়ী হয়েছে। একটি হয়েছে পরিত্যক্ত। ছোট্ট এই পরিসংখ্যানই বলে দেয় তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ টেস্টের মতো এক তরফা হবে না। ছেড়ে কথা বলবে না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচ তিনটি অনুষ্ঠিত হবে ডোমিনিকায় ২ ও ৩ জুলাই এবং গায়ানাতে ৬ জুলাই।
উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম মোলাকাতেই বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ উইকেটে। ম্যাচটি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে। বাংলাদেশেরও প্রথম ম্যাচ ছিল। এই এক জয়েই বাংলাদেশ পরের রাউন্ডে চলে গিয়েছিল। কারণ উইন্ডিজ তাদের প্রথম ম্যাচেই হেরেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। উইন্ডিজের করা ৪ উইকেটে ১৬৫ রান বাংলাদেশ অতিক্রম করেছিল আফতাব আহমেদের অপরাজি ৬২ ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ৬১ রানের ইনিংসে ভর করে।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় জয় ছিল ২০১১ সালে মিরপুরে উইন্ডিজকে ৮ উইকেটে মাত্র ১৩২ রানে আটকে রেখেও বাংলাদেশকে ম্যাচ জিততে হারাতে হয়েছিল ৭ উইকেট। দুইটি করে উইকেট নিয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল ও সাকিব। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
তৃতীয় জয় পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৭ বছর। এ সময় বাংলাদেশ চারটি ম্যাচ খেলে তিনটিতে হেরেছিল। অপর ম্যাচচি ড্র হয়েছিল। ২০১৮ সালেও ছিল তিন ম্যাচের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ। এবার বাংলাদেশ প্রথম হেরে পরের দুই ম্যাচ জিতে সিরিজও জিতেছিল। প্রথম ম্যাচ অনুৃষ্ঠিত হয়েছিল স্টে কিটসে। কিন্তু পরের দুইটি ম্যাচের ভেন্যু ছিল যুক্তরােেষ্ট্রর ফ্লোরিডায়। প্রথম ম্যাচ ১৯ ও দ্বিতীয় ম্যাচ ১২ রানে জিতেছির। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরব উপস্থিতিতে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে তামি ইকবালের ৭১ ও সাকিব আল হাসানের ৬০ রানে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৭১ রান করে।
জবাব দিতে নেমে উইন্ডিজ করেছিল ৯ উইকেটে ১৫৯ রান। নাজমুল ইসলাম ২৮ ও মোস্তাফিজ ৫০ রানে নিয়েছিলেন তিনটি করে উইকেট। পরের ম্যাচেও বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান করে। লিটন দাস ৬১ রান করেন। জবাকব দিতে নেমে উইন্ডিজ ৭ উইকেটে ১৩৫ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল। মোস্তাফিজুর এবারও ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। তবে রান দিয়েছিলেন অনেক কম ৩১। বাংলাদেশ পরের ম্যাচ জিতেছিল একই বছরের ডিসেম্বরে মিরপুরে। আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২১১ রান করেছিল। লিটন দাস ৬০, মাহমুদউল্রাহ ৪৩, সাকিব অপরাজিত ৪২ রান করেছিলেন। উইন্ডিজ ৪ বল বাকি থাকতে ১৭৫ রানে অলআউট হয়েছিল। সাকিব ২০ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। এটি ছিল তিন ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। কিন্তু প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ আবারো সিরিজ হেরেছিল। এরপর দুই দল আবার মুখোমুখি হবে ২ জুলাই ডোমিনিকায়।
এবার দেখার পালা বাংলাদেশ আবার সিরিজ করায়ত্ব করতে পারে কি না?
এমপি/এমএমএ/