সিডন্সের প্রেসক্রিপশনে পাওয়ার হিটিংয়ের বিকল্প বাউন্ডারি
ফাইল ছবি
উইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে কেচ্ছা খতম। এবার টি-টোয়েন্টির পালা। টেস্ট ক্রিকেটের মতোই এখানেও বাংলাদেশের ভঙ্গুর অবস্থা। টেস্ট ক্রিকেটের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ যেমন থাকে তলানিতে, তেমনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোনো রকমে মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। কিন্তু মূল পর্বে গিয়ে জিততে পারেনি কোনো ম্যাচ। সামনে আবার আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অক্টোবরে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়াতে। কী অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ দলের জন্য? তবে সেই প্রস্তুতি বলা যায় বাংলাদেশ শুরু করতে যাচ্ছে উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ দিয়ে। এরপর খেলবে এশিয়া কাপ ও নিউ জিল্যান্ডে পাকিস্তানের অংশগ্রহণে একটি তিন জাতির আসর।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেমন টেকনিকে ভুগে থাকেন। টি-টোয়েন্টি ভুগেন পাওয়ার হিটিংয়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের শারীরিক গঠনের কারণে পাওয়ার হিটিংয়ে ঘাটতির কারণ। যে কারণ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স বিকল্প হিসেবে ওভার বাউন্ডারির পরিবর্তে বাউন্ডারির দিকে ব্যাটসম্যানদের মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেভাবেই নতুন করে তালিম দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২ জুলাই ডোমিনিকায়। সেখানে যাওয়ার কথা ছিল গতকাল সমুদ্রপথে। কিন্তু বাজে আবহাওয়ার কারণে যাত্রা বাতিল করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ সময় রাতে রওনা হওয়ার কথা। এদিকে যাত্রা বাতিল হওয়ায় সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টির অনুশীলন শুরু করে। সেখানেই অনুশীলন শুরু করার আগে সিডন্স সাংবাদিকদের সামনে পাওয়ার হিটিংয়ের বিকল্প পথ বাতলে দেন।
তিনি বলেন, ‘জাতিগত কারণে আমাদের লম্বা আকৃতির খেলোয়াড় কম। যেমন জস বাটলার, ম্যাক্সওয়েল তাদের উচ্চতা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি। কিন্তু আমাদের নেই। তাই আমাদের বিকল্প পথে হাঁটতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার হিটিংয়ের বিকল্প নেই। সিঙ্গেলসও গুরুত্বপূর্ণ। তবে পাওয়ার হিটিংই ম্যাচ জেতায়। বাউন্ডারি যত বেশি, ম্যাচ জেতার সংখ্যাও বেশি। তাই পাওয়ার হিটিংয়ে আমাদের এখনো মনোযোগ দিতে হবে। চার মারতে হবে বেশি। অনেকগুলো চার-ছক্কা মারার মতোই।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ১২৫টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৪৪টিতে, হেরেছে ৭৯টি ম্যাচে। কিন্তু দুইশ রানের উপরে আছে মাত্র তিনটি ইনিংস। সর্বোচ্চ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২১৫ রান।
সিডন্স মনে করেন ম্যাচ জেতার জন্য খুব বেশি রান করার প্রয়োজন নেই। তার আস্থা বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের উপর। তিনি বলেন, ‘আমাদের বোলিং আক্রমণ ভালো। যে কারণে স্কোর বোর্ডে খুব বেশি রান করতে হবে বলে আমার মনে হয় না। মোটামুটি একটা সংগ্রহ দাঁড় করালেই চলবে। আমরা যদি বেশি বেশি চার মারতে পারি, অনেক সিঙ্গেল বের করতে পারি, পাশাপাশি কিছু ছক্কা মারতে পারলে বোর্ডে আমাদের ভালো স্কোর হবে। এরপর বাকিটা সামলে নিতে পারবে আমাদের বোলিং আক্রমণ। তাই আমাদের বড় সংগ্রহের প্রয়োজন হবে না।’
নতুন করে জেমি সিডন্স দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর বাংলাদেশ কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেনি। উইন্ডিজের বিপক্ষেই প্রথম মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তিনি চান এখান থেকেই বাংলাদেশের আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল গড়ার দিকে নজর দিতে চান।
সিডন্স বলেন, ‘আমরা টেস্ট সিরিজে ভালো করতে পারিনি। আমরা এখন টি-টোয়েন্টির দিকে নজর দিচ্ছি। আমি আসার পর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হয়নি। টি-টোয়েন্টি দলে আমাদের বেশ কয়েকজন নতুন খেলোয়াড় আছে। এখান থেকে আমরা একটি ভালো দল গড়ার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া সামনে এশিয়া কাপও আছে। বিশ্বকাপের জন্য আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত হতে পারব।’
এমপি/এসজি/