অলরাউন্ড র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের এক ধাপ অবনমন
অ্যান্টিগা টেস্টে নতুন করে নেতৃত্ব পাওয়া সাকিব আল হাসান উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি এক উইকেট নিয়ে টেস্টের অলরাউন্ড র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি ঘটিয়ে দুইয়ে উঠে এসেছিলেন।
কিন্তু নিজের এই স্থান তিনি এক সপ্তাহও ধরে রাখেতে পারেননি। সেন্ট লুসিয়া টেস্টে তিনি ব্যাটে-বলে ছিলেন ম্রিয়মান। উভয় ইনিংসে ৮ ও ১৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ছিলেন উইকেট শূন্য। ফলে তার এক ধাপ অবনমন হয়। তিনি নেমে যান তিনে। আর এই সুযোগ দুইয়ে উঠে আসেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন। একে আছেন যথারীতি রবীন্দ্র জাদেজা।
অ্যান্টি টেস্টে সাকিব ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৫১ রান করার পার দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৬৩ রান। বল হাতে প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানে নিয়েছিলেন এক উইকেট। এতে করে চার থেকে উঠে এসেছিলেন দুইয়ে। তার এমন নৈপুণ্যের পরও বাংলাদেশ হেরেছিল সাত উইকেটে। সেন্ট লুসিয়া টেস্টে বাংলাদে দল হিসেবে ছিল যথারীতি ব্যর্থ। এবার সেই তালিকায় নাম লেখান সাকিবও। ৮ ও ১৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বল হাতে ৪৬ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। এই টেস্টে বাংলাদেশ হেরেচিল ১০ উইকেটে। বুধবার (২৯ জুন) আইসিসি এই তালিকা প্রকাশ করে।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টে বাংলোদেশ ১০ উইকেটে হারলেও ব্যাট হাতে উন্নতি ঘটেছে নাজমুল হাসান শান্তর। দুই ইনিংসে তিনি করেছিলেন ২৬ ও ৪২ রান। এতে তার ১১ ধাপ উন্নতি ঘটে। তিনি উঠে আসেন ৮৮তম স্থানে। প্রথম ইনিংসে নুরুল হাসান সোহান মাত্র সাত রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি খেলেন মারমুখি ৫০ বলে দুই ছক্কা ও ছয় চারে অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস। এতে করে তিনি ১৪ ধাপ এগিয়ে এসে অবস্থান করছেন ৮৪তম স্থানে।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টে দলের ভরাডুবির মাঝেও বল হাতে খালেদ ছিলেন উজ্জ্বল। প্রথম ইনিংসে তিনি নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট। রান দিয়েছিলেন ১০৬টি। তার এমন নৈপুন্য তাকে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৮৮তম স্থানে নিয়ে এসেছে। তার উন্নতি ঘটেছে ৯ ধাপ। এই টেস্টে মেহেদি হাসান মিরিজ পেয়েছিলেন তিন উইকেট। এতে তার উন্নতি হয়েছে এক ধাপ। তিনি অবস্থান করছেন ৩০তম স্থানে। বোলিংয়ে বাংলাদেশের বোলারদের মাঝে সেরা অবস্থানে আছেন তাইজুল ইসলাম। তার অবস্থান ২৭তম।
এমপি/এমএমএ/