সেই স্বাধীনতা সংঘ হারাল সাইফ স্পোর্টিংকে
লিগের প্রথম ম্যাচে নবাগত স্বাধীনতা সংঘ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে ২-১ গোলে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু তা শুধু চমকই ছিল। এরপর তারা হারের অতল গহবরে নিমজ্জিত হয়। জিততে পারেনি আর কোনো ম্যাচ। মাঝে মাঝে ড্র করে পয়েন্ট পেয়েছিল। সেই স্বাধীনতা সংঘ প্রথম ম্যাচ জেতার ১৫ ম্যাচ পর আবার জয় পেয়েছে। এবার তারা হারিয়েছে শক্তিশালী সাইফ স্পোর্টিংকে ২-১ গোলে। এই ফলাফলে পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের অবস্থানের কোনো হেরফের হয়নি। ১৭ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব তিনেই আছে। ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচেই স্বাধীনতা সংঘ।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্টে মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দুই দল খেলতে নেমেছিল দুই মেরুতে অবস্থান করে। সাইফ স্পোর্টিং টাানা পাঁচ ম্যাচ জিতে নেমেছিল। স্বাধীনতা সংঘের সঙ্গি ছিল সাত হার। প্রথম পর্বে সাইফ স্পোর্টিং জিতেছিল ৫-১ গোলে। আজকের ম্যাচেও তাদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। আক্রমণের পর আক্রমণের পসরা সাজিয়েছিল। ৯ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। সাইফের ৯ নম্বার জার্সিধারী নাইজেরিয়ার সানডে উদোহকে ফাউল করেন স্বাধীনতা সংঘের ডিফেণ্ডার সজল ইসলাম।
এমেকা ওগবাগের নেয়া পেনাল্টি শর্ট আটকে দেন স্বাধীনতা সংঘের গোলরক্ষক সারোয়ার জাহান। ১৮ মিনিটে অল্পের জন্য গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় সাইফের। এমফনের নেয়া শট বাম দিকে ঝাঁপিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন স্বাধীনতার গোলরক্ষক সারোয়ার। ৪১ মিনিটে সাইফ এসসির ভুল পাসে গোলের সুযোগ তৈরি করে স্বাধীনতা। ডিফেন্ডার সজলের পাস থেকে বল পেয়ে ফরোয়ার্ড জাহেদুল আলম যে শটটি নেন, সেটি সাইফের গোলরক্ষক মিতুল ঠেকিয়ে দিলে বেঁচে যায় সাইফ। তারপরও প্রথম গোল করেছিল সাইফ স্পোর্টিং। আসরর গফুরবের ক্রস থেকে পোস্টে হেড নেন মিরাজ হোসেন।
স্বাধীনতার গোলরক্ষক সারোয়ার পাঞ্চ করলে বল গিয়ে পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই ফিরতি বলে হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন পেনার্টি থেকে গোল করতে না পারা সেই এমেকা ওগবাগ। কিন্তু এই গোলেল লিড বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি সাইফ স্পোর্টিং। ৬৭ মিনিটে সমতায় ফেরে জাহেদুল আলমের পাস থেকে গোল করে জিল্লুর রহমান খেলায় সমতা আনেন। ৮৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় স্বাধীনতা সংঘ। বক্সের ভেতর সাইফের ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাসান রাফির হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। পেনাল্টি থেকে গোল করেন দলকে এগিয়ে নেন স্বাধীনতার সার্বিয়ান ডিফেন্ডার ইভান মারিক। এ সময় দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাইফের অধিনায়ক রাফি।
এদিকে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হকি মনি স্টেডিয়ামে খেলতে গিয়ে উত্তরা বারিধারা ও রহমতগঞ্জের কোনো দলই জিততে পারেনি। ১-১ গোলে ড্র হয়। দুইটি গোলই হয় খেলার শেষ বেলায়। ৮০ মিনিটে সানডে চিজোবার গোলে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যায়। যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ইউসুফ বাম্বা গোল করে খেলায় সমতা আনেন। ১৭ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে উত্তর বারিধারা। ১১ পয়েন্ট নিয়ে এগারতম স্থানে রহমতগঞ্জ।
এমপি/এএজেড