টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা সম্ভব: সাকিব
উইন্ডিজে ২০১৮ সালে সর্বশেষ সফরে বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলেও জেতিছিল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশ নুন্যতম লড়াই করতে পারেনি। যেমনটি পারেনি এবারও। দুই টেস্টের সিরিজে মাথা নিচু করে হার মানার পর এবার শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
এ সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে ২, ৩ ও ৭ জুলাই। এই সিরিজ নিয়ে আশাবাদী সাকিব। জেতা সম্ভব বলেও জানান তিনি। যদিও তিনি এই ফরম্যাটে অধিনায়ক নন, এখানে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেন্ট লুসিয়া টেস্টে ১০ উইকেটে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিয়ে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই অনেক জায়গা আছে উন্নতির। তবে দলগতভাবে খেলতে পারলে আমাদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা সম্ভব।’
টেস্ট ক্রিকেটের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের অবস্থা খুব একটা ভালো না। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ১০ ম্যাচ খেলে ৯টিতেই হেরেছে। সেখানে উইন্ডিজ ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ৩-২ ব্যবধানে। দেখার বিষয় বাংলাদেশ ২০১৮ সালের পূনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে কি না?
টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফলাফল যাই হোক উইন্ডিজের মতো দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মানসিকতার উন্নতি ঘটানোর ক্ষেত্রে একটা ভালো সুযোগ বলেও মনে করেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দলের বিপক্ষে খেলতে পারা আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হবে। এখানে ভালো করতে পারলে আত্মবিশ্বাসটা শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া এশিয়া কাপে কাজে আসবে। ভালো মাইন্ডসেট নিয়ে শ্রীলঙ্কা যেতে সাহায্য করবে।’
সাকিব মনে করেন এশিয়া কাপ খুবই কঠিন হবে। তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপ খুব কঠিন হবে। যেখানে ভারত, পাকিস্তান আছে, আফগানিস্তানও খেলবে যারা বর্তমানে এশিয়ার ভেতরে অনেক ভালো দল। শ্রীলঙ্কাও ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। আমাদের অবশ্যই উন্নতির অনেক জায়গা আছে। তবে আমি বিশ্বাস করি দলগতভাবে খেললে আমাদের সিরিজ জেতা সম্ভব।’
এ বছরই অস্ট্রেলিয়ায় অক্টেবরে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সাকিব তাই আলাদাভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করলে এটা (দ্বিপাক্ষিক সিরিজ) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরপর আমরা এশিয়া কাপ খেলব, তারপর বিশ্বকাপ। আমাদের খুব বেশি সময় নেই। সেই জায়গা থেকে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ।’
এমপি/এমএমএ/