বাংলাদেশের সমস্যা ‘ব্রেক’এর আগে উইকেট হারানো
টেস্ট ক্রিকেট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। হারবে এটা নিশ্চিত। তারপর সেই হার থেকে খুঁজবে ইতিবাচক দিক। প্রত্যয় ধাকবে আগামীতে ভালো করার। এটা এখন হারের পর বাংলাদেশের টেস্ট সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নতুন করে অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়া সাকিব আল হাসানও এর থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য বাংলাদেশে সংস্কৃতির অভাবের কথা সাকিব বললেও হারের পরবর্তী সংস্কৃতি ঠিকই আছে। এই যেমন সেন্ট লুসিয়া টেস্ট ১০ উইকেটে হারের পর সাকিব ব্যাটসম্যানদেন সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন পাশাপাশি প্রশংসা করেছেন পেসারদের।
এরপর বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজ খেলবে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে। এই সিরিজের হতাশা ঝেড়ে ভারতের বিপক্ষে ভালো করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ এখন টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে নামে লম্বা ব্যাটিং লাইন নিয়ে। সংখ্যায়ং আটজন। এত লম্বা ব্যাটিং লাইন বিশ্বের আর কোনো দেশেই নেই। কিন্তু লম্বা ব্যাটিং লাইন নিয়েও বাংলাদেশ ব্যর্থতার জাল ছিন্ন করে বের হয়ে আসতে পারছেন না। খাচ্ছে হাবুডুবু। ব্যাটিং ব্যর্থতার মহাসাগরে হাবুডুবু খেয়ে পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচকে তিন দিনে নামিয়ে আনছে। বৃষ্টি এসেও রক্ষা করতে পারছে না। কিন্তু তারপরও সাকিব ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই জানতাম টেস্ট সিরিজটি কঠিন হবে। লম্বা সময় পর আমরা ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলবো। আশা করি আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আমি ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নই। মানসিকভাবে আমাদের দৃঢ় হতে হবে।'
এক সময় বাংলাদেশের হতাশার নাম ছিল পেস বোলিং। মানসম্পন্ন পেস বোলার দলে ছিল না। এখন সেই ঘাটতি আর নেই। মান সম্পন্ন একাধিক পেস বোলার আছেন। সেরা একাদশে জায়গা পেতে হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। বিদেশের মাটিতে গিয়ে এখন ৫ উইকেট নিয়মিত পেয়ে চলেছেন তারা। নিউ জিল্যান্ডে এবাদত আর এবার উইন্ডিজে খালেদ ইনিংসে প্রথমবারের মতো পেয়েছেন ৫ উইকেট।
এ নিয়ে সাকিব বলেন, ‘গত ৩-৪ বছরে আমরা এই বিভাগে (পেস বোলিং) সবচেয়ে বেশি উন্নতি করেছি। ম্যাচ জিততে হলে আমাদের দল হিসেবে পারফর্ম করতে হবে। সাদা বলে আমরা লড়াকু দল এবং আমরা নিশ্চিত সিরিজটি প্রতিদ্বদ্বিতাপূর্ণ হতে চলেছে।'
নতুন করে অধিনায়ক হওয়ার পর দুই টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে সাকিবের মনে হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কিছু ‘ ভীতি’ কাজ করে। এই ভীতি বিভিন্ন ব্রেকের আগে উইকেট হারানো।
তিনি বলেন, ‘ড্রিংকস ব্রেকের আগে, লাঞ্চ ব্রেকের আগে, বৃষ্টি আসবে-ঠিক এই সময়গুলোতে আমরা উইকেট দিয়ে আসি। তা না হলে হয়তো পরিস্থিতি অন্যরতম থাকত। এগুলো ভীতির মধ্যে আসে। আমার কাছে মনে হয় আমি যেটা ফিল করেছি এই দুইা টেস্টে আমরা যতোটা নিজেদের শো করতে পারতাম, যতোটা শক্তভাবে নিজেদের দেখাতে পারতাম, তা আমরা পারিনি। এটা হতাশার।’
এমপি/এমএমএ/