মালয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করে সিরিজ বাংলাদেশের
আক্রমণের অভাব ছিল না। বল নিয়ন্ত্রণ ছিল একচেটিয়া। সুযোগও তৈরি হয়েছিল একাধিক। কিন্তু গোল হয়ে উঠেছিল সোনার হরিণ। তাই কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে পাওয়া হয়নি জয়। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মেস্তাফা কামাল স্টেডিয়ামে দুই দলের দ্বিতীয় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। কিন্তু জিততে না পারলেও দুই ম্যাচের ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশ ১-০ ব্যবধানে জিতেছে। প্রথম ম্যাচ জিতেছিল ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে জিতলেও খেলা শুরুর আগে জয়ের কথা ভুলেও ভাবেনি। কারণ মালয়েশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে ছিল ৬১ ধাপ এগিয়ে। কিন্তু বাংলাদেশের নান্দনিক খেলার কাছে মালয়েশিয়া আর পেরে উঠেনি। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়া পূর্বাভাস পেয়ে নিজেদের পরিকল্পনা বদলে মাঠে নামে এবং সফলও হয়। এদিন মালয়েশিয়া যেমন বাংলাদেশের কৌশল কিছুটা বুঝে ফেলে ঠেক দেওয়ার চেষ্টা করে সফল হয়, তেমনি গোল বন্যা হজম করা ঠেকানোর জন্য রক্ষণাত্বক পদ্ধতিতে অবলম্বন করে। যে কারণে বাংলাদেশের সকল প্রচেষ্টা বিফলে যায়।
খেলা শুরু হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ আক্রমণে যেতে শুরু করে। তবে তা আগের ম্যাচের মতো এক চেটিয়া ছিল না। এদিন মালয়েশিয়ার খেলোয়াড়রা বেশ বাধা সৃষ্টি করতে থাকেন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা বল নিয়ে ভেতরে ঢুকার সময় বাধাগ্রস্ত হয়েছেন। কখনো বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাবিনা-মনিকারা নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ৬ থেকে ১০-এই চার মিনিটের ব্যাবধানে পাঁচ পাঁচটি কর্ণার আদায় করে নেয়। প্রথম ম্যাচেও এইভাবে কর্ণার আদায় করে বাংলাদেশ প্রথম তিন গোলের দুইটি আদায় করে নিয়েছিল।
এদিন বাংলাদেশ দল কর্ণার শট মারার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কর্নার ছিল সাবিনা-মারিয়ার যৌথ প্রচেষ্টার পর গোলে পোষ্টে ক্রস। কিন্তু আজ সেখানে মালয়েশিয়ার খেলোয়াড়রা চলে গেলে সরাসরি কর্ণার মারা হয়। সেখান থেকেই বাংলাদেশ পেয়েছিল প্রথম সুযোগ। সাবিনার নেওয়া সরাসরি কর্ণার গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও বিপদমুক্ত হয়নি। সৃষ্ট জটলা থেকে আখির শট মালয়েশিয়ার গোলরক্ষক বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন। এই চাপেই বাংলাদেশ টানা চারটি কর্ণার আদায় করে নেয়। ১০ মিনিটে ফাঁকা পোষ্টে দুই /তিন হাত দূর থেকে বল জালে ফেলতে পারেননি মাসুরা। বাম প্রান্ত থেকে মনিকার ক্রস বক্সে অরক্ষিত থাকা মাসুরার কাছে চলে যায় সরাসরি। তার সামনে ছিলেন শুধুই মালয়েশিয়ার গোলরক্ষক। চলন্ত বলে বাম পায়ে নেওয়া মাসুরার শট অবিশ্বাস্যভাবে গোলপোষ্টের উপর দিয়ে চলে যায়।
১৭ মিনিটে মনিকা এককভাবে বল নিয়ে ডুকে চারজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বক্সের বাইরে সাবিনাকে পাস দিলে, সাবিনা সেই বলে ডান পায়ের তীব্র শট গোলে প্রবেশের সময় মালয়েশিয়ার গোলরক্ষক বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। মনিকার নেয়া সেই কর্নার থেকে আঁখির হেড বারের উপর দিয়ে চলে যায়।
বিরতির পরও বাংলাদেশের আক্রমণ অব্যাহত ছিল একইভাবে। ৬০ মিনিটে কৃষ্ণার ক্রস থেকে সানজিদা পা ছুঁয়া ব্যর্থ হন। ৭১ মিনিটে মনিকা কর্ণার থেকে জটলা সৃষ্টি হলে বল পেয়ে যান মারিয়া। তার নেওয়া শটে পা ছুঁয়াতে গিয়ে ব্যর্থ হন মাসুরা।
এমপি