অন্ধকারে ঢাকা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেশন
সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম দিনের এক একটি সেশন যেভাবে গিয়েছিল, দ্বিতীয় দিনের এক একটি সেশনও একইভাবে যাচ্ছে! প্রথম দিনের প্রথম সেশন বাংলাদেশের জন্য ছিল স্বস্তির। ২ উইকেট হারিয়ে করেছিল ৭৭ রান। কিন্তু দ্বিতীয় সেশন কাটে অস্বস্তিতে। বাংলাদেশ ৪ উইকেট করেছিল ৮২ রান। আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন একইভাবে বাংলাদেশের কেটেছে স্বস্তিতে। লাঞ্চের আগে ১২ বলে ১ রানে উইন্ডিজের ৩ উইকেটপ তুলে নিয়ে দারুণভাবে খেলায় ফিরে এসেছিল বাংলাদেশ। আশায় বুক বেঁধেছিলেন ক্রিকেটাররা দ্বিতীয় সেশনে আরো সাফল্য পাওয়া আসবে। কিন্তু তা বুমেরাং হয়ে গেছে। দ্বিতীয় সেশন কেটেছে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে অস্বস্তিতে। উইন্ডিজের কোনো উইকেটই নিতে পারেনি। ব্ল্যাকউড ও মায়ার্স মিলে বাংলাদেশের বোলারদের তোপ সামলে অবিচ্ছিন্ন থেকে ১১৬ রানের জুটি গড়ে দলকে ১৪ রানের লিড এনে দিয়েছেন। উইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ২৪৮। মায়ার্স ৬০ ও ব্ল্যাকউড ৪০ রানে অপরাজিত।
লাঞ্চের ঠিক আগে ১২ বলে ১ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে উইন্ডিজের লাগাম টেনে ধরেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। এই সাফল্য বহতা নদীর মতো প্রবাহিত হয়ে চা বিরতির পরও অব্যাহত থাকবে-এমনটিই প্রত্যাশা ছিল সবার। এভাবে হঠাৎ করে অপ্রত্যাশিত সাফল্যে উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের উপরও চাপ তৈরি হয়। সম্ভাবনা তৈরি হয়ে বাংলাদেশেরে লিড নেওয়ারও। কারণ তখনো উইন্ডিজ ১০২ রানে পিছিয়ে। কিন্তু লাঞ্চ বিরতির পর বাংলাদেশের বোলাররা তাদের সে সাফল্যের স্রোতে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। বাধ তৈরি করে তুলেন ব্ল্যাকউড ও মায়ার্স। সেই বাধ এমনই শক্ত করে গড়েন তারা, তা ভেঙে উইকেট নেওয়ার উল্লাসে মাতোয়ারা হওয়ার সুযোগ আর তৈরি হয়নি বাংলাদেশের বোলারদের। ব্ল্যাকউড ও মায়ার্সের খেলার ধরন ছিল ভিন্ন। ব্ল্যাকউড ছিলেন কিছুটা রক্ষণাত্মক, মায়ার্স কিছুটা আক্রমণাত্মক। যে কারণে মায়ার্স ব্ল্যাকউডকে পেছনে ফেলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৭৫ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায়। ছক্কা হাঁকান মিরাজের বলে লং অফ দিয়ে।
দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশের বোলাররা সেভাবে তেমন কোনো চাপ তৈরি করতে পারেননি। ব্যাটসম্যানদের উপর। যে কারণে তারা রান সংগ্রহ করেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে। ৩০ ওভারে ১১৪ রান যোগ করেন তারা।
এমপি/এসএন