পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকার বাইরে ভেন্যু বাড়াবে বাফুফে
প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল ক্লাবগুলো এখন হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে। মাঠের অভাবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে অনেক ক্লাবই তাদের হোম ভেন্যু বানিয়ে থাকে। কিন্তু এবার সেখানে সংস্কার হওয়াতে সেই সুযোগও হারায় ক্লাবগুলো। ফলে ক্লাবগুলো জেলা পর্যায়ের এক একটি স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোম ভেন্যু করে নেয়। প্রতিটি ভেন্যুতে এক একটি ক্লাব ১১টি ম্যাচ খেলে থাকে। আবার কোনো ভেন্যু দুইটি ক্লাবের হওয়াতে সেখানে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুন হয়ে যায়। এই সব ভেন্যুতে খেলার জন্য ক্লাবগুলোকে ঢাকা থেকেই যেতে হয়। যেখানে ছিল দক্ষিণাঞ্চলেরও ভেন্যু। আর দক্ষিণাঞ্চলের ভেন্যু মানেই ফেরি পারাপার। ফেরির জন্য লম্বা সময় অপেক্ষা। কিন্তু সেই দুর্যোগের অবসান হয়েছে। এখন আর ফেরি পার হতে হবে না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না ফেরির জন্য। কারণ পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। বলা যায় ক্রীড়াঙ্গণে সবচেয়ে উপকৃত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। পদ্মা সেতু দিয়ে নিমিষেই চলে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের নির্দিষ্ট ভেন্যুতে। তাইতো বাফুফে বসে থাকতে পারেনি পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী আয়োজনে। নিজেরাও শামিল হয়েছে আয়োজন করে।
মতিঝিল বাফুফে ভবনে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন কেক কেটে উদযাপন করেন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। তার নিজের বাড়িও ফরিদপুরে। কেকে লেখা ছিল পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাফুফের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরন, নুরুল ইসলাম নুরু, সত্যজিত দাশ রুপু, বিজন বড়ুয়া, আমের খান, বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম, সোহাগ এবং নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। বাফুফে ভবনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে, মাওয়া অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু উদ্বোধন সরাসরি দেখানো হয়। করা হয় বিশেষ মোনাজাত।
সাংবাদিকদের সামনে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউহউদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে পদ্মা সেতুর সুফল নিয়ে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আজ বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পরিকল্পনা, সিদ্ধান্ত দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই তারা আমাদের জন্য যা করছে সেটা অতুলনীয়। এটা গোটা দেশবাসীর জন গর্বের। পদ্মা সেতুর কারণে ফুটবল ফেডারেশন খুব বেশি উপকৃত হবে। ঢাকার বাইরে ভেন্যু বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হলো। ফুটবলের প্রসরে এই সেতু অনেক বড় ভুমিকা পালন করবে।’
এমপি/