ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও বাংলাদেশের নিরামিষ প্রথম দিন
ছবি: সংগৃহীত
সেন্ট লুসিয়াতে বাংলাদেশ-উইন্ডিজের টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে রান সংগ্রহ করছেন, তা দেখে মনে হবে তারা ওয়ানডে ম্যাচ খেলছেন। বাংলাদেশের করা ২৩৪ রান আজই পাড়ি দিতে হবে!
আসলে এভাবে বিষয়টি নিয়ে আসার কারণ যে পিচে বাংলাদেশের কোনো কোনো ব্যাটসম্যান ছটফট করেছেন, কেউ উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন, কেউ অসহায়ের মতো অসহায়ের আত্মসমর্পণ করেছেন, ফুটে উঠেছে ব্যাটিং ব্যর্থতার করুণ প্রদশর্নী, সেই উইকেটেই উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা সাবলীল। রান সংগ্রহ করছেন অনায়াসেই। সেই অনায়াস ভাবটা এমনই যে বাংলাদেশ যেখানে ওভার প্রতি গড়ে ৩.৬৩ করে রান সংগ্রহ করেছে, সেখানে উইন্ডিজের রান সংগ্রহ ছিল ওভার প্রতি গড় সংগ্রহ ৪.১৭ রান করে। একপর্যায়ে ১২ ওভার পর্যন্ত তাদের রান ছিল ওভার প্রতি ৫.৪১ করে। এরপর দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ঘনিয়ে এলে দুই ব্যাটসম্যান অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ও জন ক্যাম্পবেল সাবধানী হয়ে উঠেন। যে কারণে শেষ ৪ ওভারে রান সংগ্রহ হয় মাত্র ২। দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ১৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৭। ক্যাম্পবেল ৩২ ও ব্রেথওয়েট ৩০ রানে অপরাজিত। এর আগে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ২৩৪ রানে। উইন্ডিজ এখনো পিছিয়ে আছে ১৬৭ রানে।
সেন্ট লুসিয়া টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশন ছাড়া দিনের বাকি সময় ছিল বাংলাদেশের জন্য হতাশায় ভরা। ব্যাটসম্যানদের পর বোলাররাও তেমন বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেনি। না পেস, না স্পিন, তাদের বোলিং ছিল নিরামিষ। অ্যান্টিগা টেস্টেও প্রথম দিন বাংলাদেশ দল মাত্র ১০৩ রানে অলআউট হওয়ার পর বোলাররা দিনের বাকি সময় তেমন কোনো কিছু করতে পারেননি। কিন্তু দ্বিতীয় দিনই তাদের ধসিয়ে দিয়েছিলেন। এবার সেন্ট লুসিয়া টেস্টেরও দ্বিতীয় দিন বোলারদের পানে তীর্থের কাকের মতো চেয়ে থাকতে হবে যে, তারা কোনো কিছু করতে পারেন কি না?
উইন্ডিজ বিনা উইকেটে দিন পার করেলও শুরুতেই কিন্তু উইকেট পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের। ইনিংসের দ্বিতীয় আর নিজের করা প্রথম ওভারের শেষ বলে ক্যাম্পবেলকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেছিলেন খালেদ। তার আবেদনে আম্পায়ার সাড়াও দিয়েছিলেন। তখন ক্যাম্পেবেলের রান ছিল মাত্র ৮। কিন্তু ক্যাম্পবেল সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। এরপরতো তাকে আর আউটই করা সম্ভব হয়নি।
এমপি/এসজি/